গল্পধাঁধা
- মো. মাঈন উদ্দিন
- ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
চকচকে দামি ঘড়ি। রাজুর হাতে। মামা তাকে পাঠিয়েছে। বিদেশ থেকে। উপহার হিসেবে। বিকেল ৪টা বাজে। রাজু স্কুল থেকে ফিরছে। সাথে ঝিংকু ও রিংকু। ঝিংকু রাজুকে বলল, ‘তোর নতুন ঘড়িতে কটা বাজে, দেখতো।’ রাজু বাম হাত উঁচিয়ে বলল, ‘চারটে বাজে দশ মিনিট।’ হঠাৎ রাজুর কী হলো কে জানে। ও চঞ্চল হয়ে উঠল। বলল, ‘রিংকু-ঝিংকু, চল আমার সাথে।’ রিংকু বলল, ‘কোথায়?’ রাজু বলল, ‘চল্ না মজার ঘটনা দেখি।’ ওরা সবাই পাশের জঙ্গলে প্রবেশ করল। কিছুদূর এগুতেই ওরা আশ্চর্য হলো। যদু কাকা কাঁঠাল গাছের ওপর। কাঁঠাল খাচ্ছে। কাঁঠালের কঠিন কষে গোঁফ সাদা। যদু কাকা গাছে বসে কাঁঠাল খাচ্ছে আর তা দেখে ওরা তিনজনে হেসে লুটুপুটি খাচ্ছে। কিছুদূর এগুনোর পর রাজু হঠাৎ বামপাশের গলি দিয়ে দৌড়াতে লাগল। বলল, ‘এই, তোরা আমার সাথে আয়।’ রিংকু-ঝিংকু কিছু বুঝে অথবা না বুঝেই রাজুর পিছু পিছু দৌড়াতে লাগল। মিনিট খানেক দৌড়ানোর পর ওরা তিনটি শিম্পাঞ্জি দেখতে পেল। মা-বাবা ও শিশু শিম্পাঞ্জি। জানালার কার্নিশে বসে খেলা করছে। বাবা শিম্পাঞ্জি শিশু শিম্পাঞ্জিকে উল্টাবাজি দিতে শিক্ষাচ্ছে। ওদের দেখামাত্র মা শিম্পাঞ্জি দু’হাতে ইশারা করল। ইশারা তো নয়, স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ওদের ডিস্টার্ব না করতে অনুরোধ করছে। শিম্পাঞ্জিদের কসরত দেখে দারুণ উচ্ছ্বসিত ওরা। এদিকে রিংকু-ঝিংকুর মান উদিত হলো এক বিরাট প্রশ্ন। রাজু কী করে অদ্ভুত ঘটনাগুলো আগেই জেনে যাচ্ছে। তাহলে কি রাজু পণ্ডিত হয়ে গেল!
প্রশ্ন : তোমরা যারা উপরের গল্পটি পড়েছ। তারা বলো তো, রাজু কী করে অদ্ভুত ঘটনাগুলো আগেই জেনে গেল?
এবার তোমাদের উত্তরটি মিলিয়ে নাও।
উত্তর : রাজুর মামা ওকে যে ঘড়িটি উপহার দিয়েছে, তাতে এমন এক চিপ লাগানো আছে- যাতে আশপাশে মজাদার কোনো ঘটনা ঘটলে ওতে বার্তা আসে এবং ঘটনা কোন দিকে ঘটছে তার দিকনির্দেশক চিহ্ন ভাসে। ওই বার্তা ও দিকনিদের্শক চিহ্ন দেখেই রাজু ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা