২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

খেলাধুলায় সুস্থ শিশু

-


শিশুরা স্বভাবতই বাইরে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী থাকে এবং বাইরে খেলাধুলা তাদের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশু দিনে খোলামেলা পরিবেশে প্রাকৃতিক আলো-বাতাসের সংস্পর্শে আসে রাতে তাদের তুলনামূলক ভালো ঘুম হয়। এ ছাড়াও শিশুর শারীরিক, মানসিক, চারিত্রিক এবং সামাজিক গুণাবলি বিকাশ পায়।
বাইরে খেলাধুলা শিশুদের বুদ্ধি বিকাশে সহায়ক। কারণ বাইরে খেলাধুলা করার সময় তাদের অনেক কিছু দেখার, শেখার এবং উপভোগ করার সুযোগ থাকে। এতে বুদ্ধি বিকাশের পাশাপাশি তাদের মোটর স্কিলও উন্নত হয়। বাগানে কিংবা আশপাশের কোনো পার্কে খেলাধুলা কিংবা সকালে অথবা বিকালে তাদের হাঁটার অভ্যাস করলে তা তাদের শরীর ও মন দুই-ই সুস্থ রাখে। একইভাবে বাইরে হাঁটাচলা কিংবা খেলাধুলা শিশুদের ক্যালোরি বার্ন করে এবং স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনে সাহায্য করে। শিশুকে বাইরে খেলতে দেয়া তাকে প্রকৃতি ও পরিবেশের সাথে পরিচিত করে তোলে।
শিশুদের সাথে বাইরে হাঁটতে যাওয়ায় অভিভাবকেরও সুযোগ হয় রোজকার জীবন থেকে কিছুটা বিরতি নিয়ে হালকা এক্সারসাইজ করা কিংবা বন্ধুবান্ধবের সাথে দেখা করার এবং গল্প করার। একই সাথে শিশুরাও সুযোগ পায় তাদের বয়সী ছেলে-মেয়েদের সাথে মেশার যা তাদের সামাজিক করে তোলে এবং নতুন বন্ধু পেতে সাহায্য করে। এতে তারা একসাথে খেলাধুলা ও মিলেমিশে কাজ করাÑ এসব সামাজিক গুণ শেখে।
সকালে শিশুরা বাইরে খেলাধুলা কিংবা হাঁটার সুযোগ পেলে তাতে তারা রোদের সংস্পর্শে আসে। এতে করে তাদের দেহের ভিটামিন-ডি’র চাহিদা পূরণ হয়, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কারণ, এটি দেহে হাড় গঠন করে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
বাইরে খেলাধুলা করলে শিশুরা দায়িত্ব নেয়াও শেখে। যদিও মা-বাবা সমসময় চান যেন শিশুকে কোনো দায়িত্ব বা ঝুঁকি নিতে না হয়, তারা যেন সবসময় নিরাপদ থাকে। এরকম চিন্তাভাবনার ফলে জানতেই পারে না যে, তারা কী কী করতে সক্ষম। ফলে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় না। জীবনে চলতে গেলে দায়িত্ব ও ঝুঁকি নেয়া শেখা খুবই জরুরি। এতে করে তারা সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী হয়। তাই বাইরে খেলার সুযোগ পেলে তারা হয়তো ছোটাছুটির ফলে হালকা ব্যথা পেতে পারে, কিন্তু এতে করে তারা শারীরিকভাবে সবল হবে এবং তাদের সাহস ও আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
ঘরে বন্দী হয়ে শৈশব কাটানো শিশুদের অনেকেরই সৃজনশীলতা খুব কম হয়ে থাকে। কারণ তারা অন্য শিশুদের সাথে মন খুলে মেশার ও খেলাধুলা করার সুযোগ পায় না।
অন্য দিকে, বাইরে খেলাধুলা করলে শিশুরা অন্য শিশুদের সাথে মেশার ফলে তাদের পারিপার্শ্বিক জ্ঞান বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়াও বাইরে খেলাধুলা করলে তাদের সৃজনশীলতা ও কল্পনাশক্তি বাড়ে।
বাইরে খেলার সুযোগ না পেলে শিশুরা তাদের অবসর সময়ের বেশির ভাগ কাটায় মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারে গেম খেলে বা ভিডিও দেখে। ফলে চোখেরও ক্ষতি হয়। অনেক শিশু স্থূলতায় ভোগে। বাইরে খেলাধুলা করার সুযোগ পেলে শিশুদের চোখের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচে, মোবাইল ফোনে আসক্ত হয় না এবং শারীরিকভাবেও অনেক বেশি শক্তিশালী ও সুস্থ হয়ে থাকে।


আরো সংবাদ



premium cement
মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : শিশুসহ দগ্ধ ৭ সাবেক প্রধান বিচারপতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ সুপ্রিমকোর্টের বিচারকাজ বন্ধ ফিরছেন শান্ত, অপেক্ষা বাড়ছে মুশফিকের জন্য পিক‌নিকের বা‌সে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু : পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাসহ বরখাস্ত ৭ কুয়াশায় ঢাকা কুড়িগ্রাম, তাপমাত্রা ১৫.৬ ডিগ্রি ‘স্বৈরাচার ও ফ্যাসীবাদমুক্ত দেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ রাশিয়ায় শিক্ষার্থীদের ‘নির্মমভাবে’ গ্রেফতারের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিবাদ সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই তাজরীন ট্র্যাজেডির এক যুগ : পুনর্বাসনের দাবি আহতদের সিইসিসহ নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনারদের শপথ আজ জর্ডানে ইসরাইলি দূতাবাসের কাছে গুলি, বন্দুকধারী নিহত

সকল