২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

নিজের বানানো রকেটেই মৃত্যু ক্ষ্যাপাটে বিজ্ঞানীর

- ছবি : সংগৃহীত

স্বঘোষিত নভোচর ছিলেন। চেয়েছিলেন নিজের তৈরি করা রকেটে দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দেবেন। বলতেন, পৃথিবী কখনই গোলাকার নয়। বরং এটি একটি সমতলভূমি। আর সেই প্রচারের জন্যই নিজের তৈরি করা রকেটে চেপে আকাশপথে বেরিয়ে পড়েছিলেন মাইকেল হিউ। তাকে তার ভক্তরা ‘ম্যাড মাইক‌’‌ বা ক্ষ্যাপাটে মাইক বলেই ডাকতেন। ৬৪ বছর বয়স হয়েছিল তার। মারা গেলেন শনিবার। ২০ ফেব্রুয়ারি।

ক্যালিফোর্নিয়ার একটি বেসরকারি চ্যালেন তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। সেই চ্যানেলটি ডিসকভারি চ্যানেলেরই একটি অংশ। তারা মাইকের পরিবারের প্রতি গভীর সবমেদনা প্রকাশ করেছে।

তিনি নিজের হাতে যে রকেট তৈরি করেছিলেন ক্যালিফোর্নিয়াতে। নিজের বাড়ির পিছনে সেই রকেট বানিয়েছিলেন তিনি। গত শনিবার রকেটে চরে বেরিয়ে পড়েন। তার সঙ্গে কাজ করতেন ডারেন শাস্তার।

গোটা ঘটনার পরে তিনি জানিয়েছেন, পৃথিবী গোলাকার নয়, সমতল। মাইক প্রায়ই এটা বলতেন প্রচার পাওয়ার জন্য। যাতে তার রকেট যখন চলবে, তা নিয়ে মানুষের মধ্যে উন্মাদনা এবং আগ্রহ থাকে। তিনি এই রকেট লঞ্চের আগে শাস্তারকে দুপুর দুটো নাগাদ শনিবার ফোন করে জানতে চেয়েছিলেন তিনি যখন রকেট নিয়ে পৃথিবীর বুকে নামবেন, তখন সেখানে মিডিয়া উপস্থিত থাকবে কি না।

ক্যালিফোর্নিয়ার মরুভূমির উপরে যখন তার রকেটটি গুঁড়ো হয়ে ভেঙে পড়ে তখন সেই ঘটনার ভিডিও করেন স্থানীয়রা। যা রোববারই ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে। রকেট লঞ্চের পরের মুহুর্তেই দেখা যায়, একটি প্যারাসুট ছিঁড়ে যাচ্ছে। রকেটটি নীচের দিকে নেমে এসে লস অ্যাঞ্জেলেসের ১১০ মাইল বা ১৮০ কিলোমিটার উত্তর–পূর্ব দিকে বারস্টোরের কাছে লঞ্চ সাইট থেকে কয়েকশ মিটার দূরে পুরোটাই ধ্বংস হয়ে গেছিল।

যে বেসরকারি চ্যানেলটি এই ঘটনা প্রকাশ্যে আনে, তারা ইতোমধ্যেই মাইককে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানও করেছিলেন, নাম দিয়েছিলেন-‌ ‘‌হোমমেড অ্যাস্ট্রোনটস’‌। সেই অনুষ্ঠানে মাইক লাল কালো স্পেসস্যুটে উপস্থিত হয়ে বলেছিলেন, ‘মানুষকে বোঝাতে হবে, যে তারা নিজের জীবন দিয়ে অসাধারণ কিছু করতেই পারেন... কেউ একজন সেটা করতে পারলে সম্ভবত সেটি অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করবে।’ জীবন দিয়ে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে গেলেন হয় তো ‘ম্যাড মাইক’। আজকাল।


আরো সংবাদ



premium cement