২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ভর্তার চার পদ

-

রেসিপি

বাঙালির রসনা বিলাসে ভর্তা সব সময়ই ভিন্নমাত্রা যোগ করে। ভাত-ভর্তার স্বাদ যেকোনা ভোজনপ্রিয় বাঙালির কাছেই লোভনীয়। কোরবানির ঈদের পুরো সপ্তাহজুড়ে গরুর গোশতই দখল করে নিয়েছিল খাবার টেবিল। গোশতের বিরতিতে তাই এই সপ্তাহে থাকছে চার রকম ভিন্ন স্বাদের ভর্তার রেসিপি দিয়েছেন তাসলিমা সুলতানা

পটোল খোসা-চিংড়ি ভর্তা

উপকরণ : পটোলের খোসা এক কাপ, মাঝারি সাইজের চিংড়ি মাছ ৫টি, আদা কুচি এক চা চামচ, রসুন কুচি এক চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি দুই টেবিল চামচ, শুকনো মরিচ ৩টি, লবণ পরিমাণমতো, সরিষার তেল এক টেবিল চামচ।
প্রণালী : পটোলের খোসা ও চিংড়ি ভালো করে ধুয়ে নিন। লবণ মাখিয়ে বাকি সব উপকরণসহ অল্প আঁচে ভেজে নিন। এমনভাবে ভাজতে হবে যেন চিংড়ি ও পটোলের খোসা সেদ্ধ হয়। ভাজা হলে এবার সব মিহি করে বেটে নিন বা ব্লেন্ড করে নিন।

রসুন ভর্তা

উপকরণ : রসুন ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, পেঁয়াজ পাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ২ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচ ২টি, সরিষার তেল ১ চা চামচ লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালী : রসুনের কোয়াগুলো ফ্রাইপ্যানে আলাদা করে ভেজে নিন। রসুন সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন। হালকা গরম থাকা অবস্থায়ই খোসা ছাড়িয়ে নিন। হাত দিয়ে চটকে নিন। ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করুন। শুকনা মরিচ সামান্য ভেজে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন। পেঁয়াজ হালকা বাদামি হলে চটকানো রসুন, কাঁচামরিচ কুচি ও স্বাদমতো লবণ দিয়ে কয়েক মিনিট ভাজুন। ধনেপাতা কুচি ও পেঁয়াজপাতা কুচি দিয়ে আরো খানিকক্ষণ ভাজুন। সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার রসুন ভর্তা।

মিষ্টিকুমড়ার ভর্তা

উপকরণ : মিষ্টিকুমড়া ২ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, কাঁচামরিচ কুচি ৫-৬টা, পেঁয়াজ কুচি ২টা, সরিষার তেল পরিমাণমতো।
প্রণালী : মিষ্টিকুমড়া খোসা ছাড়িয়ে কেটে ধুয়ে হালকা আঁচে ভালোভাবে ভেজে নিন। এরপর মিষ্টিকুমড়া বাদে সব উপকরণ একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার ভাজা মিষ্টিকুমড়ার সাথে সব উপকরণ খুব ভালো করে মেখে নিন। হয়ে গেল মজাদার মিষ্টিকুমড়ার ভর্তা।

চিংড়ির ভর্তা

উপকরণ : চিংড়ি মাছ মাঝারি আকারের ১ কাপ, আধা কাপ পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ।
প্রণালী : চিংড়ি মাছ প্রথমে ভালোভাবে ধুয়ে সেদ্ধ করে নিন। খোসা ছাড়িয়ে আলাদা পাত্রে তুলে রাখুন, মাছের মাথাগুলোও বাদ দিয়ে দিতে হবে। একটি পাত্রে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, ধনেপাতা কুচি ও লবণ একসাথে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন, যাতে পেঁয়াজ কুচি নরম হয়ে যায়। এবার তুলে রাখা চিংড়ি মাছের সাথে এ মিশ্রণটি ভালোভাবে মেশান। সাথে দিন সরিষার তেল। হাত দিয়ে ভালোভাবে মেশান যাতে চিংড়িগুলো কুচি কুচি হয়ে যায়। এই ভর্তাটি কিন্তু শিলপাটাতে বাটা যাবে না, কারণ এটির বৈশিষ্ট্যই হলো চিংড়িগুলো কিমার মতো হবে। তৈরি হয়ে গেল চিংড়ি ভর্তা।


আরো সংবাদ



premium cement