২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ভারী কাপড়ের যতœ

ঈদের প্রস্তুতি
-

ঈদের আগে বিছানার চাদর, জানালার পর্দা পরিষ্কার করা বাসার জরুরি কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। সব পর্দা কিন্তু ওয়াশিং মেশিনে ধোয়া যায় না, শুধু সেসব পর্দা যা ওজনে হালকা এবং কম পানি শোষণ করে, যেমন সুতি পর্দা, মেশিনে ধোয়া যায়। এ ক্ষেত্রে সাধারণ ডিটারজেন্ট দিয়েই ধোয়া যাবে, তবে ডেলিকেট সাইকেলে ধুতে হবে। নেটের পর্দা মেশিনে ধুতে হলে একটি বালিশের কভারের ভেতরে ঢুকিয়ে তার পর ধোয়া ভালো, এতে পর্দার কোনো ক্ষতি হবে না।
যেসব পর্দা বেশি নাজুক, বা বাহারি লেস ও উপকরণ দিয়ে তৈরি, সেগুলো হাতে ধোয়াই উত্তম। ডিটারজেন্ট ও হালকা গরম পানি দিয়ে আলতো হাতে বড় একটি গামলায় করে ধুলে পর্দার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
খেয়াল রাখতে হবে যেন পর্দা ও বেডশিট কোনোটাই একসাথে অনেকগুলো করে না ধোয়া হয়, একসাথে অনেকগুলো কাপড় ধুলে কাপড়ও ভালোভাবে পরিষ্কার হয় না, মেশিনের মোটরেরও ক্ষতি হয়।
নতুন বেডশিটে এমন কিছু কেমিক্যাল থাকে যার কারণে বেডশিট অনেক শক্ত অনুভব হয়। সরাসরি ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুলে বেডশিটটি অনেক দিন এরকম শক্ত হয়ে থাকবে। তাই বেডশিটটি নরম করতে প্রথমে এক কাপ বেকিং সোডা, এক কাপ সাদা ভিনেগার দিয়ে ওয়াশিং মেশিনের রিন্স সাইকেলে বেডশিটটি ধুতে হবে। তার পর ডিটারজেন্ট দিয়ে সাধারণত যেভাবে ধোয়া হয় সেভাবে ধুতে হবে।
পর্দা ও বেডশিট মেশিনে ধোঁয়া হোক বা হাতে, এগুলো প্রাকৃতিকভাবে শুকানোই সবচেয়ে ভালো, তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন সরাসরি সূর্যের আলো না পরে। সরাসরি সূর্যের আলোতে শুকালে রঙ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যদি প্রাকৃতিকভাবে শুকানো সম্ভব না হয়, তাহলে লো সেটিংয়ে ওয়াশিং মেশিনেই টাম্বল ড্রাই করতে পারেন। ৯৫ শতাংশ শুকানোর পরই মেশিন থেকে বের করে বাকিটুকু বাতাসে শুকাতে হবে। এতে কাপড়ে ভাজ পরবে না। তার পর ইস্ত্রি করে নিতে হবে।
বছরে অন্তত দু’বার পর্দা ধোয়া উচিত। সপ্তাহে একবার ভ্যাকিউম ক্লিনারের ব্রাশ এটাচমেন্ট দিয়ে পর্দা পরিষ্কার করা উচিত। এতে পর্দা দীর্ঘ দিন ঝকঝকে থাকবে। বেডশিট সপ্তাহে একবার পাল্টানো উচিত। সম্ভব না হলে প্রতি ১০ দিনে একবার পাল্টানো উচিত।
দাগ দূর করুন সহজে
কাপড়ে দাগ লাগার পর যত দ্রুত কাপড় ধোয়া হবে বা অন্তত ভিজিয়ে রাখা হবে, তত সহজে দাগ চলে যাবে। কাপড়ের দাগ তোলার জন্য যে ডিটারজেন্ট ব্যবহার করবেন তা প্রথমে কাপড়ের এক কোনায় লাগিয়ে দেখুন এটি কাপড়ের রঙ নষ্ট করছে কি না। দাগ তোলার জন্য সবচেয়ে ভালো এনজাইম ডিটারজেন্ট।
ঘামের দাগ
ধোয়ার আগে কাপড়ে ডিটারজেন্ট মেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। তার পর এনজাইম ডিটারজেন্ট ও অক্সিজেন ব্লিচ ব্যবহার করে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কালির দাগ
কালির দাগ তোলার জন্য সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো হেয়ার স্প্রে। দাগের জায়গায় কাপড়ের নিচে একটি টিস্যু পেপার রেখে দাগের ওপর স্প্রে করুন। কয়েকবার ¯েপ্র করার পর আরেকটি টিস্যু পেপার নিয়ে চেপে চেপে মুছে নিন। যতক্ষণ দাগ পুরোপুরি না চলে যায়, প্রক্রিয়াটি রিপিট করুন।
তেল-চর্বির দাগ
বাসন মাজার সাবান হালকা করে লাগিয়ে সাথে সাথে ধুয়ে ফেলতে হবে। তার পর ডিটারজেন্ট লাগিয়ে ঘষে কয়েক মিনিট রেখে দিতে হবে। গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
কফির দাগ
দাগটি প্রথমে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তারপর ডিটারজেন্ট লাগিয়ে ঘষতে হবে, একটি পুরনো টুথব্রাশ দিয়ে দাগের জায়গাটি ঘষুন। এবার কিছুক্ষণ রেখে দিন। তার পর গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
হলুদের দাগ
প্রথমে দাগযুক্ত কাপড়টি পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। একটি পাত্রে পানির সাথে ব্লিচ গুলে একটি পাতলা তরল মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এবার দাগযুক্ত কাপড়টি এই পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে ১০-১৫ মিনিট। তার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement