২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ডিমের রকমারি

-

ডিম খুবই পুষ্টিকর খাবার। ছোট শিশু বা প্রাপ্তবয়স্ক মানুষÑ সবার শরীরের জন্যই ডিম উপকারী। কিন্তু অনেকের কাছে ডিম খেতে ভালো লাগে না, বিশেষ করে শিশুদের। শিশুদেরকে সেদ্ধ বা পোঁচ করা ডিম খাওয়াতে অনেক কসরত করতে হয় মায়েদের। ডিমের এই রেসিপিগুলো বানিয়ে দেখুন। শিশু বা বৃদ্ধ সবাই খাবে পছন্দ করে।
রেসিপি দিয়েছেন তাসলিমা সুলতানা

ডিমের পুডিং

উপকরণ : ১ লিটার দুধ, চিনি নিজের স্বাদমতো, ভ্যানিলা এসেন্স ১ চা চামচ, ৪টা ডিম, ১ টেবিল চামচ ঘি বা মাখন গলিয়ে নেয়া।
প্রণালী : দুধ জ্বাল দিয়ে অর্ধেক পরিমাণ করে ফেলুন এবং নামিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। একটি বাটিতে ডিম নিয়ে ভালোমতো বিট করে এতে চিনি দিয়ে আবারো বিট করতে থাকুন। খুব ভালো করে ফেটানো হয়ে গেলে এতে ভ্যানিলা এসেন্স ও ঘি বা মাখন দিন। আরো খানিকক্ষণ ভালোভাবে বিট করে নিন। যে পাত্রের মধ্যে পুডিং বানাতে চান, সেই পাত্র নিয়ে কিছু চিনি তলায় ছড়িয়ে দিন। প্রায় ১ চা চামচ পরিমাণ চিনি পাত্রে ছড়িয়ে কয়েক চামচ পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। চিনি গলে মিশে শিরা তৈরি হয়ে লাল হয়ে ক্যারামেল তৈরি হয়ে যাবে। পাত্রে ক্যারামেল বসে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন পাত্রটি। এবার ডিম-চিনির মিশ্রণে ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া দুধ ঢেলে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মনে রাখবেন, যদি দুধ সামান্য গরম থাকে তবে ডিমকে জমাট করে ফেলবে। তাই দুধ খুব ঠাণ্ডা করে নিয়েই মেশাতে হবে। এরপর ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া ক্যারামেলাইজড পাত্রে পুরো মিশ্রণটি ঢেলে দিন। একটি বড় সসপ্যান চুলায় বসিয়ে এর ঠিক মাঝে একটি স্ট্যান্ড বসিয়ে দিন। এতে এর ১/৪ অংশ পানি নিন। পুডিংয়ের বাটিটি স্ট্যান্ডের ওপর বসিয়ে ঢেকে দিন। সসপ্যানটিও ভালো করে ঢেকে ওপরে ভারী কিছু দিয়ে চাপা দিন। এখন আগুন জ্বালিয়ে পানি জ্বাল করতে থাকুন। দেড় থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যেই পুডিং হয়ে যাবে, তাই সতর্ক থাকুন। ২০ মিনিট পরপর চেক করুন পুডিংয়ের নিচের সসপ্যানের পানি শুকিয়ে গেল কি না। প্রয়োজনে অল্প অল্প পানি দিন। চুলা থেকে নামানোর আগে একটি কাঠি দিয়ে পুডিং ঠিকমতো হয়েছে কি না পরীক্ষা করে নিন। এরপর পুডিংয়ের বাটি একটু ঠাণ্ডা হলে একটি ছড়ানো প্লেটে উল্টো করে দিন। এতে পুডিংয়ের ক্যারামেল অংশটি ওপরে আসবে। ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।

ডিমের শাহী হালুয়া

উপকরণ : দুধ (১ কেজি দুধকে ঘন করে আধা কেজি করে নেয়া), ঘি ৪ টেবিল চামচ, ডিম ৪টা, চিনি ৬ টেবিল চামচ, টোস্ট বিস্কিটের গুঁড়া ১ কাপ, দারুচিনি ২টি, এলাচ ২টি, কিশমিশ ইচ্ছামতো, বাদাম কুচি পরিমাণমতো, জাফরান সামান্য।
প্রণালী : দুধ ঠাণ্ডা করে তার সাথে ডিম ভালো করে ফেটে নিয়ে মেশাতে হবে। এরপর ধীরে ধীরে চামচ দিয়ে নেড়ে নেড়ে বিস্কিটের গুঁড়াগুলো মেশাতে হবে। ভালোভাবে বিট করে নিতে হবে। এবার একটি পাত্রে ঘি গরম করে তার মধ্যে দুধের মিশ্রণটি দিয়ে দিন। এতে দারুচিনি, এলাচ আর সামান্য জাফরান দিয়ে অবিরাম নাড়তে হবে। ভালো করে না নাড়লে নিচে লেগে যেতে পারে। মিশ্রণটি একদম ঘন হয়ে এলে নেড়ে নামিয়ে ফেলুন। বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে পরিবেশন করুন।

স্প্যানিশ অমলেট

উপকরণ : ২টি চিকেন সসেজ টুকরো করে কাটা, ১ টেবিল চামচ জলপাইয়ের তেল, আধা চা চামচ শুকনা মরিচ ভেজে হাত দিয়ে ভেঙে নেয়া, মোজারেলা চিজ আধা কাপ, ১টি বড় পেঁয়াজ পাতলা করে কাটা, ২ কোয়া রসুন কুচি করে কাটা, ১টি ক্যাপসিকাম স্লাইস করে কাটা, ১টি টমেটো স্লাইস করে কাটা, ৩টি ডিম ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালী : মাঝারি তাপে প্রথমে একটি নন-স্টিক ফ্রাইপ্যান গরম করে নিতে হবে। চিকেন সসেজের টুকরোগুলো বাদামি রঙ না হওয়া পর্যন্ত ভাজতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে সসেজ উঠিয়ে রেখে প্যানে তেল দিয়ে পেঁয়াজ, রসুন ও ক্যাপসিকাম ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। একটি বাটিতে ডিম ফেটে নিয়ে তাতে পানি, লবণ, মরিচ, টমেটো দিতে হবে। প্যানে তেল গরম করে দিয়ে ডিমের মিশ্রণটি ঢেলে দিতে হবে। এর ওপর পেঁয়াজ, রসুন, ক্যাপসিকাম, সসেজের টুকরাগুলো ও চিজ দিয়ে ভাজুন। ভাজা হলে পিজার মতো তিন কোনা আকারে কেটে পরিবেশন করুন।


ডিমের জর্দা

উপকরণ : ডিম ৪টা, চিনি ৪ টেবিল চামচ, দুধ আধা কাপ, দারুচিনি ছোট একটি, এলাচ একটি, ঘি ৪ টেবিল চামচ, ছানা আধা কাপ।
প্রণালী : প্রথমে ঘি গরম করুন। অন্য একটি পাত্রে ডিম ফেটে নিন। ঘি গরম হয়ে এলে এতে ডিম দিয়ে মৃদু আঁচে হালকা বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। ডিম অনবরত নাড়তে থাকুন, যাতে ডিম কুচি কুচি হয়ে যায়। এবার এতে দুধ দিন। দারুচিনি ও এলাচ দিন। নাড়তে থাকুন। এবার চিনি দিন। শুকনো শুকনো হয়ে এলে এতে ছানা মেশান। ভালোভাবে নেড়ে মিশিয়ে নিন। হয়ে গেল ডিমের জর্দা। ওপরে বাদাম বা কিশমিশ মিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।


আরো সংবাদ



premium cement