সন্তান বেড়ে উঠুক সৃজনশীলতায়
- তাসফিয়া তাজিন
- ২১ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০
শিশুরা স্বাভাবিকভাবেই প্রখর কল্পনাশক্তি ও উদ্ভাবনীশক্তির অধিকারী হয়ে থাকে। সৃজনশীলতা তাদের বুদ্ধিমত্তা, স্বাস্থ্য ও মানসিক বিকাশে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ ছাড়াও সৃজনশীলতা শিশুদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে ও নতুন নতুন জিনিস শিখতে সাহায্য করে। শিশুদের সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করতে বাবা-মায়েরা কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন। যেমন : ঘরের একটি কোণে শিশুর নিজের একটি জায়গা তৈরি করে দিন। এজন্য কোনো বড়সড় জায়গা বা প্লেরুমের প্রয়োজন নেই, ছোট্ট একটি কোণে একটি লেগো সেট বা অন্য কোনো খেলনা থাকলেই হলো। মূল ব্যাপার হলো শিশুরা যেন ওই ছোট্ট জায়গাটির ওপর নিজের কর্তৃত্ব অনুভব করে। এ ছাড়াও শিশুদের খেলাধুলায় মা-বাবার দখলদারি কম করতে হবে। লক্ষ্য রাখুন তারা কী খেলছে, কিন্তু কখনোই তাদের খেলায় নিজেরা কোনো উপদেশ না নির্দেশ দেবেন না। ধরুন তারা লেগো সেট দিয়ে খেলছে। তাদেরকে তাদের কল্পনাশক্তি ব্যবহার করে যা খুশি তৈরি করে দিন। এ ছাড়াও আরেকটি ব্যাপার নিশ্চিত করতে হবে যেন শিশুরা কিছু সময় নিজের মতো করে কাটাতে পারে। এতে করে তারা মানসিকভাবে ভালো বোধ করবে, যা তাদের সৃজনশীলতাকে বাড়তে সাহায্য করবে। শিশুদের সৃজনশীলতা বাড়াতে তাদের বাইরের পৃথিবীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়াও আরেকটি জরুরি বিষয়। তার মানে এই নয় যে, অনেক টাকা খরচ করে দেশ বিদেশে দূরে কোথাও ট্রিপে নিয়ে যেতে হবে। শিশুদের আশপাশের প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক স্থান দেখানো, লাইব্রেরি, চিড়িয়াখানা, জাদুঘর ইত্যাদি জায়গায় গেলেও শিশুদের সৃজনশীলতা বাড়ে। শিশুরা যেন বাড়ির বাইরে গিয়ে অন্য শিশুদের সাথে মিশতে পারে ও খেলাধুলা করতে পারে এটাও নিশ্চিত করতে হবে। তাদের খেলাধুলায় বড়রা খবরদারি করা যাবে না। ছোটরা নিজেরাই খেলার নিয়ম কানুন নিজেদের মতো করে তৈরি ও পরিবর্তন করতে সক্ষম। এর ফলে শিশুদের মানসিক বিকাশ খুব ভালোভাবে হয়। যে কাজে শিশুরা আগ্রহী, যেমন ছবি আঁকা বা সাইকেল চালানো বা তবলা বাজানো, সেই কাজে তাদের উৎসাহিত করুন। প্রয়োজনীয় উপকরণ কিনে দিয়ে তাদের সাহায্য করুন নিজের পছন্দের কাজ করতে। আরেকটি বিষয়, শিশুরা কিন্তু মা বাবাকে দেখেই শেখে। তাই নিজেরাও কোনো সৃজনশীল কাজ করুন যাতে তারা আপনাদের দেখে উৎসাহ পায়।