কাঞ্চনজঙ্গার সৌন্দর্য
- আসাদুজ্জামান আসাদ
- ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
উত্তরাঞ্চল কুয়াশার চাদরে ঢাকা। সবুজ ঘাসে বিন্দু বিন্দু শিশির কণা। আকাশ পরিষ্কার থাকলেই ভেসে উঠে কাঞ্চনজঙ্ঘার মোহনীয় সৌন্দর্য। এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ তৃতীয় পর্বতমালা। বিকেল হলেই তেঁতুলিয়াবাসী নান্দনিক অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করেন। শীতের আগে অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসে মেঘমুক্ত তুষার শুভ্র হিমালয় পর্বতমালার অপরূপ দৃশ্য নজরে ভাসে। পরিবেশবান্ধব পরিবেশে ভোর রাত থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার নয়নাভিরাম নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ আসে। প্রতিদিন ভ্রমণ পিপাসু পর্যটক, অধ্যাপক, সাংবাদিক, ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণীর মানুষ তেঁতুলিয়ায় ছুটে আসে। পর্যটক বরণ করার নিমিত্তে সাজানো হয়েছে হোটেল ও রিসোর্ট। পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নে বিভোর।
পরিবেশবান্ধব পরিবেশ, দৃষ্টিনন্দন উল্লাসে মেতে উঠেছে আহসান হাবিব জিনান, ফাহিম আদনান, মাহির দাইয়ান, রাগিব মোবাররার, আল মাহমুদ তনু, বর্ণ, সাদিয়া। তারা কাঞ্চনজঙ্গার নৈর্সগিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছে। প্রতিক্ষণে রূপের জাদু, মোহনীয় সৌন্দর্য বদলে গেছে পালা বদলের হাওয়ায়। হিমালয়ের দৃশ্য দেখে সবাই বিমুগ্ধ। আহ্বান হাবিব জিনান বলেন, আমরা তেঁতুলিয়া থেকে হিমালয় দেখতে এসেছি। আকাশ পরিষ্কার থাকায় অতি সুন্দরভাবে তা উপভোগ করেছি। কাঞ্চনজঙ্ঘার আকর্ষণ-বিকর্ষণে হাজার হাজার পর্যটক তেঁতুলিয়ায় ছুটে আসছে। নিজেকে হারিয়ে ফেলে সৌন্দর্যের লিলাভূমিতে। দৃষ্টির পরতে পরতে নৈসর্গিক সৌন্দর্য ভেসে ওঠে। হৃদয়ের আকাক্সক্ষা শেষ হয় না। মহান প্রভুর কি মহিমা। বিকেল হলে কাঞ্চনজঙ্ঘা কোথায় যেন হারিয়ে যায়। বাহ! আল্লাহর কি অপরূপ সৃষ্টি। কাঞ্চনজঙ্ঘা উচ্চতার দিক দিয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৮ হাজার ১৬৯ ফুট বা ৮ হাজার ৫৮৬ মিটার। তেঁতুলিয়া থেকে দূরত্ব প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ কিলোমিটার। এই পর্বতটি ভারতের সিকিম রাজ্যের নেপালের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে অবস্থিত। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার নয়নাভিরাম নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগের মজা সম্পূর্ণ আলাদা। হিমালয় কন্যা তেঁতুলিয়ায় পর্যটকদের মহা ভিড়। এখানকার জনগোষ্ঠী খুবেই অতিথিপরায়ণ। সুন্দর আতিথেয়তা, শান্ত সৃষ্ট পরিবেশে সবাই মুগ্ধ। কাঞ্চনজঙ্ঘা থেকে জন্ম চারটি নদী। এসব বড় নদী ভারত হয়ে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত। অনেক ধর্মাবলি কাঞ্চনজঙ্গাকে দেবতা এবং দেবতার বাসস্থান মনে করেন। অনেকে বিশ্বাস করেন এখানে অমরত্বের রহস্য লুকানোর সাগর। মুসলমানেরা বিশ্বাস করি, এটি মহান আল্লাহর এক রহস্যময় সৃষ্টি। রহমতের মহাভাণ্ডার। অফুরন্ত নিয়ামতে ভরপুর। আকাশ পরিষ্কার থাকলেই উত্তরাকাশে কাঞ্চনজঙ্ঘা ভেসে ওঠে। দৃষ্টিনন্দন অপরূপ সুন্দর মনোমুগ্ধ দৃশ্যাবলি। শিশু-কিশোর, ছাত্রছাত্রীরা দেখে মহান আল্লাহর কাছে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে হিমালয়ের মহাবিস্ময় দেখে। সৌন্দর্যের সব রঙ মিশিয়ে নৈসর্গিক সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলে। পাহাড়কে নিয়ে কবি বলেন, তেঁতুলিয়ায় দাঁড়ালে উঁচু করে শীর/দেখা যায় হিমালয়ে আছে যত নীড়। তেঁতুলিয়া একটি চমৎকার মনোহর আকর্ষণীয় জায়গা। প্রতি বছর পর্যটকরা আসে। অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসে। আবাসিক হোটেল ও রিসোর্ট বিভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো।
ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ের দূরত্ব ৫০০ কিমি.। বাস, ট্রেন, মাইক্রোবাসে আসা যায়। পঞ্চগড় থেকে তেঁতুলিয়ার দূরত্ব ৪০ কিমি.। তেঁতুলিয়া থেকে বাংলাবান্ধা ১৭ কিমি.। পঞ্চগড় থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব ৮০০ কিমি.। তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফের দূরত্ব ১০২১ কিমি.। ঢাকা থেকে পঞ্চগড় ও তেঁতুলিয়ায় সরাসরি দূরপাল্লার গাড়ি বিমানে, কমলাপুর থেকে মেইল ট্রেন, একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড় এক্সপ্রেসে সরাসরি আসা যায়। পর্যটক ও দর্শনার্থীদের খাওয়া ও থাকার রুচিসম্মত সুব্যবস্থা রয়েছে। হিমালয় কন্যা তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্ণার, ঐতিহাসিক ডাক বাংলো, শাহী মসজিদ, ভিতরগড় মহারাজার দিঘি, মহানন্দা নদী, সমতল পতিত ভূমিতে সবুজ চা বাগান, বাংলা বান্ধা জিরো পয়েন্ট পর্যটকদের কাছে টানে। প্রকৃতির টানে প্রতি বছর পর্যটকরা আসে। প্রকৃতির উদারতা প্রাণ খুলে উপভোগে মেতে ওঠে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা