একটি মানবিক রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েমের কিছু পূর্বশর্ত
- মোস্তফা কামাল মজুমদার
- ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০, আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১:৩১
কেউ কোনো অন্যায় করলে একমাত্র আইনের বিধান অনুযায়ী তার ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। কাউকে আইনের ঊর্র্ধ্বে বিবেচনা করা যাবে না। আদালতের রায় ছাড়া কাউকে অপরাধী বলা যাবে না বা অপরাধীর মতো কারো সাথে আচরণ করা যাবে না। বাক, ব্যক্তি স্বাধীনতা, মত প্রকাশ ও সভা-সমিতি করা মানুষের জন্মগত অধিকার হিসেবে বিবেচিত হবে। এই অধিকারগুলোর বিরুদ্ধে রচিত যেকোনো আইন বাতিল বলে গণ্য হবে
৫ আগস্ট বিপ্লবের পর বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের ঘোষিত লক্ষ্য বাংলাদেশকে একটি মানবিক রাষ্ট্রে পরিণত করা। যেখানে মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা হবে মূল আদর্শ। কোনো মানুষ কোথাও হবে না অবহেলিত, লাঞ্ছিত বা নির্যাতিত। পুলিশ, আদালত, প্রশাসন, সবাই নিবেদিত হবে মানুষের সম্মান ঊর্র্ধ্বে তুলে ধরার কাজে। তারা সব সময় মনে জারি রাখবে যাদের ট্যাক্সের টাকায় তারা লালিত ও পালিত সেই মানুষের সেবায় তারা থাকবে নিবেদিত। মানুষের মৌলিক অধিকার তারা লঙ্ঘন করবে না। সব মানুষকে সমান গণ্য করা হবে। লিঙ্গ, ধনী-গরিব, সবল-দুর্বল, শারীরিক বা মানসিকভাবে সক্ষম বা সাহায্য-নির্ভর, ধর্ম, বর্ণ বা গোত্রভেদে এই সাম্যের অন্যথা করা যাবে না। কেউ কোনো অন্যায় করলে একমাত্র আইনের বিধান অনুযায়ী তার ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। কাউকে আইনের ঊর্র্ধ্বে বিবেচনা করা যাবে না। আদালতের রায় ছাড়া কাউকে অপরাধী বলা যাবে না বা অপরাধীর মতো কারো সাথে আচরণ করা যাবে না। বাক, ব্যক্তি স্বাধীনতা, মতপ্রকাশ ও সভা-সমিতি করা মানুষের জন্মগত অধিকার হিসেবে বিবেচিত হবে। এই অধিকারগুলোর বিরুদ্ধে রচিত যেকোনো আইন বাতিল বলে গণ্য হবে। এই মানবিক অধিকারগুলো বাস্তবায়নের জন্য পাঁচটি অতি-মৌলিক অধিকার অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে। এগুলো হলো- খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার অধিকার।
মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন এই আদর্শ বাস্তবায়নের উপযোগী করে রাষ্ট্রকে গড়ে তোলা। যার জন্য দরকার সাংবিধানিক সংস্কার। প্রশ্ন হলো- এ কাজের জন্য কি নতুন করে সংবিধান প্রণয়ন করা জরুরি? অনেকে এ প্রশ্নের হ্যাঁ-সূচক জবাব দিয়ে বলছেন, মানুষের অধিকার লঙ্ঘনের হাতিয়ার বর্তমান সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে দিতে হবে। কথাটি মন্দ নয়। কিন্তু সমস্যা হলো নতুন করে সব করতে গিয়ে আমরা নতুন বিতর্কের জন্ম না দেই এবং বিতর্কের বেড়াজালে আটকে গিয়ে সংস্কারের সুযোগটা হাতছাড়া করে না ফেলি। আমরা জানি, বর্তমান সংবিধানের এত বেশি কাটাছেঁড়া করা হয়েছে যে, এর ওপর কারো আস্থা নেই। একটি বিশেষ শ্রেণীর শাসন কায়েমের স্বার্থে এটিকে এভাবে সাজানো হয়েছে। এই সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে দিলে আরেকটি সংবিধান দিয়ে তার শূন্যস্থান পূরণ করা যায়। ১৯৯১ সালের দ্বাদশ সংশোধনী সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছিল। এই সংশোধনীর পর সংবিধানের যে অবস্থা দাঁড়িয়েছিল তা সে সময়কার জন্য যথেষ্ট ছিল। কিন্তু কিছু দিন পরই আবার ত্রয়োদশ সংশোধনী পাস করতে হয় নির্বাচনের জন্য আরেকটি সর্বসম্মত বিধান, কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা, তার সাথে জুড়ে দিতে। তাহলে ত্রয়োদশ সংশোধনী পাস হওয়ার পর সংবিধানের যে ডকুমেন্ট দাঁড়ায় তাকেও সর্বসম্মতভাবে নিয়ে নেয়া যায়। কিন্তু এভাবে এগোতে হলে সব দলের সম্মিলিত বৈঠক ডেকে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আরেকটি পথ হলো বিগত স্বৈরাচারী সরকার এককভাবে, বিরোধী দলের ও মতের তোয়াক্কা না করে যেসব সংশোধনী জুড়ে দিয়েছে সেগুলো বাতিল করে দেয়া। কিন্তু সেগুলো বাতিল করতেও হয় একটি নির্বাচিত গণপরিষদ না হয় সংসদ লাগবে। এখানে আরো প্রশ্ন ওঠবে, মানবিক রাষ্ট্র গড়ার জন্য সংবিধানের যে গুণগত পরিবর্তন দরকার তার সব সেই ডকুমেন্টে নেই। তাহলে সাংবিধানিক সংস্কার আসবে কোন পথে?
বলে রাখা ভালো, সংবিধানের অনাকাক্সিক্ষত সংশোধনীগুলো বাতিল করার আরেকটি আইনসিদ্ধ পথ আছে। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) নেতা বদিউল আলম মজুমদার ও আরো কয়েকজন সিনিয়র নাগরিক পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করার জন্য হাইকোর্ট ডিভিশনে একটি রিট দাখিল করেছেন। রিটটি গ্রাহ্য হলে যে রায় পাওয়া যাবে তাতে বিগত সরকারের আনীত অধিকাংশ সংশোধনী বাতিল হয়ে যাবে এবং কেয়ারটেকার সরকারের অধীন নির্বাচন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।
তার ওপরে রয়েছে সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার দেয়া ষোড়শ সংশোধনীর বিরুদ্ধে রায় যা বাস্তবায়ন করলে কোর্ট ও জজদের নিয়ন্ত্রণের জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ফিরে আসবে। বিচারপতিদের ওপর নিয়ন্ত্রণ স্থাপনের জন্য ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে জাতীয় সংসদের ওপর যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তা রহিত হবে। জানা যায় সুপ্রিম কোর্টের কিছু বিচারপতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের আওতায় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার এস কে সিনহার রায়ের বিরুদ্ধে রিট দায়ের করে বিষয়টি হিমঘরে রেখে দিয়েছিল। তড়িগড়ি করে বাতিল করেনি। যেহেতু অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার বড় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকুক এমনটি রাজনৈতিক দলগুলো চায় না, সেহেতু ওপরে বর্ণীত সীমিত পদক্ষেপে আইনানুগভাবে সংবিধানের কাক্সিক্ষত বড় পরিবর্তন আনয়ন করা সম্ভব। মানুষের অধিকার সংরক্ষণের জন্য আরো কিছু সূক্ষ্ম সংশোধন করা লাগবে, যা পরবর্তী সংসদে বাধ্যতামূলকভাবে করার পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।
মানবিক রাষ্ট্র গঠনের পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলো হবে প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে দলনিরপেক্ষ করা এবং এদের নতুন মননে গড়ে তোলা যেন মানুষের অলঙ্ঘনীয় অধিকারগুলোতে কিছুতেই হস্তক্ষেপ না করে। বিগত ১৫ বছরে প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে এমনভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে যে, বিরোধী দলের কোনো ছোঁয়া আছে তা জানলে কোনো প্রার্থীর আর প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে চাকরি পাওয়ার সুযোগ থাকত না। অন্য কথায় সরকারি দলের পরিবারভুক্তরা শুধু চাকরি পেত। এটি শুধু বিসিএসএ সীমাবদ্ধ ছিল না, এমনকি সরকারি স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগে কার্যকর ছিল। সম্প্রতি চাকরি থেকে অন্যায়ভাবে বরখাস্তকৃত সামরিক কর্মকর্তারা চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সভা-সমিতি করেছেন। রাজনৈতিক কারণে বরখাস্ত এমন অনেক সরকারি কর্মকর্তাও রয়েছেন। পুলিশ বাহিনীতে এ রকম ঘটনার অভিযোগ রয়েছে। ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার স্বার্থে এমন কর্মকর্তাদের চুক্তিভিত্তিক হলেও পুনর্নিয়োগ দেয়ার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিরঙ্কুশ করতে হবে যেন মানুষ সুবিচার পায় এবং স্বীয় অধিকার নিয়ে আত্মমর্যাদার সাথে বসবাস করতে পারে। এ জন্য নিম্ন বিচার বিভাগের ওপর সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি আইন মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। উচ্চ আদালতে সুপ্রিম কোর্ট ও সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের নিয়ন্ত্রণ পাকা পোক্তভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
সশস্ত্রবাহিনীগুলোকে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিতে হবে। এবার ছাত্র গণ-আন্দোলনের সময় সশস্ত্রবাহিনী যে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে, তা অব্যাহত রাখার জন্য নতুন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী যেন স্বাধীন সার্বভৌম দেশের উপযোগী হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সশস্ত্রবাহিনী একে অপরের পরিপূরক কিন্তু বাহিনীগুলো বেআইনি নির্দেশ মানতে বাধ্য নয় এমন আদর্শের ধারা শক্তিশালী করতে হবে।
সর্বোপরি, প্রেস ও মিডিয়া এবং সাংবাদিকদের স্বাধীনতা প্রশ্নাতীত করতে হবে। মানবাধিকার সংরক্ষণের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান গণমাধ্যম। স্বাধীন গণমাধ্যম আবার বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করে সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে। মানুষ সুবিচার পাওয়ার সব প্রচেষ্টা যখন ব্যর্থ হয় তখন সাংবাদিকদের মুখাপেক্ষী হয়। দেখা গেছে এমনকি অনেক বিচারককে ও অন্যায় থেকে নিজেদের রক্ষার জন্য সাংবাদিকদের কাছে আসতে হয়। প্রেস ও মিডিয়াকে কালাকানুনের নাগপাশ থেকে মুক্ত করতে হবে। গণমাধ্যমে অসাধুতা রোধকল্পে প্রেস কাউন্সিলের নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে হবে। প্রেস ও মিডিয়াকে শাক্তিশালী করতে হলে তাদের অর্থনৈতিক সচ্ছলতার দিকেও নজর রাখতে হবে। উন্নত বিশ্বের বেশ কিছু দেশে অসচ্ছল অথচ মানসম্মত সাংবাদিকতা করে এমন গণমাধ্যমকে সরকারিভাবে প্রণোদনা দেয়া হয়। সাথে সাথে সাংবাদিকদের পেশাগত মানোন্নয়নের জন্য প্রেস ইনস্টিটিউট এবং মাস কমুনিকেশন ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা বাড়িয়ে সাংবাদিকদের ইন-সার্ভিস ট্রেনিং চালিয়ে যেতে হবে।
মানবিক সমাজ গড়ে তোলার জন্য অর্থনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করতে হবে। অনৈতিক পথে অর্থোপার্জনের ব্যবস্থা অব্যাহত থাকলে মানুষের মধ্যে সৎপথে চলার উৎসাহ কমে যাবে। মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ উঠে যাবে। সরকারি লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে হবে। তার জন্য ব্যাংকিংব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। নিয়মবহির্ভূত ঋণ কার্যক্রম শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে হবে। ব্যবসায়ী শ্রেণী উন্নয়নের বাহক। কিন্তু একটু বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, কিছু নামধারী ব্যবসায়ী এই পেশাকে ব্যবহার করে অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছেন। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রয়োজনের অধিক বা অনুৎপাদনশীল খাতে ঋণ নিয়ে জায়গা-জমি বা নতুন মডেলের গাড়ি কিনছেন। কিন্তু লোনের কিস্তি পরিশোধ করছেন না। এক শ্রেণীর ব্যাংকার কমিশন প্রাপ্তির জন্য এ ধরনের ঋণ বরাদ্দে সহায়তা করছেন এবং অপরিশোধিত লোনের চাপ বাড়িয়ে ব্যাংকগুলোকে দেউলিয়া করে তুলছেন। কিন্তু ব্যাংকগুলো অপরিশোধিত ঋণগ্রহীতা বা ঋণ প্রদানকারী ব্যাংকারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে ঋণগ্রহীতাদের আর্থিক সাশ্রয়ের ব্যবস্থা করছে। অন্য দিকে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কিছু উদ্যোক্তা পরিচালক সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সংগৃহীত ডিপোজিট যথেচ্ছ ঋণ নেয়া বা দেয়ার নামে লুটপাট করছেন। অতি সম্প্রতি এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কাজের স্বচ্ছতার ব্যাপারেও কথা উঠেছে। অন্য দিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ব্যাংকিং ডিভিশন চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন খর্ব করা হয়েছে। যথাশিগগির সম্ভব এই ডিভিশন তুলে দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে আবার একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে।
আশার কথা, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাংকিংব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে। সামষ্টিক অর্থনীতিতে কিছু ইতিবাচক ফলাফলও দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ব্যাংকিং ব্যবস্থার আমূল সংস্কার না করলে এই ধারা ধরে রাখা যাবে না। দুর্নীতিপরায়ণ লোকদের ব্যাংকিংব্যবস্থা থেকে উৎখাত করতে হবে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে তিন স্তরের নজরদারি কায়েম করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর আলাদা কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা করতে হবে যেন অনৈতিক কোনো পদক্ষেপ সূচনাতেই চিহ্নিত ও বাতিল করে দেয়া যায়।
এর সাথে শেয়ারবাজার নিয়ে কিছু সিন্ডিকেটের অসাধু ব্যবসায় বন্ধ করে সেখানে কর্মচাঞ্চল্য ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। এখানেও নজরদারি কায়েম করতে হবে। ব্যাংক, বীমা ও শেয়ারবাজারে এখন যে লুটপাট চলছে তাতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অর্থনৈতিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে সাথে সাথে ব্যাহত হচ্ছে একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ে ওঠার সুবর্ণ সুযোগ।
লেখক : ইংরেজি অনলাইন দৈনিক গ্রিনওয়াচ পত্রিকার সম্পাদক ও দ্য নিউ ন্যাশন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা