২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

গ্রহাণুর নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করতে যাচ্ছে নাসার প্রোব

গ্রহাণুর নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করতে যাচ্ছে নাসার প্রোব - ছবি : সংগৃহীত

সাত বছরের মহাকাশ যাত্রা শেষে এ পর্যন্ত সংগ্রহ করা বৃহত্তম গ্রহাণুর নমুনা বহন করে রোববার নাসা’র ক্যাপসুল উটাহ মরুভূমিতে অবতরণ করতে যাচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, তারা নমুনাটি নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী। এটি আমাদের সৌরজগতের গঠন এবং কীভাবে পৃথিবী বাসযোগ্য হয়ে উঠেছে সে সম্পর্কে আরো ভালো ধারণা দেবে।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে ওসিরিস-রেক্স প্রোবের চূড়ান্ত অগ্নিগর্ভ অবতরণ বিপজ্জনক হবে। তবে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা উত্তর-পশ্চিম উটাহে একটি সামরিক পরীক্ষার পরিসরে স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে (১৫ এইচ ০০ জিএমটি) এটির নিরাপদে অবতরণ আশা করছে।

২০১৬ সালে উৎক্ষেপণের চার বছর পর প্রোবটি গ্রহাণু বেন্নুতে অবতরণ করে এবং এর পাথুরে পৃষ্ঠ থেকে প্রায় নয় আউন্স (২৫০ গ্রাম) ধুলো সংগ্রহ করে।

নাসার প্রশাসক বিল নেলসন বলেছেন, এমনকি এই সামান্য পরিমাণ নমুনা থেকেও আমরা ‘আমাদের পৃথিবীর’ জন্য হুমকি হতে পারে এমন গ্রহাণুগুলোর প্রকৃতি সম্পর্কে আরো ভালোভাবে বুঝতে পারব’ এবং ‘আমাদের সৌরজগতের প্রচীনতম ইতিহাসে আলোকপাত করবে’।
‘এই নমুনা পৃথিবীতে নিয়ে আসা সত্যিই ঐতিহাসিক ঘটনা’ উল্লেখ করে নাসার বিজ্ঞানী অ্যামি সাইমন এএফপিকে বলেছেন, ‘অ্যাপোলো চাঁদের শিলা’ পৃথিবীতে নিয়ে আসার পর থেকে এটিই সবচেয়ে বড় নমুনা হতে চলেছে।

কিন্তু তিনি স্বীকার করেছেন, ক্যাপসুলটির অবতরণে একটি বিপজ্জনক কৌশল’ প্রয়োজন হবে।
অবতরণের ৪ঘণ্টা আগে ৬৭ হাজার মাইলের (১০৮ হাজার কিলোমিটার) বেশি উচ্চতা থেকে ওসিরিস-রেক্স ক্যাপসুলটি ছেড়ে দেবে। বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে শেষ ১৩ মিনিটের মধ্যে এটি জ্বলন্ত ফায়ার বলে পরিণত হবে। কারণ এ সময় ক্যাপসুলটি পাঁচ হাজার ফারেনহাইট (দুই হাজার ৭৬০ সেলসিয়াস) পর্যন্ত তাপমাত্রাসহ ঘণ্টায় ২৭ হাজার মাইলেরও বেশি গতিতে নিচের দিকে ধাবিত হয়।

এর দ্রুত অবতরণ সেনাবাহিনীর সেন্সর দ্বারা নিরীক্ষণ করা হবে। পরপর দু’টি প্যারাশুট দিয়ে গতি ধীর করা হবে। তারা সঠিকভাবে এ প্রক্রিয়ায় ব্যর্থ হলে এটি ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ অনুসরণ করবে।

যদি মনে হয় যে টার্গেট জোন (৩৭ বাই ৯ মাইল) মিস করা হতে পারে। নাসার কন্ট্রোলাররা শেষ মুহূর্তে ক্যাপসুলটি ছেড়ে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

একবার টায়ারের আকারের ক্যাপসুলটি উটাহে নেমে গেলে প্রতিরক্ষামূলক মুখোশ এবং গ্লাভস পরা একটি দল এটিকে হেলিকপ্টার দিয়ে কাছাকাছি একটি অস্থায়ী ‘পরিষ্কার ঘরে’ নিয়ে যাবে।
নাসা মরুভূমির বালির সাথে নমুনার কোনো দূষণ এড়াতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এবং সাবধানতার সাথে এটি করতে চায়।

সোমবার নমুনাটি বিমানে করে টেক্সাসের হিউস্টনে নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে পাঠানো হবে। সেখানে বাক্সটি অন্য একটি ‘পরিষ্কার ঘরে’ খোলা হবে।

নাসা ১১ অক্টোবর একটি সংবাদ সম্মেলনে তার প্রথম ফলাফল ঘোষণা করার পরিকল্পনা করেছে।
সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement