বাবার স্মৃতি ও বেড়ে ওঠার গল্প
- আমিন আহমেদ খা
- ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান কোনো দিন ১ম ছাড়া ২য় হয়নি। মাধ্যমিক পরীক্ষায় ১ম স্থান, স্নাতক ও মাস্টার্স-এ ১ম শ্রেণীতে ১ম, মাস্টার্সে সব ফ্যাকাল্টির মধ্যে মেধাতালিকায় সর্বোচ্চ স্থান অধিকার করায় তাকে গুল মেহের গোল্ড মেডেল দেয়া হয়
আব্বার চাকরি জীবন সম্বন্ধে আমার স্মৃতি খুব লম্বা নয়। আব্বার কর্মকাল শুরু আনুমানিক ১৯২০ সালে আর আমার জন্ম ১৯৪৬ সালে। চাকরি সূত্রে আব্বা সমগ্র অবিভক্ত বাংলায় সুনামের সাথে চাকরি করেছেন। কলকাতা, বনগাঁ, দিনাজপুর মেদেনিপুর, জলপাইগুড়িসহ সারা বাংলা ঘুরে ঘুরে কাজ করেছেন। পদোন্নতি হয়ে একসময় তিনি রামগড়ের এসডিও পদে নিয়োগ পান। এসডিও বলতে সাবডিবিসনাল অফিসার বুঝায়।
রামগড়ে কোনো রাস্তাঘাট বা গাড়ি-ঘোড়া ছিল না। এসডিও সাহেবের চলাচলের জন্য ছিল একটা বিশাল দাঁতাল হাতি-নাম লাল বাহাদুর। আম্মা গল্প করতেন হাতির পিঠে চড়ে বেড়াতে যাওয়ার। হাতির পিঠে ‘হাওদা’ বাঁধা হতো, হাওদা দোলনার মতো একটা খাটিয়া। যেটায় চড়ে আব্বার সপরিবার বেড়ানো ও এলাকা পরিদর্শন উভয়ই হতো।
একবার নোয়াখালীতে আব্বার পোস্টিং ছিল। এই সময় নোয়াখালী জেলা সদর দফতর ছিল সোনাপুর। ভয়াবহ ঝড় বন্যায় সোনাপুর সরকারি দফতর কোর্ট কাছারিসহ বিলীন হয়ে যায় ও সমগ্র অঞ্চল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আব্বাকে রিলিফ অফিসার করে দূরবর্তী দুর্গত অঞ্চলে রিলিফ কাজে পাঠানো হয়। এই সময় বাড়ি থেকে টেলিগ্রামে আব্বার বাবা মারা যাওয়ার সংবাদ আসে। আব্বা তখন ওই অঞ্চলে অনেক দূরে কর্মরত। বাহন ছিল একমাত্র নৌকা। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট টেলিগ্রাম দেখে চিন্তা করলেন খান সাহেবকে খবর পাঠাতে ও ওনার আসতে ও বাড়ি যেতে কয়েক দিন চলে যাবে। বাড়ি গিয়ে বাবার লাশ দেখতে পাবেন না। তার চেয়ে তিনি কাজ শেষ করে ফিরে এলে কয়েক দিন ছুটি দিয়ে বাড়ি পাঠালে ভালো হবে। পরবর্তীতে তাই করা হলো। আব্বা বাড়ি থেকে ফেরার পর জেলা ম্যাজিট্রেট বুঝতে পারলেন আব্বা তার ওপর দুঃখিত ও মনোক্ষুণ্ণ হয়েছেন।
আমার জন্মের সময় তিনি এ রকম ডেপুটেশন পোস্টিংয়ে দিনাজপুর ছিলেন। সিভিল সাপ্লাই বিভাগে তার পদ ছিল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট রিজিওনাল কনট্রোলার অব ফুড। এরপর তিনি বদলি হন ময়মনসিংহে সিনিয়র ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে। ওই পদ থেকেই তিনি অবসরে যান ।
আব্বা এত সৎলোক ছিলেন যে, তার কোনো টাকা-পয়সা, জায়গা জমি, ঘরবাড়ি কিছুই ছিল না।
তিনি অত্যন্ত শিকার পাগল লোক ছিলেন। বলতে গেলে তিনি সারা বাংলাদেশেই শিকার করে বেরিয়েছেন। তখনকার দিনে শিকারে কোনো বিধিনিষেধ ছিল না।
আব্বার ১৪ সন্তানের মধ্যে আমি ১৩তম, ছেলেমেয়ে সমান সমান।
ময়মনসিংহে আব্বার প্রায় অবসরে যাওয়ার সময় আমার একটু একটু মনে আছে, তখন ৫২’র ভাষা আন্দোলন চলছে, সারা বছর উত্তাল, নুরুল আমিনের রক্ত চাই লেখা পোস্টার সারা শহরব্যাপী। আমি শিশু শ্রেণীতে পাড়ি, আব্বা প্রায়ই জিপ নিয়ে আম্মাসহ রাত্রে শিকারে বের হতেন। মুক্তাগাছা, মধুপুর, রসুলপুর পর্যন্ত চলে যেতেন। রাস্তার দুইপাশে জঙ্গলের মধ্যে খরগোশ দেখা গেলে টরচের আলো ফেলে গুলি করতেন। আমরা থাকতাম কোনো এক হিন্দু জমিদারের পরিত্যক্ত একটি বাগানবাড়িতে। বিশাল এলাকাজুড়ে বাড়িটার চারপাশে ফুলের বাগানে সুশোভিত। আশপাশে দু’টি সিনেমাহল আলফা হল ও ছায়াবানি হল। আম্মার সিনেমা দেখোর শখ, আমাদের সাথে নিয়ে প্রায়ই সিনেমায় যেতেন। আব্বা মাঝে মধ্যে যমুনা নদীতে বজ্রায় দু-এক রাত কাটানোর ব্যবস্থা করতেন।
আব্বার অবসর উপলক্ষে ময়মনসিংহ কালেক্টরেটে বিদায় অনুষ্ঠান, আমরা সবাই আমন্ত্রিত, অনেক মিষ্টান্ন আস্বাদন-রাত ২টায় রেলস্টেশনে চোখের জলে বিদায়।
চলে এলাম চট্টগ্রাম পরের দিন বিকেলের দিকে, ঘোড়ার গাড়িতে রুমঘাটা দেওয়ান বাজার মামার বাসায় কয়েক দিন থেকে চুনতি আসলাম দোহাজারী পর্যন্ত রেলে, সেখান থেকে লক্কড় ঝক্কড় বাসে চুনতি ডেপুটি বাজার। বর্ষাকাল চারদিকে ঘন পাহাড়ি জঙ্গল, ঘুটঘুটে অন্ধকার, ভূতের ভয়। পাহাড়ের ভেতর দিয়ে মাটির পায়ে চলা পথ পিচ্ছিল কর্দমাক্ত কি এক বিশ্রি বিদঘুটে পরিবেশে এসে পৌঁছলাম দাদার ভাঙাচোরা বাড়িতে, মিটমিঠে চেরাগের আলো ছাড়া সব অন্ধকার। মেঝ চাচা তাহের আহমেদ খান ড. মঈনুদ্দিন খানের আব্বা বাড়িতে থাকতেন। তিনি রাস্তা থেকে বাড়ি পর্যন্ত লোকসহ আলো জ্বালিয়ে নিয়ে এসে খাওয়া থাকার ব্যবস্থা করলেন। এভাবে ওনার আতিথেয়তায় কিছু দিন চলল। পরবর্তীতে আব্বা আস্তে আস্তে গুছিয়ে নিলেন।
আমাকে ভর্তি করানো হলো চুনতি মাদরাসায় তৃতীয় শ্রেণীতে আব্বার ইচ্ছা একটি ছেলেকে অন্তত সবার মাগফিরাতের জন্য মৌলভী বানানো। কিন্তু আব্বার শেষ ইচ্ছটা আমি পূরণ করতে পারিনি। আমি তখন বাংলা ইংরেজি একটু লিখতে পড়তে পারলেও, উর্দু, আরবি, ফার্সি এসব কিছুই জানি না, মাদরাসায় এসব পড়ানো হতো। নিয়মটা হলো হুজুর একবার রিডিং পড়ে শোনাবেন, পরের দিন হুবুহু হাজিরা দিতে হবে। না পারলে শক্ত বেত দিয়ে এমন মার মারবেন যাতে করে বাপ-দাদার নাম ভুলিয়ে দেয়।
এমন নির্মম মার আজকালকার দিনে কল্পনার বাইরে, বরং আজকালকার ছেলেরা এমন অবস্থায় পড়লে উল্টা হুজুরকে ফেরত মারটা দিয়ে দেবে। যাই হোক মার সহ্য করতে না পেরে আমি তিন বছর পর ইস্তফা দিলাম। আব্বাকে বললাম হয় আমাকে মাদরাসা থেকে নিয়ে আসুন না হয় আমাকে মেরে ফেলুন।
আব্বা জিজ্ঞাসা করলেন কোন ক্লাসে ভর্তি হতে চাও? আমি বললাম ক্লাস ফাইভে পাড়ব। আব্বা মুন্সেফ বাজারের ভাঙাচোরা প্রাইমারিতে আমাকে ক্লাস ফোরে ভর্তি করিয়ে দিলেন। আমি সব বিষয়ে ভালো করেছি শুধু অঙ্কে একটু কাঁচা ছিলাম। শুধু অঙ্কে ভালো করতে না পারার কারণে আমি বৃত্তি পাইনি। এসএসসি অঙ্কে নাম্বার কম পাওয়ায় প্রথম বিভাগ পাইনি। চুনতি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই।
আমার অনার্স সেশন ছিল ১৯৬৭-১৯৭০। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, ৬ দফা, ১১ দফা আন্দোলন এই সময় চরম আকার ধারণ করতে থাকে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মিটিং মিছিলে সবসময় উত্তাল থাকত। তেফায়েল আহমেদ, আব্দুর রব সাহেবদের মতো বড় বড় নেতারা ডাকসুর সভাপতি হয়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন- আমাদের সেশন এক বছর পিছিয়ে যায়। ’৭১-এর মার্চের ২ তারিখ কলা ভবনের বারানদার ওপর দাঁড়িয়ে রব সাহেব স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন ও জাতীয় সঙ্গীত ঘোষণা করেন। ৭ মার্চ, শেখ সাহেব রেসকোর্স মাঠে স্বাধীনতার সংগ্রাম ঘোষণা করেন। আমিসহ উপস্থিত জনতা উদগ্রীব ছিল ওই দিনই স্বাধীনতা ঘোষণা হবে ও উপস্থিত লাখো জনতা সেখান থেকেই স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়বে। কিন্তু তা না হওয়ায় অনেকটা হতাশ হয়ে মানুষ ফিরে যায়। আমার অনার্স পরীক্ষা ৬ বিষয়ে শেষ হয়েছিল। এরপর সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়। বাকি পরীক্ষাগুলো আর হয়নি। আমি বাড়িতে চলে আসি ও মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্থানীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ রেখে মুক্তিযুদ্ধ সহায়ক কাজকর্ম করতে থাকি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ পাস করি ও এ সময়ে বিভিন্ন চাকরি করি। শেষ পর্যন্ত নিজ গ্রামে কয়েকজন মিলে একটা মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করি। সেটা নিয়ে জীবন কাটাই। বর্তমানে কলেজটা সরকারি পর্যায়ে উন্নীত। আমার জীবনের এটা একটা বৃহৎ সাফল্য মনে করি।
আমাদের চৌদ্দ ভাইবোনদের মধ্যে ড. শফিক আহমেদ খান ওপর থেকে ৭ নাম্বার। তার জন্ম হয়েছিল মানিকগঞ্জে, তাই তার ডাক নাম রাখা হয়েছিল মানিক। আমরা ভাইবোনেরা ডাকতাম মানিকদা নামে, পড়শিরা ডাকতো মানিক মিয়া নামে। আব্বা অবসর নেয়ার সময় ম্যাট্রিক পরীক্ষার্থী ময়মনসিংহ জিলা স্কুলে। তাকে রেখে আসেন আব্বার এক বন্ধু গোলাম রব্বানী ভূঁইয়ার বাসায়, মানিকদা প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেন ও পরবর্তীতে ডিগ্রি লেভেল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে।
এই সময় ড. কামাল স্যার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক নতুন বিভাগ বায়ো-কেমিস্ট্রি খোলেন। মেধাবী ছাত্র নির্বাচন করে মানিকদাকে প্রথম ব্যাচের ছাত্র হিসাবে ভর্তি করান, মানিকদা প্রথম বিভাগে প্রথম হয়ে মাস্টার্স পাস করেন। প্রথমে তিনি কিছুদিন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে বিসিএসআইআরএ চাকরি করেন। তারপর সুযোগ হয় সিনিয়র ফরেস্ট সার্ভিসে যোগদান করে পেশোয়ার ফরেস্ট একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিএসসি অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এতক্ষণ যার কথা বললাম তিনি বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. নিয়াজ আহমদ খানের আব্বা। নিয়াজ মানিকদার প্রথম ছেলে। আমার জীবনের অনেকটা সময় মানিকদার পরিবারের সাথে কাটিয়েছি।
আমি প্রথম বর্ষের আই এ ক্লাসের ছাত্র। অধ্যক্ষ ছিলেন সুসাহিত্যিক আবু রুশদ মতিন উদ্দিন। কয়েকজন বিখ্যাত স্যারের কথা মনে পড়ে। মমতাজ উদ্দীন স্যার ও আ ফ ম সিরাজউদৌলা চৌধুরী স্যার । ইংরেজিতে আবু আহমেদ স্যার পড়াতেন। লজিকে রোশনুজ্জামান স্যার, সাইকোলজি বানান শিখাতেন পিসি-চল-যাই। এক রাত্রে ভাবির প্রসব বেদনা হলে মানিকদা ভাবিকে নিয়ে চলে যান ভাবির বড় দুলাভাইয়ের বাসায়, বড় দুলাভাই ড. আলতাফউদ্দীন আহমেদ অধ্যক্ষ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ। আমি বাসা পাহারায় থাকলাম। সকালে টেলিফোনে নিয়াজের জন্মের খবর পেলাম ।
সিলেটের ডিএফও থাকাকালে মানিকদার কাছে বিদেশে পিএইচডি করার সুযোগ আসে। যুগোস্লাভিয়ার সারাইভো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে আসেন। সাথে সেই দেশ থেকে তার শরীরে ক্যান্সার রোগের জীবাণুও বহন করে আনেন। দেশে আশার পর তার রক্ত পরীক্ষায় ক্যান্সার ধরা পড়ে। চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান। সাথে আমিও ব্যাংককের সিরিলাস হাসপাতালে এক মাস ছিলাম। আমার ডাক্তার (ওয়াংচাই) তার সাধ্যমতো ভালো চিকিৎসা দিতে কার্পণ্য করেননি। আমাদের বাড়ির কাছের এক বড়ুয়া যুবক মামানন্দ বড়ুয়া সেখানে স্থায়ী হয়েছিল। সে প্রতিদিন হাসপাতালে আসত। আমাদের খাদ্যতালিকার শূকরের মাংস সবটাই সে খেয়ে ফেলত। তাকে সবাই সে দেশে (মিস্টার চান) বলে ডাকত। একদিন সাথে করে তার বান্ধবীকেও নিয়ে আসে সে নাকি কথা দিয়েছিল, তার বান্ধবী কে বিয়ে করবে কিন্তু করেনি। বান্ধবী আমাদের কাছে অভিযোগ দেয়- ‘চান নো গুড’
ফিরে এসে মানিকদা তিন বছর বেঁচে ছিলেন। চট্টগ্রাম অঞ্চলের বনসংরক্ষক পদে পদোন্নতি নিয়ে কিছুদিন দায়িত্ব পালন করে মারা যান। শেষবারের মতো আমি ক্ষমা চেয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন ‘ইউ আর মাই গোল্ডেন ব্রাদার’।
ড. শফিক আহমদ খান মানিক মিয়া এতক্ষণ যাকে আমি মানিকদা বললাম তার প্রথম ছেলে ড. নিয়াজ আহমদ খানের জন্ম ১৯৬৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর। তার বংশধারা চুনতির ডেপুটি পরিবার থেকে। এই পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। ইতিহাস পণ্ডিত ড. মঈনুদ্দিন আহমদ খান অন্যতম ভাষাসৈনিক ফরমান উল্লা খান। লোহাগাড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরিদ উদ্দিন খান এই পরিবারের সদস্য। কবি সুফিয়া কামাল ও সুসাহিত্যিক সমালোচক কামাল উদ্দিন আহমেদ খান ড. নিয়াজের ছোট দাদা।
অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানকে আমরা সেরাদের সেরা ও আমাদের পরিবারের গৌরব মনে করি। সে কোনো দিন প্রথম ছাড়া ২য় হয়নি। ১৯৮১ সালে কুমিল্লা বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান ও বোর্ড মেডেল পায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক এ-ডে স্নাতক ও মাস্টার্স এ প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে। মাস্টার্সে সব ফ্যাকাল্টির মধ্যে মেধাতালিকায় সর্বোচ্চ স্থান অধিকার করায় তাকে গুল মেহের গোল্ড মেডেল দেয়া হয়।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ
চুনতি মহিলা কলেজ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা