২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

রক্তবরণ রাজকন্যা

রক্তবরণ রাজকন্যা -

রাজপ্রাসাদের দোতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে রাজকন্যা সুলেখা। তার সারা শরীর রক্তবরণ। হাঁটুর নিচ পর্যন্ত লম্বা চুল। ঘোলা চোখ। একটু দূরে দীঘি। সে দীঘির পানিতে ঢিল ছুড়ে মারে। পানিতে ঢিল পড়ার সাথে সাথে গোল বলয় তৈরি হয়। কিছুক্ষণ পর তা আবার মিলিয়ে ও যায়। পা টিপে টিপে একজন দাসী তার পিছনে এসে নিচু গলায় বলল, রাজকন্যা রাজকন্যা ও রাজকন্যা। গোসলের আয়োজন সম্পূর্ণ। চলুন গোসল সেরে নেবেন।
তুমি যাও। আমি আসছি। আচ্ছা ---।
থামলেন যে।
না মানে। আজ দিঘির জলে গোসল করলে কেমন হয়?
ভালোই হয়। দাস-দাসীরা তো রোজই দিঘির জলে গোসল করে।
কিন্তু রানি মা মনে করেন আপনি দিঘির জলে গোসল করলে শরীরের রঙ নষ্ট হয়ে যাবে। তাই---।
সব বুঝতে পেরেছি। আসলে রানি মা আমাকে খুব ভালোবাসেন। যদিও তিনি আমার আপন মা না। সৎ মা।
সৎ মা হলেও তিনি আপনাকে নিজের মেয়ের মতো দেখেন। যা আপনার জন্য ভালো হবে তাই করেন। অথচ তার নিজেরও দুটো মেয়ে আছে। কই তাদের প্রতি তো তেমন কোনো দায়িত্ব পালন করতে দেখি না। সারাক্ষণ শুধু সুলেখা সুলেখা করেন।
তোমার কাছে কি কখনো ব্যাপারটা বাড়াবাড়ি বলে মনে হয় না?
কী বলছেন কী? দাসী অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। রাজকন্যা আর কথা না বাড়িয়ে সোজা গিয়ে গোসল খানায় ঢুকে। গোসল সেরে বারান্দায় বসে চুল শুকাতে দেন।
দাসী তার মাথায় তেল মাখিয়ে দিতে দিতে বলল, আমি সব জানি রাজকন্যা। জেনেও না জানার ভান করি। তা না হলে যে কোনো মুহূর্তে হাওয়া হয়ে যেতে পারি।
রাজার সাথে ঝগড়া করে রানি মা রাজপ্রাসাদে আগুন লাগিয়ে দেন। চারদিকে চিৎকার চেঁচামেচি হৈ চৈ। অসংখ্য মানুষের আহাজারি। চোখের সামনে এক এক করে সব পুড়ে ছাই হয়ে যেত লাগল। কী এক বীভৎস দৃশ্য। প্রজা সাধারণ ও সৈন্যসামন্ত সবাই আগুন নেভাতে ব্যস্ত। এক সময় আগুন নিভেও যায়। কিন্তু ততক্ষণে আমার কপাল পুড়েও ছাই হয়ে গেছে। আগুনের লেলিহান শিখা থেকে সবাই প্রাণে বেঁচে গেলেও একজন রক্ষা পাননি।
সে একজন কে রাজকন্যা?
সে আমার মা। মানে বড় রানি মা। রাজকন্যার চোখে জল।
হুঁ। আজ কাঁদবেন না। আজ বড় আনন্দের দিন। রাজা মশাই পাশের রাজ্য জয় করে ফিরছেন। প্রাসাদের উত্তরের মাঠে খানাপিনা পাক হচ্ছে। রাতে নাচগান হবে। একটু বাইরে গিয়ে দেখেন চারদিকে উৎসবের আমেজ।
রাজা মশাই তাহলে সব ভুলে গেছেন? আজ না বড় রানির মৃত্যু দিবস। কোথায় শোক পালন করবেন তা না ---। রাজকন্যা রাগে গজরাতে থাকেন। শরীরের সব শক্তি দিয়ে চিৎকার করতে থাকেন। তার চিৎকার শুনে ছুটে আসেন ছোট রানি মা। ততক্ষণে রাজকন্যা অনেক কিছু ভেঙে ফেলেছেন। তছনছ করে ফেলেছেন সারা ঘর।
কী হয়েছে মা? এমন করছ কেন? কোথাও কোনো ভুল হয়েছে? ছোট রানি ভয় পেয়ে যান।
কিছুই মনে নেই, না? এত সহজে সব ভুলে গেছেন? আজ আমার মা বেঁচে থাকলে ---। রাজকন্যার গলা জড়িয়ে আসে।
আজ বড় রানির মৃত্যু দিবস। দাসী মাথা নিচু করে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায়।
চুক-চুক-চুক। সত্যি আমি বড় স্বার্থপর। এত বড় ঘটনা আমি বেমালুম ভুলে বসে আছি। রাজকন্যা তুমি আমাকে শাস্তি দাও। ছোট রানি কাঁদেন।
থাক থাক আর মিথ্যে অভিনয় করতে হবে না। রাজকন্যা জানালার পাশে গিয়ে মোনাজাতের ভঙ্গি করে। একটু পর পরিস্থিতি বদলে যায়। চারদিকে অন্ধকার নেমে আসে। মেঘ ডাকে। প্রচন্ড বৃষ্টি নামে। দমকা বাতাস ছোটে। ছোট রানি ভয় পান। একজন প্রহরী সদর দরজায় এসে গলা খাঁকাড়ি দেয়।
কী হয়েছে? ছোট রানি ভয়ার্ত কণ্ঠে বললেন।
সর্বনাশ রানি মা। বৃষ্টিতে পুরো পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। সম্ভবত রাজা মশাই আজ আর ফিরতে পারবেন না। উঁচু কোনো স্থানে তাঁবু ফেলে রাত কাটিয়ে সকালে ফিরবেন। রানি মা তাহলে কী আমি যাবো?
হ্যাঁ যাও। আজ বড় রানির মৃত্যু দিবস। সব খাবার গরিব প্রজাদের মাঝে বিলিয়ে দাও।
ঠিক আছে। প্রহরী চলে যায়।
এবার শান্ত হও রাজকন্যা। বন্ধ করো তোমার কালো জাদু। তা না হলে ঝড় বৃষ্টিতে সব ভেসে যাবে। তোমার মার মৃত্যুর জন্য আমি দায়ী নয়। এটি একটি দুর্ঘটনা ছিল। খড়ের গাদার ওপর হারিকেন পড়ে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তে সে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সাথে সাথে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়। এক সময় আগুন নিয়ন্ত্রণেও আসে।
রানি মা এসব সাজানো নাটক। আমি অন্তত বিশ্বাস করি না। এদিকে বিদ্যুৎ চমকায়। পরপর বাস পড়ে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যুক্তিতর্ক চলতে থাকে। কিন্তু রাজকন্যা কিছুতেই বুঝতে চায় না।
পরদিন ঝড় বৃষ্টি থেমে যায়। তবে আকাশ গোমরা হয়ে থাকে। প্রাসাদ চত্বরে থৈ থৈ পানি। নৌকা করে ফিরে আসেন রাজা মশাই। রাজকন্যার সাথে দেখা হতেই রাজা মশাই বললেন, পৃথিবীতে কেউ চিরকাল বেঁচে থাকে না। একটি মৃত্যু নিয়ে বছরের পর বছর কষ্ট পাওয়া ঠিক নয়। তুমি রাজকন্যা। তোমার মনোবল আরও দৃঢ় হওয়া উচিত। আমি না থাকলে রাজ্যের শাসন ভার তোমার হাতে এসে পড়বে। তখন অনেক কঠিন পরিস্থিতি সামলাতে হবে।
রাজা মশাই চলে যাওয়ার পর সে রাজা মশাই বলে যাওয়া কথাগুলো ভেবে দেখে। রাজা মশাই যা বলেছেন সব সত্যি। রাজকন্যা আর সাধারণ একটা মেয়ে এক কথা নয়। সে ব্যস্ত সমস্ত হয়ে পায়চারি করে। এর মধ্যে উৎসব শুরু হয়ে গেছে। ঢাক ঢোল বাধ্য বাজে। আতশবাজির শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো রাজপ্রাসাদ। টানা কয়েক দিন ধরে উৎসব চলে।
একদিন ভোরবেলা দাসী এসে তাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। সে আড়মোড়া ভেঙে বিছানায় উঠে বসে এবং উষ্কখুষ্ক চুলগুলোকে খোঁপায় বেঁধে বলল, কী হয়েছে?
রাজকন্যা খবর ভালো না। যে কোনো সময় পাশের রাজ্যের বিদ্রোহী গোষ্ঠী এ রাজ্যের ওপর আক্রমণ করতে পারে । রাজা মশাই ও তার সভাসদরা খুব উদ্বিগ্ন। কারণ এ যুদ্ধের নেতৃত্ব দেবে কে? রাজা মশাইয়ের যথেষ্ট বয়স হয়েছে।
তুমি এত কিছু জানলে কী করে? সে দু’চোখ কপালে তুলে বলল।
আমি আড়ি পেতে সব শুনেছি। বিশ্বাস না হলে খোঁজ নিয়ে দেখেন।
না না তোমাকে আমি খুব বিশ্বাস করি। এক কাজ করো।
কী?
সেনাপতি জহির খাঁকে খবর দাও। আমি যুদ্ধ প্রশিক্ষণ নেবো।
কী বলছেন কী?
রাজা মশাইয়ের ছেলে নেই। যুদ্ধের ময়দানে তার পাশে থেকে তাকে সাহস জোগাব। প্রয়োজনে যুদ্ধ করব। দাসী ছুটে বেরিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর জহির খাঁ আসে।
আমরা খুব উদ্বিগ্ন। রাজা মশাইয়ের শরীর ভালো না। এ মুহূর্তে আপনাকে দায়িত্ব নিতে হবে। আজ থেকে যুদ্ধ প্রশিক্ষণ শুরু করেন।
ঠিক আছে। জহির খাঁ চলে যায়।
পরদিন খুব ভোর ওঠে রাজকন্যা কাজ শুরু করে। ধীরে ধীরে ঘোড়ায় চড়া, অস্ত্র চালানো, যুদ্ধ পরিচালনা সব শিখে নেয় রাজকন্যা। একদিন রাতে বার্তাবাহক আসে, রাজকন্যা আপনি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত?
অবশ্যই। রাজকন্যা একটা কাঁচের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। মন্ত্র পড়ে। সারা ঘর ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। ধীরে ধীরে ধোঁয়া কমতে থাকে। আয়নায় ফুটে ওঠে বিপক্ষ শিবিরের যুদ্ধের প্রস্তুতির দৃশ্য।
রাজকন্যা এ কী দেখলাম? এ স্বপ্ন না বাস্তব? বার্তাবাহক ভয় পায়। তার শরীর কাঁপে।
সব বাস্তব। নদীর ওপারে তাঁবু ফেলেছে ওরা। ওদের রয়েছে বিশাল অশ্বারোহী বাহিনী। নৌবাহিনী। ওদের হাতি রয়েছে অনেক। পদাতিক বাহিনীও কম না। গোলা বারুদের ভাণ্ডারও বেশ সমৃদ্ধ। তুমি জহির খাঁকে পুরো দৃশ্যের বর্ণনা দিতে পারবে?
পারব। জহির খাঁ সে অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজাবেন, তাই না? বার্তাবাহকের চোখে মুখে বিস্ময়।
জহির খাঁ গলা খাঁকাড়ি দিয়ে ভেতরে ঢোকে, রাজকন্যা কী পরিকল্পনা করলেন?
আমরা গভীর রাতে আক্রমণ করব। আপনি পঞ্চাশ হাজার গরু জোগাড় করতে পারবেন?
পঞ্চাশ হাজার গরু! যুদ্ধে গরু দিয়ে কী করবেন? রাজকন্যা আপনার মাথা ঠিক আছে।
আমার মাথা ঠিক আছে। আপনাকে যা বলছি তাই করুন। রাজকোষ থেকে প্রয়োজন মতো অর্থ নিয়ে যান।
না না রাজকন্যা এটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। আপনি আপনার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করুন। তা না হলে আমরা খুব সহজেই হেরে যাবো।
আপনারা এখন যান। জহির খাঁ ও বার্তাবাহক চলে যায়। অনেক দূর থেকে অস্পষ্ট স্বরে শিয়ালের ডাক ভেসে আসে।
এদিকে ছোট রানি বসে নেই। রাজকন্যা যেন যুদ্ধ অংশগ্রহণ করতে না পারে দিন রাত সে চেষ্টা করে যাচ্ছে। রাজবাবুর্চিকে ডেকে বললেন, রাজকন্যার খাবারে এমন কিছু মেশাবে যাতে করে তার প্রচণ্ড পেট খারাপ হয়।
ধরা পড়লে কী হবে তা একবার ভেবে দেখেছেন?
কী আর হবে বড় জোর একশ বেতের ঘা।
তারচেয়ে অনেক বড় শাস্তি হবে । ফাঁসি পর্যন্ত হতে পারে ।
বলো কী ? ছোট রানি চিন্তিত হয়ে পড়েন।
ভালো করে ভেবে কাজ করুন। আপনি বরং রাজ কবিরাজের কাছে যান। তিনি একটা উপায় খুঁজে বের করতে পারবেন।
ঠিক আছে ।
রাজ কবিরাজ সব শুনে কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে বললেন, ধরুন আমি যদি ধরা পড়ে যাই। তাহলে শাস্তির ভয়ে মুখ ফসকে আপনার নাম বলে ফেললাম। তখন আপনার কী হবে?
এমনিতেই রাজকন্যা আমাকে ভালো চোখে দেখে না। তার ওপর ...। না না আর ভাবতে পারছি না। আমি বরং জল্লাদের কাছে যাই ওর মনে কোনো দয়ামায়া নেই।
ঠিক আছে যান।
ছোট রানি জল্লাদের কাছে এলেন। জল্লাদ সব শুনে তার গোঁফে হাত বুলিয়ে বলল, আমি মানুষের ঘাড় থেকে মাথা আলেদা করি। এ কথা জানাজানি হলে দেখবেন আমার ঘাড়েই মাথা নেই।
ছোট রানি নিজের ঘরে ফিরে অনেক কথাই ভাবেন। রাজকন্যা কালো জাদু জানে। তার এসব কীর্তিকলাপ দেখছে কিনা কে জানে? যদি দেখে থাকে তাহলে সর্বনাশ! তার শরীর কাঁপে। কথাও জড়িয়ে আসে।
যুদ্ধের দিন ঘনিয়ে এলো। নিকশ কালো রাত। চারদিকে ঝিঁ ঝিঁ ডাকছে। দিঘি মাঠে পঞ্চাশ হাজার গরু জড়ো করা হয়। রাজকন্যা যুদ্ধের পোশাক পড়ে এসে উপস্থিত হয়। রাজকন্যা বললেন, গরুর শিং এ মশাল বেঁধে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন ।
কেন? সেনাপতি জহির খাঁ দু’চোখ কপালে তুলে বলল।
যা বলছি তাই করুন।
জহির খাঁ দায়িত্ব পালন করে। সব গরুর শিং এ মশাল বেঁধে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এবার নদীর দিকে গরুগুলোকে নিয়ে চলুন।
রাজকন্যা কিন্তু কেন? আমি ...।
আজকের যুদ্ধের সেনাপতি আমি। আপনি না। হুকুম পালন করুন।
অন্ধকার রাতে বিন্দু বিন্দু আলো নদী পাড়ের দিকে এগিয়ে চলেছে। পেছনে হাজার হাজার সৈন্যসামন্ত। নদীর ওপারে থেকে এসব দেখে ভয়ে প্রায় আধামরা বিপক্ষ শিবিরের সৈন্যরা। সবাই ভয়ে অস্থির। রাজকন্যা বললেন, কামানের গোলা ছোড়া হোক।
জোর হুকুম রাজকন্যা। একজন সৈনিক চেঁচিয়ে বলল।
পরপর বিকট শব্দে কামানের গোলা ছোড়া হয়। এ শব্দ শুনে বিপক্ষ শিবিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে কাঁপতে থাকে সবাই। প্রাণ নিয়ে পালাতে থাকে একের পর এক। রাজকন্যার যুদ্ধ পরিচালনা কৌশল দেখে অবিভূত সবাই। এভাবে রাতভর চলতে থাকে ।
দিনের আলো ফুটার সাথে সাথে নদীর ওপারে আসে রাজকন্যা ও তার সৈন্যসামান্ত। এসে দেখেন কেউ নেই । অস্ত্রশস্ত্র জিনিসপত্র রেখে চলে গেছে। জহির খাঁ ভ্রু কুঁচকে বলল, সত্যি রাজকন্যা আপনার বুদ্ধির তারিফ করতে হয়। কোনো প্রাণহানি ছাড়াও যে যুদ্ধ জয় করা যায় তা দেখলাম।
রাজা মশাইকে এ খবর পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তিনি তো এ খবর শুনে অবাক। বারবার শুধু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। আর বলছেন, এখন আমি নিশ্চিন্তে মারা যেতে পারি। রাজকন্যা আপনিই হবেন তার যোগ্য উত্তরসূরি। বার্তাবাহক বলল।
আমি ভাবছি আমার ছোট দুই বোন থেকে একজনকে রাজ্যে পরিচালনা ভার দেবো। আর আমি হবো তার প্রধান সেনাপতি।
তাহলে আমার কী হবে? জহির খাঁর গলায় হতাশার সুর।
আপনি হবেন অর্থমন্ত্রী। রাজকোষ থাকবে আপনার দখলে।
এখন রাজ্যে ফিরে চলুন। আপনাকে বরণ করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। রাস্তার দু’পাশে ফুল হাতে অপেক্ষা করছে প্রজা সাধারণ। সাত দিন ধরে চলবে এ উৎসব। বার্তাবাহক খুশি খুশি গলায় বলল।
ঠিক আছে সবাই ফিরে চলুন ।
তবে সাবধানে থাকবেন। যে কোনো সময় আমরা আক্রমণের স্বীকার হতে পারি ।
সত্যি রাজকন্যা আপনার জুরি নেই। জহির খাঁ বলল।
অনেক বছর পরের কথা। রাজপ্রথা ওঠে গেছে বহু বছর হলো। এখনো রাজবাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় থমকে দাঁড়ায় কেউ কেউ। রাজবাড়ির গেটে রাজকন্যার নাম। নিচে তার গৌরবের ইতিহাস লেখা।


আরো সংবাদ



premium cement