হেমন্তে শীতের বার্তা
- গোলাপ মাহমুদ সৌরভ
- ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
শরতের শেষে সবেমাত্র হেমন্তের আগমন চারদিকে হলুদ ফুল আর সবুজ পাতার বাহার মৃদু হেসে শিউলির আমন্ত্রণে হাল্কা কুয়াশা আর শীতের উষ্ণ আর্দ্রতার মিষ্টি রোদের সকাল।কৃত্তিকা ও আর্দ্রা এ দুটি তারার নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাস। বাংলাদেশের ছয়টি ঋতুর মধ্যে হেমন্ত একটি আর হেমন্ত মানেই শীতের পূর্বাভাস। হেমন্তকে বলা হয় ঋতুর রাণী। কার্তিকের পরেই শুরু হয় সর্বজনীন নবান্ন উৎসব আউশ আমন ধানের পরিপক্ক কৃষকের মুখে নবান্নের হাসি।সম্রাট আকবর অগ্রহায়ণ মাস কে প্রথম বা খাজনা আদায়ের মাস বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধানের নতুন চাল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠাপুলি ও ফিরনি পায়েস তৈরি করে জামাইবরণ উৎসব পালন করা হয় বাংলাদেশের কোনো কোনো অঞ্চলে। বাড়ি বাড়ি দেখা যেতো ঢেঁকিতে ধান বানার মাতম। গ্রাম্য মেলা জুড়ে করা হয় মুড়ি, খৈ, মোয়ার পসরা এবং লাঠিখেলা, নাগরদোলা, বাউলগান, রঙিন চুরি ও মাটির পুতুলের আয়োজন। এছাড়াও ঋতুতে ফোটে গন্ধরাজ, মল্লিকা, কামিনী, শিউলি, হিমঝুরি, দেবকাঞ্চন প্রগতি। হেমন্তের সোনালি ধান আর সবুজ পাতার ওপর শিশিরবিন্দু বাংলাদেশের প্রাকৃতিক রূপবৈচিত্র্য কে করে তুলে অপরূপ সৌন্দর্যের দৃশ্য। আজ ইচ্ছে করে পাখির মতো ডানা মেলে হেমন্তের শান্ত দ্বীপ্ত দ্বিপ্রহরেশব্দহীন গতিহীন স্তব্ধতা শ্রান্ত প্রকৃতিতে হারিয়ে যাই। সকাল বেলা শিরশির শীত আর পড়ন্ত বিকেলে গাঁয়ের মেঠোপথ ধরে হাঁটতে এ যেন অন্য রকম এক অনুভূতির ছোঁয়া লাগে। সবুজ পাতার ওপর ভোরের শিশিরের আবরণ যেন মুক্ত ছড়ায়। মটরশুঁটি আর কলাই ফুলে রঙিন প্রজাপতির মেলা ও নীল ভোমরের মধু সংগ্রহের দৃশ্য। কৃষকের মুখে হাসি ও মনে ঘরে নতুন ধান তোলার আনন্দ সারা বছর মহাজনের কাছ থেকে যে টাকা দ্বার করে ফসল বোনা হয় আর হেমন্তের কার্তিক মাসে পাকা ফসল ঘরে তোলে আর সেই টাকা পরিশোধ করে বছরজুড়ে খাবার মজুদ থাকবে এমনটাই প্রত্যাশা করে খেটে খাওয়া কৃষকগোষ্ঠী। বাংলাদেশের প্রকৃতি ও রূপবৈচিত্র্য আর সৌন্দর্যের লীলাভূমি ধরে রেখেছে আমাদের দিনমজুর কৃষক, চাষা, রাখাল এরাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের রূপকার। হেমন্তের আগমনে শীতের বার্তা পৌঁছে দিলো গ্রামবাংলার মাটি ও মানুষের কাছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা