টবের গাছের যতœ

গাছ লাগালেই হয় না। গাছের বৃদ্ধি, ফল, ফুলের জন্য যতœ দরকার। পরিচর্যা করতে হয়। টবে ফল, ফুল সব ধরনের গাছ হয়। দেখতে সুন্দর লাগে। পরিবেশ সুরক্ষা তো করেই। অবসরও কাটে আনন্দে। টবের গাছের কিছু টিপস জেনে নিন।
ষ টবে লাগানোর জন্য মওসুমি ফুল গাছে যেমনÑ গোলাপ, গাঁদা, বেলি, অপরাজিতা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, নয়নতারা, গন্ধরাজ বেছে নিতে পারেন। সবজির জন্য বেগুন, টমেটো গাছ লাগাতে পারেন।
ষ রোদ পড়ে, আলো-বাতাস আছে এমন জায়গায় টব রাখুন। টবে ফলের গাছ যেমনÑ পেয়ারা, আমলকী, জাম্বুরা, ডালিম, লেবু লাগানো যায়।
ষ টবের মাটিতে পর্যাপ্ত জৈবসার দেবেন। মাটি ঝুরঝুরে করে নেবেন। মাটিতে হাড়ের গুঁড়া, দুই চামচ চুন, দু’মুঠো ছাই মিশিয়ে দিতে পারেন।
ষ টবের জন্য সবচেয়ে ভালো নার্সারি থেকে কোয়ালিটি ভালো এমন গাছ কিনবেন। গাছের পাতা দেখুন। পাতা দেখে গাছ সুস্থ কিনা তা বোঝা যায়। এই লেখার সাথে গাছের পাতার ছবি দেয়া হলো।
ষ টবে গাছ লাগিয়ে সাথে একটি লাঠি বেঁধে দেবেন। যেন গাছ পড়ে কিংবা গাছের গোড়া নড়েচড়ে না যায়।
ষ বারবার এক টব থেকে অন্য টবে গাছ সরাবেন না, তেমনি জায়গা পরিবর্তন বারবার না করা ভালো। প্রথম দিকে কিছু পাতা ঝরে যেতে পারে। নতুন পাতা ওঠার জন্য। এ সময় ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
ষ গাছ বুঝে টব কিনবেন। বড় গাছের জন্য ছোট কিংবা ছোট গাছের জন্য খুব বড় টব বড্ড বেমানান। টবের নিচে যেন ফুটো থাকে। পানি বের হওয়ার জন্য। সরাসরি মেঝে না রেখে কাঠ, ইট অন্য কিছুর ওপর টব রাখলে ভালো হয়। তাহলে মেঝেতে দাগ পড়বে না। যারা ঝুলিয়ে টব রাখবেন। শক্ত দড়ি দিয়ে বেঁধে ঝুলাতে হবে।
ষ টবের গাছটি ফুলের হলে মাঝে মাঝে ছেঁটে দিন। অনেক সময় গাছ ছেঁটে দিলে অনেক বেশি শাখা প্রশাখা বের হয়।
ষ মানি প্ল্যান্ট গাছ বাথরুমে রাখতে পারেন। এই গাছের তেমন টেক কেয়ার লাগে না। শুধু পানি এবং মাটি দুভাবেই হয়।
ষ ভেজা চা-পাতা গাছের গোড়ার দিলে অনেকটা সময় গোড়ার মাটি ভেজা থাকবে। ব্যবহৃত চা-পাতা গাছের জন্য উপকারী। চা-পাতা, ডিমের খোসা, কলার ছোলা ১৫ দিন রেখে গাছের গোড়ায় দিলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।
ষ গাছের যতটুকু দরকার ঠিক ততটুকু পানি দেবেন। একটা সুই বা বড় চিকন তার গাছের নিচে মাটিতে পুঁতে দেখুন। মাটি আঠালোভাবে জড়িয়ে লেগে থাকলে পানি কম দেবেন। আর সুই বা বড় চিকন তারে তেমন মাটি জড়ানো না থাকলে পানি দেয়া ঠিক আছে। সকাল এবং পড়ন্ত বিকেল পানি দেয়ার উত্তম সময়।
ষ পুরো ঘরে মধ্যে যে গাছ রাখবেন তা সপ্তাহে কম করে হলেও একবার রোদে দিন। পাতায় ধুলো জমলে পরিষ্কার করে দিন। পচা, মরা পাতা ফেলে দিন।