১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সামাজিক অবিচার জুলুম ও ধৈর্য

-


পরকীয়া ভয়ঙ্কর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজের সব শ্রেণীপেশার মানুষের মধ্যে। পরকীয়া একটি সমাজবিধ্বংসী বিকৃত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। পরকীয়া জেরে স্বামী স্ত্রীকে খুন করছে, স্ত্রী স্বামীকে খুন করছে। পরকীয়ার মোহে আদরের সন্তানকে মেরে গুম করে ফেলছে অনেকেই, এমনকি পরকীয়ার মোহে অন্ধ হয়ে অনেকই নিজ মা-বাবাকেও ছাড় দিচ্ছে না। তাদের ভয়ঙ্কর নেশাকে জিইয়ে রাখার জন্য পত্রিকা, টিভি, স্কিন সব স্থানেই পরকীয়ার নিউজ। এ যেন আমাদের মধ্যে সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়তই নানান দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে। ব্যভিচারকারীদের শাস্তি হিসেবে একটি আয়াত আল্লাহপাক ইরশাদ করেন- ‘ব্যভিচারকারী নারী ও পুরুষ উভয়কে ১০০টি বেত্রাঘাত করো।’ (সূরা নূর-২) এটি অবিবাহিত জিনাকারীর শাস্তি। আর পরকীয়া কিংবা অন্য কোনো মাধ্যমে বিবাহিত নারী পুরুষ যদি জিনায় লিপ্ত হয়, তাদের জন্য রয়েছে ইসলামে ভয়াবহ শাস্তি, পাথর নিক্ষেপের মাধ্যমে তাদের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। রাসূল সা: পরকীয়া ব্যভিচারের ভয়ানক শাস্তির কথা বর্ণনা করে বলেন, ‘হে মানবজাতি; তোমরা ব্যভিচার পরিত্যাগ করো। ব্যভিচারকারীদের জন্য ছয়টি কঠিন শাস্তি রয়েছে।

এর মধ্যে তিনটি শাস্তি দুনিয়াতে ও তিনটি শাস্তি আখিরাতে প্রকাশ পাবে। যে তিনটি শাস্তি দুনিয়াতে প্রকাশ পাবে তা হচ্ছে- তার চেহারার উজ্জ্বলতা বিনষ্ট হবে, তার আয়ুকাল সঙ্কীর্ণ হয়ে যাবে এবং তার দারিদ্র্যতা চিরস্থায়ী হবে আর যে তিনটি শাস্তি আখিরাতে প্রকাশ পাবে তা হচ্ছে- সে আল্লাহর অসন্তোষ কঠিন হিসাব ও জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করবে। (বায়হাকি-৫৬৪) হজরত সাহল ইবনে সাদ রা: থেকে বর্ণিত- রাসূল সা: বলেন, ‘যে ব্যক্তি মুখ ও লজ্জাস্থানের হিফাজতের জামিনদার হবে, আমি তার বেহেশতের জামিনদার হবো।’ (বুখারি-৭৬৫৮) এ হাদিস দ্বারা প্রতীয়মান হয়, যে ব্যক্তি পরকীয়া বা হারাম রিলেশন থেকে নিজেকে সংযত রাখবে, আল্লাহ তায়ালা তার বেহেশতের জামিনদার হবেন। কখনো দেখা যায় দেবরের সাথে জমে উঠে পরকীয়া, ইসলাম দেবরের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করার লাগামকেও টেনে ধরেছে। হজরত উকবা ইবনে আমের রা: থেকে বর্ণিত- রাসূল সা: বলেন, ‘সাবধান, তোমরা নির্জনে নারীদের কাছেও যেও না।’ এক আনসার সাহাবি বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ; দেবর সম্পর্কে আপনার নির্দেশ কি? রাসূল সা: বললেন, ‘দেবর তো মৃত্যু সমতুল্য।’ (মুসলিম-২৪৪৫) হাদিসের ব্যাখ্যায় ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, এখানে মৃত্যুর সমতুল্য অর্থ হলো হারাম। নারী-পুরুষ সবাইকেই চরিত্র সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন- ‘তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। এটি অশ্লীল কাজ ও নিকৃষ্ট আচরণ।’

(সূরা বনি ইসরাইল-৩২) সূরা নূরের ৩০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা পুরুষদের দৃষ্টি সংযত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর ৩১ নম্বর আয়াতে নারীদের দৃষ্টি সংযত রাখার পাশাপাশি পরপুরুষের সামনে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন। স্ত্রীর সৌন্দর্য স্বামীকে তার প্রতি আকর্ষণ করলে সংসারে শান্তিই বাড়বে। পক্ষান্তরে নারীর সৌন্দর্য তার স্বামী ছাড়া অন্যকে আকর্ষণ করলে তা কেবল অশান্তিই বাড়াবে। ইসলামে পরকীয়া ও অবৈধ সম্পর্ক থেকে নারী-পুরুষকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া নারী পরপুরুষের সাথে কথা বলা উচিত নয়। সূরা আহজাবের ৩২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা নারীদের পরপুরুষের সাথে কোমল আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলতে নিষেধ করছেন। অন্য কোনো নারী-পুরুষ যেভাবে অবৈধ সম্পর্কে না জড়ায় তার জনই আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের এই আদেশ। যদিও এ আয়াতটি নবীর স্ত্রীদের ব্যাপারে নাজিল হয়েছিল কিন্তু তা সব মুমিনের ওপর প্রযোজ্য। পরকীয়ার প্রধান কারণ আল্লাহর ভয় থেকে নিজেদের অমনুযোগী করে রাখা। ইসলামে শুধু অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে চূড়ান্ত রূপটাই জিনা নয়; বরং যেসব কাজ জেনার প্ররোচনা দেয়, সেগুলোকেও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং তাকেও জেনা বলে গণ্য করা হয়। হাদিসে এসেছে, চোখের ব্যভিচার হলো দেখা, কানের ব্যভিচার হলো শুনা, জিহবার ব্যভিচার হলো বলা, হাতের ব্যভিচার হলো ধরা, পায়ের ব্যভিচার হলো হাঁটা। মন কামনা করে আর লজ্জাস্থান তা সত্য-মিথ্যায় পরিণত করে।’ (মুসলিম-২৬৫৭) আমাদের দেশের আইনেও পরকীয়া একটি জগণ্যতম অপরাধ। দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারায় পরকীয়ার শাস্তির কথা বলা হয়েছে। যদি কোনো ব্যক্তি অপর ব্যক্তির স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়, তাহলে ধর্ষণ বলে গণ্য হবে। সেই ব্যক্তি অপরাধী বলে সাব্যস্ত হবে। এই ক্ষেত্রে পাঁচ বছর পর্যন্ত সশ্রম বিনাশ্রম বা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। আল্লাহ পরকীয়ার মতো জগণ্য পাপ থেকে আমাদের সবাইকেই হিফাজত করুন, আমিন।

ধৈর্যের ব্যাপারে ইসলামের আহ্বান
আমাদের জীবন চলার পথে সঙ্কটময় মুহূর্তে আমরা অনেকেই হতাশ হয়ে ধৈর্যহারা হয়ে যায়। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা কুরআনুল কারিমে ইরশাদ করেন- ‘ধৈর্যশীলদের তাদের প্রতিদান বেহিসাব দেয়া হবে।’ (সূরা জুুমার-১০) আল্লাহ তায়ালা আরো ইরশাদ করেন- ‘তোমরা নামাজ এবং ধৈর্যের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো, আল্লাহ তায়ালা ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।’ (সূরা বাকারা-১০৩) হজরত আবু সাইদ খুদরি রা: থেকে বর্ণিত- আনসারি কত লোক রাসূল সা:-এর কাছে সাহায্য চাইল, রাসূল সা: তাদেরকে দান করলেন। তারা আবার চাইল, তিনি তাদেরকে দান করলেন। এমনকি তার কাছে যা কিছু ছিল সব শেষ হয়ে গেল। তিনি তাদের জন্য সব কিছু ব্যয় করার পরে তাদেরকে বললেন, আমার কাছে কোনো কিছুই নেই। আমি তোমাদের থেকে কোনো কিছুকে জমা করে রাখিনি। যে ব্যক্তি পবিত্র থাকতে চায়, আল্লাহ তায়ালা তাকে পবিত্র রাখেন। আর যে ব্যক্তি অমুখাপেক্ষী থাকতে চায়, আল্লাহ তায়ালা তাকে অমুখাপেক্ষী রাখেন। আর যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করতে চায়, আল্লাহ তায়ালা তাকে ধৈর্য দান করেন। আর ধৈর্যের চেয়ে উত্তম ও প্রশস্ত কোনো কিছু কাউকে দেয়া হয়নি।’ (বুখারি, মুসলিম) হাদিসের বিবরণিতে পাওয়া যায়, হজরত আতা ইবনে আবি বারাহ রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, আমাকে ইবনে আব্বাছ রা: বলেন, আমি কি তোমাকে জান্নাতি নারী দেখাব? আমি বললাম অবশ্যই, তিনি বললেন, এই কালো মহিলাটি রাসূল সা:-এর কাছে এসে বলেছে, আমি মৃগী রোগী, আমার শরীরের কাপড় খোলে যায়, যখন এতে আক্রান্ত হই। আপনি আমার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। রাসূল সা: বললেন, ‘তুমি যদি এর ওপর সন্তুষ্ট হয়ে ধৈর্য ধারণ করো, তাহলে এর পরিবর্তে তুমি জান্নাত পাবে। আর যদি তুমি চাও, আমি তোমার জন্যে দোয়া করি, তাহলে আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করব, তিনি তোমাকে সুস্থতা দান করবেন।

সে বলল, আমি ধৈর্য ধারণ করব। কিন্তু আমার ছতর যে খোলে যায়, এর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যাতে না খোলে। তিনি তার জন্য দোয়া করলেন।’ (বুখারি, মুসলিম) আমাদের জীবনে কোনো বিপদ মুসিবত এলে আমরা হাল ছেড়ে দেই কিন্তু ধৈর্য মানবজীবনে পরীক্ষা স্বরূপ। এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘অবশ্যই আমি তোমাদেরকে পরীক্ষা করব, ভয়, ক্ষুধা, জানের ক্ষতি, সম্পদের ক্ষতি ও ফসলাদির ক্ষতি দিয়ে। সুসংবাদ রয়েছে তাদের জন্য যারা বিপদের সময় ধৈর্যের মাধ্যমে বিপদকে মোকাবেলা করেছে।’ (সূরা বাকারা-১৫৫) আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন- ‘চার শ্রেণীর লোক ব্যতীত সব মানুষ ধ্বংসের মধ্যে নিমজ্জিত। ওই চার শ্রেণীর এক শ্রেণী হলো ধৈর্য ধারণকারী।’ (সূরা আসর) কুরআন-হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, ধৈর্যের তিন শাখা : ১. নফসকে হারাম এবং নাজায়েজ বিষয়াদি থেকে বিরত রাখা; ২. ইবাদত ও আনুগত্য বাধ্য করা এবং ৩, যেকোনো বিপদ ও সঙ্কটে ধৈর্য ধারণ করা। দুনিয়াতে মানুষের বিপদাপদ আসা স্বাভাবিক। কিন্তু পরম করুণাময় এর বিনিময়ে মুমিন বান্দাদের গুনাহ মাফ করে দেন। হজরত আবু সাইদ খুদরি রা: ও আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- নবীজী সা: বলেছেন, ‘মুসলিম ব্যক্তির যে কষ্ট-ক্লেশ, রোগ ব্যাধী উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা-কষ্ট ও পেরেশানি আসে এমনকি যে কাঁটা তার দেহে ফোটে, এসবের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা তার গুনাহ ক্ষমা করে দেন।’ (বুখারি-৫৬৪১) আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে যথাসময়ে ধৈর্য ধারণ করার তাওফিক দান করুক, আমিন।

জুলুমের ভয়াবহ পরিণাম
জুলুম অন্যায় অবিচারে ছেয়ে গেছে চারপাশ, প্রত্যেকটি স্থানে প্রত্যেকটি সেক্টরে জুলুমের সয়লাব ঘটছে। সবল দুর্বলের প্রতি জুলুম করছে, দুর্বল কৌশলগতভাবে সবলের প্রতি জুলুম করছে। এগুলো যেন তেমন কোনো অন্যায় বা পাপ নয়। সমাজের দৃষ্টিতে তাই যদি হতো তাহলে মানুষ একে অপরের প্রতি হিংস্র মনোভাব থেকে ফিরে আসত। অনেকেই নামাজ রোজা হজ জাকাতসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে গুরুত্ব দিলেও একে অন্যের প্রতি জুলুম অত্যাচার নির্যাতন নিপীড়ন নিষ্পেষণকে অবহেলার চোখে দেখে। অথচ কুরআন-হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, তা গুরুতর অন্যায়। জালেমদের শাস্তির ব্যপারে আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘আমি জালেমদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি অগ্নি, যার বেষ্টনী তাদেরকে পরিবেষ্টন করে রাখবে। তারা পানীয় চাইলে তাদের দেয়া হবে গলিত ধাতুর মতো পানীয়। যা তাদের মুখমণ্ডল দগ্ধ করবে। এটি কত নিকৃষ্ট পানীয় জাহান্নাম কতই না নিকৃষ্ট আশ্রয়।’ (সূরা কাহাফ-২৯) জুলুমকে আল্লাহ তায়ালা নিজের জন্য হারাম করে দিয়েছেন। হাদিসে কুদসিতে নবীজী সা: ঘোষণা করেন, ‘আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে আমার বান্দারা! আমি আমার নিজের জন্য জুলুম করা হারাম করে নিয়েছি এবং তোমাদের পরস্পরের মধ্যেও জুলুম হারাম করেছি। সুতরাং তোমরা একজন অন্যজনের উপর জুলুম করো না।’ (মুসলিম) যে ব্যক্তি জুলুম করে তাকে জালেম বলা হয়। আল্লাহ তায়ালা জালেমদের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, জালেমদের কোনো বন্ধু নেই এবং সুপারিশকারীও নেই যার গ্রাহ্য হবে।’ (সূরা মুমিন-১৮) জুলুমের পরিণাম খুবই ভয়াবহ। জুলুম এমন একটি অন্যায় কাজ, যার শাস্তি আল্লাহ তায়ালা ইহকালেও দিয়ে থাকেন। জালেমের বিচার শুধু কিয়ামতে দিবসেই হবে না; বরং দুনিয়া থেকে আল্লাহ তায়ালা তাদের জুলুমের প্রতিদান দেয়া শুরু করেন। রাসূল সা: বলেছেন, ‘দুটি পাপের শাস্তি আল্লাহ তায়ালা আখিরাতের পাশাপাশি দুনিয়াতেও দিয়ে থাকেন।

তা হলো- জুলুম ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার শাস্তি।’ (তিরমিজি-২৫১১) মজলুম বা নিপীড়িতের দোয়া কখনো ব্যর্থ হয় না। তাই মজলুমের চোখের ঝল অন্তরের অভিশাপ পতনের অন্যতম কারণ। রাসূল সা: বলেন, ‘তোমরা মজলুমের দোয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকো। কেননা মহান আল্লাহ ও তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না।’ (বুখারি-১৪৯৬) মানুষের অধিকার হরণ করা ও তাদের ধনসম্পদ আত্মসাৎ করা অনেক বড় জুলুম। এ ধরনের জুলুমের কারণে পুরো পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। তাদের ব্যাপারে রাসূল সা: বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই যারা মানুষকে অন্যায়ভাবে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তায়ালা তাদের শাস্তি প্রদান করবেন।’ (মুসলিম-২৬১৩) রাসূল সা: ইরশাদ করেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া আল্লাহর কাছ থেকে ফেরত আসে না। ১. ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া; ২. ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া; ৩. মজলুমের দোয়া।’ আল্লাহ তায়ালা তাদের দোয়া মেঘমালার উপরে তুলে নেন এবং তার জন্য আসমানের দরজাগুলো খোলে দেন। মহান রব বলেন- ‘আমার সম্মানের শপথ, কিছুটা বিলম্ব হলেও আমি তোমাকে অবশ্যই সাহায্য করব।’ (তিরমিজি-৩৫৯৮) হাদিসে বর্ণিতে রয়েছে, রাসূল সা: বলেন, ‘কিয়ামতের দিন আল্লাহর বান্দারা খালি পায়ে নগ্নদেহে ময়দানে সমবেত হবে। এ সময় গুরুগম্ভীর স্বরে এক আওয়াজ ধ্বনিত হবে, যা দূরের ও কাছের সবাই শুনতে পাবে। বলা হবে- আমি সবার অভাব পূরণকারী রাজাধিরাজ। কোনো জান্নাতবাসীর পক্ষে জাহান্নামে যাওয়া এবং জাহান্নামবাসীর পক্ষে জান্নাতে যাওয়া সম্ভব নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত তার কৃত জুলুমের আমি প্রতিশোধ না নেই। এমনকি তা যদি একটি চড়থাপ্পড় বা লাথির পর্যায়েও হয়ে থাকে। তোমার প্রভু কারো উপর জুলুম করেন না।’ আমরা বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ সা:! সেটি কিভাবে সম্ভব হবে? আমরা তো সবাই খালি পায়ে ও নগ্নদেহে থাকব, রাসূল সা: বললেন, ‘প্রত্যেকের কৃত সৎকর্ম ও অসৎকর্মের আদান প্রদান দ্বারাই প্রতিশোধ নেয়া হবে। তোমাদের প্রতিপালক জালেম নন।’ (মুসনাদে আহমদ) আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকেই জুলুমের মতো গুনাহ থেকে হিফাজত করুন, আমিন।

লেখক : ইসলামিক দায়ী ও সমাজ গবেষক

 


আরো সংবাদ



premium cement
গাজার যুদ্ধে ‘প্রকৃত বিরতির’ আহ্বান ব্লিংকেনের পার্লমেন্টে আস্থা ভোট দেবেন জার্মান চ্যান্সেলর বাতাসে কদবেলের ঘ্রাণ! জাতিসঙ্ঘের জলবায়ু সম্মেলনে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করলেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা ইউক্রেনকে আরো সহায়তা দিতে ব্লিংকেনের প্রতিশ্রুতি ইমরানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান হলের সিট বণ্টন নিয়ে উত্তপ্ত কুবি, প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করাচি থেকে প্রথম সরাসরি কার্গো পৌঁছেছে চট্টগ্রামে মুখরোচক খাবারে সরগরম লক্ষ্মীবাজারের স্ট্রিট ফুড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে ভারতের লাভ? মন্ত্রিসভায় চীন-পাকিস্তানবিরোধী ব্যক্তিরা! লড়াই করেও ভারতের কাছে হেরে গেল দ. আফ্রিকা

সকল