দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে খাবার
- সাতরঙ প্রতিবেদক
- ২১ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০
চোখ মানবদেহের একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্বাভাবিক চলাফেরা, শিক্ষাগ্রহণ, খাদ্য গ্রহণসহ জীবন চলার সব স্তরে চোখের প্রয়োজনিয়তা অপরিসীম। তাই চোখের দৃষ্টিশক্তি সচল রাখা খুবই জরুরি। দৃষ্টিশক্তি সচল রাখতে, চোখের কার্যক্ষমতা বা উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য কিছু বিশেষ খাবার আছে। জেনে নিন, চোখের সমস্যা দূরীকরণে বা দৃষ্টিশক্তির কার্যকারিতা বাড়ানোর উপযোগী কিছু খাবার সম্পর্কে।
ফুড প্লানিং অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিটের সহযোগী গবেষণা পরিচালক মোস্তফা ফারুক আল বান্না বলেন, প্রতিদিন নিয়মিত চোখ পরিষ্কার রাখতে হবে। চোখে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। দিনে তিন-চারবার পানির ঝাপটা দিয়ে চোখ ধুতে পারলে ভালো।
ষ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে আমলকির জুস খান। বাজার থেকে টাটকা আমলকি কিনে এনে জুস করে রোজ ২০ এমএল করে খান। এতে দৃষ্টিশক্তি দীর্ঘদিন ভালো থাকবে। গোলমরিচের সাথে মধুও খেতে পারেন। গোলমরিচের গুঁড়ো মধু মিশিয়ে নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।
ষ দুধের সাথে যষ্টিমধু মিশিয়ে খেলে ভালো ফল পাবেন। চা চামচের এক চামচ বা অর্ধেক চামচ যষ্টিমধুর গুঁড়া গরুর দুধে মিশিয়ে দিনে দু’বার করে খেতে হবে। নিয়মিত খেলে হারানো দৃষ্টিশক্তি অনেকটাই ফিরবে। দুধ না থাকলে মধু বা ঘিয়ের সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন। একই ফল পাবেন। চোখের দৃষ্টি ভালো রাখতে যষ্টিমধুর তুলনা নেই।
ষ দৃষ্টিশক্তি বাড়তে বেশি করে আম খান। ভিটামিন এ সমৃদ্ধ হওয়ায় আম চোখের জন্য ভালো। প্রতি মওসুমে বেশি বেশি আম খান। চোখ ভালো থাকবে।
ষ গোলাপ পাপড়ির জুস খান। তাজা গোলাপের পাপড়ির নির্যাস বের করে জুসের মতো খেতে হবে। উপকার পাবেন। বাজার থেকে কেনা ভালো গোলাপজলও চোখে দিতে পারেন।
ষ দৃষ্টিশক্তি সতেজ রাখতে দেশী সবুজ শাক নিয়মিত খান। সবুজ শাককে চোখ সুরক্ষার প্রধান খাদ্য ঘোষণা করলেও বাড়িয়ে বলা হবে না। সবুজ শাক আমাদের চোখকে তীক্ষèতা বা ইউভি রশ্মির ক্ষতি হওয়া থেকে বাঁচায়। আমাদের খাওয়ার টেবিলে সালাদ হিসেবে হলেও প্রতিদিন এটা রাখা আবশ্যকীয়।
ষ ভুট্টা। লুটেইন ও জেক্সানথিনের অন্যতম উৎস হলো ভুট্টা, যা চোখ সুরক্ষায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই উপাদানগুলো চোখের আয়ু ধরে রাখতে পারদর্শী। ভুট্টা সালাদ হিসেবে, রান্না করে বা কাঁচাও খাওয়া যেতে পারে। দিনে কম করে পাঁচ গ্রাম ভুট্টা খেলে চোখের দীর্ঘমেয়াদি সুস্থতা নিশ্চিত করা যায়।
ষ চোখের জন্য ছোট মাছ। ওমেগা-৩ এ ভরপুর ছোটমাছ যেমনÑ টুনা মাছ বা পুঁটি মাছ আমাদের রেটিনাসহ নার্ভ সেলগুলোকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখে।
ষ সারা বছরই পাওয়া যায় এমন দু’টি ফল হলোÑ কমলালেবু ও মাল্টা। ভিটামিন-সিতে পরিপূর্ণ এই ফল দু’টিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে অনেক। যা আমাদের কর্নিয়াকে সুরক্ষা করে এবং চোখে ছানি পড়া থেকে বাঁচায়।
ষ ডিম চোখের জন্য উপকারী। ভিটামিন-এ’র প্রায় সব রকমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টই রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সক্ষম। আর ডিমে এর সব অ্যান্টিঅক্সিডেন্টই কমবেশি থাকায় ডিমকেও ধরা যায় চোখের কার্যকারিতা বৃদ্ধির অন্যতম উপাদান হিসেবে।
ষ গাজর। গাজরে থাকে বেটা-ক্যারোটিন। এটা ভিটামিন-এ’র একটি প্রধান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা রেটিনাকে খুবই ভালো রাখে, ফলে আমাদের চোখে ছানি পড়ার দুর্ভাবনা হয়। গবেষকরা বলেন, আমাদের প্রতি সপ্তাহে অন্তত কয়েকবার গাজর খাওয়া উচিত।
ষ চোখের জন্য পুষ্টিকর ও প্রয়োজনী খবার গ্রহণ করুন। সতেজ সজিব ও সচল দৃষ্টিশক্তি নিয়ে জীবন যাপন করুন।