বসন্তে শিশুর অসুখ-বিসুখ
- সাতরঙ প্রতিবেদক
- ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০
সুস্থ মানুষ সতেজ থাকেন সবসময়। শরীর সুস্থ রাখতে সচেতনতা প্রয়োজন। রোগের চিকিৎসার চেয়ে ‘প্রতিরোধ’ বেশি জরুরি। বছরের অন্য সময়ের মতো এই বসন্তকালেও অসুখ-বিসুখ দেখা দেয়। তবে কিছু রোগের প্রাদুর্ভাব এ সময় বেড়ে যায়। বসন্তকালীন রোগের মধ্যে হাম, ইনফুয়েঞ্জা, চিকেন পক্স, নিউমোনিয়া প্রভৃতি রোগের নাম প্রথমেই আসে। যেমন ভাইরাস থেকে হাম হয়। এটা ছোঁয়াচে রোগ। হামের টিকা দেয়া উচিত। টিকা না দিয়ে থাকলে রোগটি জীবনে একবার হতে পারে। হামে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সবার কাছ থেকে আলাদা রাখতে হবে।
রোগের উপসর্গ অনুযায়ী ওষুধ দিতে হবে। রোগীর ব্যবহৃত বিছানাপত্র, প্লেট, গ্লাস প্রভৃতি অন্যদের থেকে দূরে রাখতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে গরম পানিতে সুতি কাপড় ভিজিয়ে নিংড়ে হালকা গরম ছ্যাঁকা দিতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। ইনফুয়েঞ্জা রোগটি সিজনলে। আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত। যেমনÑ এখন শীত থেকে গরমকাল আসছে। এ সময় রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা দেয়। এটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। শিশু ও বৃদ্ধদের জীবাণু প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কম। তাই তাদের এই রোগে আক্রান্ত হতে বেশি দেখা যায়। রোগীকে সুষম খাবার দিতে হবে। এটি খানিকটা ছোঁয়াচে রোগ, তাই অন্যদের সতর্ক দূরত্ব বজায় রাখা উচিত। এর চিকিৎসা প্রাথমিক পর্যায়ে না করলে রোগী নিউমোনিয়া আক্রান্ত হতে পারে। এতে শিশু ও বৃদ্ধদের মৃত্যুও হতে পারে। আর ঠাণ্ডা লাগলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। বসন্তকালের আরেকটি রোগ, যার নাম গুটি বসন্ত বা পক্স। শরীরে ফুসকুড়ির মতো গোটা দেখা দেয়। শরীরে ব্যথা হয়। এ জন্য রোগীকে ঠাণ্ডা থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে। লক্ষণ অনুযায়ী ওষুধ দিতে হবে। বসন্ত হলে চিকিৎসকের কাছে না গেলে রোগটি মারাত্মক আকার ধারণা করতে পারে। বাসা থেকে বের না হওয়া ভালো। রোগীর ফুসকুড়ির মতো স্থানগুলো নখ দিয়ে চুলকানো যাবে না। এতে দাগ বসে যেতে পারে।
এ সময় কখনও অ্যাজমা বা হাঁপানি বৃদ্ধি পায়। যেহেতু এ সময় চার পাশে প্রচুর ধুলাবালু থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ধূমপান ছেড়ে দিতে হবে এবং ধূমপায়ীদের থেকে দূরে থাকুন। চর্মরোগ প্রতিরোধে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। অ্যালার্জিযুক্ত খাবার খাবেন না। পরিধেয় বস্ত্র ও বিছানাপত্র প্রতিদিন গরম পানিতে ধুয়ে নেবেন। গোসলের জন্য কম ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করুন। এসব নিয়ম মেনে চলুন, শরীর ও মন সুস্থ রাখুন।