২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

অ্যালিয়েন কন্যা

অ্যালিয়েন কন্যা -

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দোর খুলে আনমনা বাইরে এল দিঠি। ঝাপসা চোখে সে এদিক-ওদিক তাকাল। ভোরের আলোয় তার চোখমুখ সহসা উজ্জ্বল হয়ে ওঠল। এক-পা দু-পা করে সে উঠোন পেরিয়ে প্রধান গেট খুলে বাসার বাইরে চলে এলো। ওখানে ঘন সবুজ দুর্বাঘাস। ঘাসের ডগায় মুক্তোদানা শিশিরকণা ঝুলে আছে। অরুণ আলোয় ভোরের শিশির ঝলমল করে হাসছে। দিঠি অবাক চোখে শিশিরের হাসাহাসি দেখছে।
সে সময় হঠাৎ কিছু একটা ঝনঝন আওয়াজ শুনে কৌতূহলী হয়ে উঠল দিঠি। সতর্ক হয়ে এদিক-ওদিক তাকাল সে। কিন্তু আশপাশে কিছুই দেখতে পেল না। রহস্যজনক ব্যাপার। কারণ ঝনঝন আওয়াজটা এবার ভোঁ ভোঁ আওয়াজে রূপ নিলো। মনে হলো কিছু একটা পোকা ভোঁ ভোঁ আওয়াজ তোলে পালিয়ে গেছে। দিঠি অবাক চোখে তাকিয়ে দেখল- ওটা একটা সবুজ গোবরে পোকার মতো। পোকাটা শূন্যে মিলিয়ে গেছে।
দিঠি এবার দূর দিগন্তের পানে তাকাল। নীলাকাশটা ওখানে এসে সবুজ গাঁয়ে হারিয়ে গেছে। মনে হচ্ছে আকাশ আর সবুজ গ্রাম যেন মিতালি পেতেছে! দিঠিদের প্রাচীর ঘেরা পাকা বাড়ি। বাড়ির ভেতর নানা জাতের নানান রঙের ফুলবাগান। কী মনে করে যেন দিঠি প্রাচীরের ওপর উঠে বসল। অমনি পোকাটাকে আবারো দেখতে পেল সে। ভোঁ ভোঁ আওয়াজ তোলে ওর পাশ কেটে ওটা চলে গেল। একবার দুবার তিনবার। এভাবে কোনো কারণ ছাড়াই ওটা ওর আশপাশে ঘুরে বেড়াতে লাগল। উড়ে বেড়াতে লাড়ল।
দিঠি এবার প্রাচীরের ওপর থেকে লাফ দিয়ে নিচে নেমে এলো। প্রধান গেট এঁটে দিয়ে সে বাসার ভেতর প্রবেশ করল। তার মাথার এলোমেলো চুলগুলো মৃদু মৃদু উড়ছিল। চুলের কিছু অংশ তার নাকমুখে আছড়ে পড়ছিল। দিঠি এবার তার পড়ার কক্ষে প্রবেশ করল। জানালার পাশে তার পড়ার টেবিল। চেয়ারে বসে টেবিলের ওপর দু-হাত রেখে সে কিছু একটা ভাবছিল। জানালার ওপাশ থেকে হাইড্রেনজিয়া ফুলের মিষ্টি সুবাস ভেসে আসছে। ফুলের সুবাসের সাথে হিমেল বাতাসও ওকে পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে।
সে সময় সেই পোকাটা উড়ে এসে ওর পড়ার টেবিলের ওপর আছড়ে পড়ল। আচমকা ওটাকে দেখে দিঠি চেয়ার ছেড়ে হঠাৎ লাফিয়ে ওঠল। সেটি ভয়ে নাকি অন্য কোনো কারণে ঠিক বুঝা গেল না। তবে অবাক চোখে সে পোকাটিকে দেখতে লাগল। আজব পোকা! জোনাকি পোকার মতো দীপ জ্বালায়। দিনদুপুরে দীপ জ্বালায়। ওর দীপ আবার রঙধনুর সাত রঙের মতো বর্ণিল। দিঠি সতর্ক হয়ে পোকাটির কাজকর্ম সবই লক্ষ করছে। দেখা গেল, পোকাটি ওর পড়ার টেবিলের ওপর বৃত্তাকারে ঘোরাঘুরি করছে। ঘুরছে আর দীপ জ্বালাচ্ছে। দীপ জ্বালাচ্ছে আর ঘুরছে। সাত রঙের দীপ। আশ্চর্য ব্যাপার নয় কী!
পোকাটির আচরণ দেখে দিঠি শুধু অবাকই হলো না, ওর কৌতূহলও একটু একটু করে বেড়ে চলল। পোকাটি বৃত্তাকারে চলতে চলতে টেবিলের ওপর হঠাৎ স্থির হয়ে বসল। দিঠি ভালো করে খেয়াল করল- ওর ধারণা সঠিক নয়। ওটি আসলে কোনো পোকা নয়। কেমন যেন ছোটখাটো একটি জিপগাড়ি। গাড়িটি পাখা ছাড়াই শূন্যে ওড়াউড়ি করতে সক্ষম। চলতে ফিরতে সক্ষম। আজব ব্যাপার তো! ভাবে দিঠি।
দিঠি যখন জিপ গাড়িটিকে নিয়ে ভাবনাবিভোর, তখন একটি আশ্চর্য ব্যাপার ঘটে গেল। ছোট্ট জিপ গাড়িটি চোখের সামনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিবর্তন হতে লাগল। পরিবর্তন হয়ে ওটি একটি বিছানায় রূপান্তিত হয়ে গেল। সেই বিছানায় দেখা গেল ছোট্ট পুতুলসদৃশ কিছু একটা নড়ছে। চিঁউ চিঁউ ধরনের এক প্রকার আওয়াজও করছে। দিঠি মনোযোগসহকারে সেই অদ্ভুত আওয়াজ শুনতে চেষ্টা করছে। শুনতে পেলো সে- ছুঁচোর কণ্ঠে মতো কেউ কিচিরমিচির কথা বলছে। কী কথা বলছে শোনার চেষ্টা করল দিঠি। ততক্ষণে সেই বিছানাটা আরো একটু প্রশস্ত হলো। আর ছোট্ট পুতুলটিও কিছুটা বড় হয়ে গেল।
ছোট্ট পুতুলটি মিটিমিটি হাসছে। ওর হাসিটা এবার স্পষ্ট শুনতে পেল দিঠি। পুতুলটা তার হাসি থামাল। তারপর ধাতব কণ্ঠে বলল, আমি একজন লিলিপুট মেয়ে। আমাকে দেখে তুমি নিশ্চয়ই খুব অবাক হচ্ছ! কথাটা বলে সে আগের মতোই হাসতে লাগল।
দিঠি এবার কৌতূহলী মনে সাহসে ভর করে তার চেয়ারটায় এসে বসল। সে এবার কাছে থেকে লিলিপুট মেয়েটিকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগল। দেখল- সত্যিই তো! ছোটখাটো আধ আঙুলে একটি মেয়েই বটে।
মেয়েটি আবারো কথা বলে উঠল- আমি লিলিপুট হলেও একজন অ্যালিয়েন কন্যা। দূর গ্রহের বাসিন্দা। খেয়ালের বশে তোমাদের পৃথিবীতে চলে এসেছি। এসে মনে হলো ভালোই করেছি। তোমার সাথে আমার দেখা হয়ে গেল।
দিঠি নিজেও এবার কথা বলে উঠল। বলল- কোন গ্রহটার কথা বলছ?
অ্যালিয়েন কন্যা বলল- গ্রহটার নাম ইউকিলিসিস।
‘ইউকিলিসিস’ নামটি শুনে দিঠি আরো অবাক হলো। বলল- কোথায় ওটা?
অ্যালিয়েন কন্যা বলল- ওটা দূরবর্তী প্লুটো গ্রহের একটি উপগ্রহ।
দিঠি বলল- কিন্তু এই নামে তো প্লুটোর কোনো উপগ্রহ আমাদের জানা নেই।
অ্যালিয়েন কন্যা বলল- মানুষেরা অনেক কিছুই জানে না। তাই বলে কী নেই।
ওর কথা শুনে দিঠি মনে মনে ভাবল- মেয়েটির কথা অবশ্য সঠিক। কিন্তু এসব তো জ্ঞানের কথা! এত ছোট্ট মেয়ে এত জ্ঞানের কথা কী করে জানল!
অ্যালিয়েন কন্যা তার মাথার বেনি দুলিয়ে দুলিয়ে খেলা করছিল। হঠাৎ সে বলে উঠল- তোমার ভাবনার কথাগুলো আমি জানি।
ওর কথা শুনে দিঠি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল- কী করে জানো?
অ্যালিয়েন কন্যা বলল- কেন, ছোট্ট হয়েছি বলে কী ওসব আমি জানতে পারব না ভাবছ?
দিঠি বলল- আমি ঠিক তা বলছি না। আমি তোমার আশ্চর্য ক্ষমতার কথাই ভাবছিলাম।
অ্যালিয়েন কন্যা বলল- তোমার সামনে তিনটি ভীষণ বিপদ। ওসব বিপদ থেকে তোমাকে সেফ করার দায়িত্ব নিয়ে আমি এখানে এসেছি।
ওর কথা শুনে দিঠি কেমন যেন থ হয়ে গেল। পরে জিজ্ঞেস করল- কী বিপদ আমার! আমি তো ছোট্ট একজন মেয়ে। দেখতে ঠিক তোমার মতো না হলেও ছোটই তো। ছোট মানুষের আবার বিপদ কী!
অ্যালিয়েন কন্যা বলল, সেটি সময় হলেই বুঝতে পারবে।
দিঠি বলল, তা বুঝতে পারব।
অ্যালিয়েন কন্যা বলল, তুমি আজ স্কুলে যেও না।
দিঠি বলল, কেন? স্কুলে যাবো না কেন?
অ্যালিয়েন কন্যা বলল, বিপদ হতে পারে। কথাটা বলার সাথে সাথে তার বিছানাটা ভাঁজ হয়ে ছোট্ট জিপগাড়িতে রূপান্তরিত হয়ে গেল। সেই জিপ গাড়িটা চড়ে ভোঁ ভোঁ আওয়াজ তোলে মুহূর্তেই সে উধাও হয়ে গেল।
অ্যালিয়েন কন্যা চলে যাওয়ার পর দিঠি ভাবতে লাগল- আমি তো স্কুলে যাই স্কুলবাসে চড়ে। তাহলে আবার বিপদ কী! যত্তসব আজগুবি কথাবার্তা।
সেদিন দিঠি সময়মতোই বাসগাড়ি চড়ে স্কুলে যাচ্ছিল। কিছু দূর যাওয়ার পর হঠাৎ তাদের গাড়িটি ব্রেক ফেল করল। চলতে চলতে গাড়িটি প্রায় খাদের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। কিন্তু কিছু একটা অজানা কারণে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবল থেকে বাসটি রক্ষা পেল। বাসের ভেতর সবাই ভয়ে চিল্লাপাল্লা করছিল। চুপচাপ ছিল শুধু দিঠি। তার মনে কোনো ভয় আছে বলে মনেই হলো না। সে সময় তার পাশ কেটে উড়ে গেল অ্যালিয়েন কন্যার সেই ছোট্ট জিপ গাড়িটা। যেতে যেতে সে বলে গেল- আমার জন্য এবারের মতো বেঁচে গেলে দিঠি। ভবিষ্যতে সাবধানে চলাফেরা করো।
ব্যাপারটি কেউ কিছু বুঝতে পারল না। বুঝল শুধু দিঠি। মনে মনে সে অ্যালিয়েন কন্যাকে অনেক ধন্যবাদ দিলো।
তার কয়েক দিন পর এক রাতে দিঠিদের বাড়ির সবাই বিকট একটি শব্দ শুনতে পেল। দুনিয়া আলো করে বাজ পড়ার শব্দের মতো শব্দটা। সবাই ধরে নিলো বাজই হয়তো বা কোথাও পড়েছে। আজকাল মেঘমুক্ত দিনেও যথায় তথায় বাজ পড়তে শোনা যায়।
কিন্তু টিভি অন করতেই সবার ধারণা পাল্টে গেল। টিভিতে খবর হলো- কিছু একটা গ্রহাণু রাত ৯টার দিকে নিজে নিজেই মহাকাশে বিস্ফোরিত হয়েছে। এর চূর্ণ-বিচূর্ণ পাউডার পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ছে।
বাড়ির বড়রা বিষয়টি নিয়ে আলোচনায়মুখর হয়ে উঠেছেন। সে সময় হঠাৎ অ্যালিয়েন কন্যার জিপ গাড়িটি ভোঁ ভোঁ আওয়াজ তুলে দিঠিদের ঘরের ভেতর প্রবেশ করল।
দিঠির বাবা বলল- বড়সড় একটি গোবরে পোকা এইমাত্র ঘরের ভেতর ঢুকে পড়ল।
দিঠির মা বলল- ওটা দিঠির পড়ার রুমে ঢুকে পড়েছে বলে মনে হলো।
মা-বাবার কথা সবই শুনল দিঠি। পরে সে ঘরের ভেতর থেকে উচ্চৈঃস্বরে বলল- আমি গোবরে পোকাকে ভয় পাই না। তোমরা কোনো চিন্তা করো না।
অ্যালিয়েন কন্যার জিপ গাড়িটি দিঠির পড়ার টেবিলের ওপর এসে থামল। গাড়ি থেকে নেমে সে বলল- দ্বিতীয়বারের মতো প্রাণে বেঁচে গেলে দিঠি। এই গ্রহাণুটা ঠিক তোমাদের বাড়ির ওপর এসে পড়ার কথা ছিল। পড়লে হয়তো বাড়িটা বড়সড় একটা পুকুর হয়ে যেত। আমি ওটিকে মহাকাশেই বিস্ফোরিত করে পাউডার বানিয়ে দিয়েছি। গ্রহাণু বিস্ফোরণের শব্দটা নিশ্চয়ই তোমরা শুনতে পেয়েছ।
দিঠি বলল, হ্যাঁ। তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দু-দুবার তুমি আমাকে প্রাণে বাঁচালে। তুমি আমার একজন ভালো বন্ধু। মহাকাশের বন্ধু।
অ্যালিয়েন কন্যা বলল, তোমার সামনে আরো একটি বিপদ আছে। ওটা থেকে তোমাকে বাঁচাতে পারলে তুমি দীর্ঘজীবী হবে। কম করে হলেও ১০০ বছর বেঁচে থাকবে। একজন মানুষের পক্ষে ১০০ বছর বেঁচে থাকা নিশ্চয়ই কম কথা নয়!
দিঠি বলল, অশেষ কৃতজ্ঞতা। তোমার ঋণ আমি কোনো দিন শোধ করতে পারব বলে মনে হয় না।
অ্যালিয়েন কন্যা বলল- তোমার জন্য শুভকামনা। দীর্ঘজীবী হও।
দিঠি বলল- তোমার জন্যও। পরে সে একটু নীরব হয়ে থেকে আবার বলল- কী বোকা আমি দেখো- তুমি আমার কতই না-উপকার করছ, বারবার জীবন বাঁচিয়েছ। অথচ এখনো তোমার নামটিই জানা হলো না।
ওর এরূপ কথা শুনে অ্যালিয়েন কন্যা মৃদু হাসল। বলল- আমার নাম রিং। আমিও তোমার মতোই একজন ছাত্র। স্কুলে পড়ি। আমার স্কুলশিক্ষক আমাকে একটি অ্যাসাইনমেন্ট দিয়েছেন যে, তোমাকে সাহায্য করা। তোমাকে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করা। আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। এবার তাহলে যাই। বলে সে মুহূর্তকাল দেরি না করে ভোঁ ভোঁ আওয়াজ তোলে চোখের পলকে উধাও হয়ে গেল।
তারও কিছু দিন পর দিঠিদের স্কুল থেকে ওরা পিকনিকে গিয়েছিল। পিকনিক স্পট ছিল অরুণোদয় পর্বত। ওখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য বড়ই মনোরম! ভূমি থেকে ৩০০ ফুট উপরে পাহাড় কেটে সুন্দর করে রিসোর্ট তৈরি করা হয়েছে। রিসোর্টের বারান্দায় বসে দূরবীক্ষণ দিয়ে চমৎকার সমুদ্র দেখা যায়। সকালের অরুণোদয়ও দেখা যায়। দিঠিরা স্কুলবাসে করেই ওখানে যাচ্ছিল। ভালোভাবেই চলছিল বাসটি। আঁকাবাঁকা রাস্তা পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল ওদের বাস। কিন্তু ২৫০ ফুট পর্যন্ত ওঠার পর বাসটি হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলল। ২৫০ ফুট উপর থেকে ডিগবাজি খেয়ে খেয়ে পাহাড়ের গা ছুঁয়ে ওটা নিচে পড়তে লাগল। বাসের যাত্রীরা প্রাণভয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করছে। বাসের ভেতর একপ্রকার জামঘষা অবস্থা আরকি।
সে সময় আশ্চর্য একটি ব্যাপার ঘটে গেল। কোনো অজানা কারণে ওদের বাসটি পাহাড়ের মাঝামাঝি উচ্চতায় এসে হঠাৎ শূন্যে স্থির হয়ে গেল। বাসের ভেতর শিক্ষক এবং ছাত্ররা হাফ ছেড়ে বাঁচল। অ্যালিয়েন কন্যা রিং তার ছোট্ট জিপ নিয়ে দিঠির পাশ ঘেঁষে যেতে যেতে বলল, কোনো ভয় নেই। তোমরা এখন নিরাপদ। বলে সে শোঁ করে উধাও হয়ে গেল। আর দেখতে দেখতে বাসটি শূন্যে ভেসে ভেসে রিসোর্টের সামনে এসে স্থির হলো। বিষয়টি সবার চোখের সামনেই ঘটল। অবাক হয়ে সবাই খেয়ালও করল। কিন্তু কীভাবে যে কী হলো কেউ কিছু বুঝতে পারল না।
যা বুঝার শুধু দিঠিই বুঝল। এইমাত্র তার তৃতীয় বিপদটিও কেটে গেল।


আরো সংবাদ



premium cement