২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

লেবুতে এত উপকার!

লাইফস্টাইল
-

সুগন্ধেই হতে হবে মোহিত। রসে ভরা। ঘ্্রাণেই যেন খাবারের আকর্ষণ বাড়িয়ে দেয়। তার নাম লেবু। অত্যন্ত পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রচুর ভিটামিন সি আছে। জ্বর, কাশি, ক্ষুধা মন্দা, বমিনাশক। কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে দু’বেলা পান করলে মেদ কাটে। লেবু, মধু পানি খুব জনপ্রিয়। ফ্যাট কাটাতে এর জুড়ি নেই। লেবু রুচি বাড়ায়, কৃমিনাশক। গরম ভাতে বা ডালের সাথে কাগজি লেবুর রস। রীতিমতো অমৃত স্বাদ। কাগজি লেবুর আচারও খেতে সুস্বাদু। ১০০ গ্রাম লেবুতে ভিটামিন সি আছে ৬৩ মিলিগ্রাম, যা আপেলের চেয়ে ৩২ গুণ এবং আঙ্গুরের দিগুণ। ক্যালসিয়াম আছে ৯০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ১৫ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামি বি .১৫ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২০ মিলিগ্রাম, লৌহ .৩ মিলিগ্রাম।
রূপচর্চায় লেবু বিভিন্নভাবে ব্যবহার হয়। লেবুর রস মাথায় দিলে খুশকি দূর হয়। চুলের গোড়া মজবুত করে। রূপ লাবণ্য ধরে রাখতে লেবুর জুড়ি নেই। ঠোঁট ফেটে যায়। অমসৃণ, শুষ্ক রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে লেবুর রস ঠোঁটে লাগাতে পারেন। অধর হবে স্ফীত, ওকামল, মসৃণ। লেবুর রসে আছে সাইট্্িরক এসিড। যা ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করে। ত্বক উজ্জ্বল করে। বলিলেখা অনেকেরই মাথা ব্যথার কারণ। লেবুর রস দিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। বলিরেখা দূর হবে। ডাবের পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। এতে ত্বক মসৃণ, কোমল, উজ্জ্বল হবে। অলিভ অয়েলের সাথে মিশিয়ে লেবুর রস ত্বকে লাগানো যায়। এতে করে ত্বকের খসখসে ভাব দূর হয়। নাকের উপর ব্ল্যাক হেড। কী বিশ্রী ব্যাপার। লেবুর রস নাকে লাগিয়ে বসে থাকুন। পরে ঘষা দিলে ব্ল্যাক হেড উঠে যাবে। মধু আর লেবুর রস মিশিয়ে তুলার সাহায্যে গালে লাগালে গাল উজ্জ্বল হবে। গাজরের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে লাগালে ব্্রণের দাগ দূর হয়। লেবুর রসেই যে সব উপকার তা কিন্তু নয়। লেবুর খোসায় প্রচুর উপকারী উপাদান আছে। যেমনÑ ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, পেকটিন, ফাইবার, মিনারেলস। লেবুর খোসা খেলে খারাপ কোলেস্টেরল কমে। প্রচুর ফাইবার বা আঁশ থাকায় খাবার ভালো হজম হয়। অন্ত্র পরিষ্কার থাকে। এর পেকটিন অন্ত্রের শর্করা শোষণ করে। যা ওজন কমাতে সহায়ক। লেবুর খোসা খেলে শর্করা নিয়ন্ত্রিত হয়। বিপাক ভালো হয়। যা ডায়বেটিস রোগীরদের উপকারে আসে। লেবুর খোসায় ক্যালসিয়াম থাকে। যা হাড়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খুবই দরকারি। দৈনিক অল্প একটু সামান্য লেবু খেয়ে ভিটামিন সি-এর চাহিদার ৩০ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব। ভরপেট খেলেন। বেশ অস্বস্তি লাগছে। গরম পানিতে একটু লেবুর রস খেতে পারেন। পাকস্থলিতে কিছু গ্যাস তৈরি হলেও তা চলে যাবে। বেশ আরাম বোধ করবেন। হালকা গরম পানিতে লেবুর রস খাওয়ার অভ্যাস থাকা ভালো। চিকিৎসকরাই এমন বলেন। শরীরের টক্সিন বেরিয়ে যায়। এতে লিভারও ভালো থাকে। লেবুতে অনেক উপকার আছে বটে। তবে বেশি খেলে অপকারও হতে পারে। লেবুর সাইট্্রক এসিড দাতের এনামেল ক্ষয় করতে পারে। লেবু পানি খেয়ে দাত মাজা ভালো। অন্তত দিনে দু’বার দাত ব্্রাশ করতে হবে। অতিরিক্ত লেবু খেলে বমি বমি ভাব। এমনকি বমি হতে পারে। ভিটামিন সি প্রয়োজন। তবে বেশি হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রতিদিন ১২০ মিলিলিটার লেবুর রস খাওয়া যাবে। চিকিৎসকরা ১২০ মিলি লিটারের বেশি খাওয়া সমর্থন করেন না।
লেখক : ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক


আরো সংবাদ



premium cement