আমার যা কিছু তার পুরো কৃতিত্বই মায়ের : পপি
- আলমগীর কবির
- ০৭ মে ২০১৯, ০০:০০
রুপালি পর্দায় কাজ করার বিষয়টি দূরের মানুষ ভালোভাবে নিলেও পরিবারের লোকজন সহজভাবে নেয়নি। এ জায়গাটায় অভিনেত্রী সাদিকা পারভীন পপিকে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন তার মা। এ প্রসঙ্গে পপি বলেন, আমি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি। লেখাপড়া শুরু হয়েছিল গ্রামের স্কুলে। ওখানে থেকে পর্দায় কাজ করা ছিল স্বপ্নের মতো একটা ব্যাপার। কিন্তু এখন সেই স্বপ্নের পথেই হাঁটছি। এটা সম্ভব হয়েছে আমার মায়ের কারণে।
পপি বলেন, আমি যখন লাক্স-আনন্দ বিচিত্রার সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিই, বাড়ির সবাই এর বিরোধিতা করেছিল। তখন মা আমাকে সাহস দিয়ে বলে ছিলেনÑ যেকোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নিলে মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়ে, তুমি যদি সেই আত্মবিশ্বাস ধরে রেখে চ্যাম্পিয়ন হতে পারো; আমি তোমাকে সাহায্য করব। পপি আরো বলেন, আমি ওই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। পরবর্তীকালে সোহানুর রহমান সোহান আমাকে চলচ্চিত্রের প্রস্তাব দেন। এখানেও বাধা ছিল, কিন্তু মা আমাকে সাহস দিয়েছিলেন। সোহান ভাইয়ের ‘আমার ঘর আমার বেহেস্ত’ মুক্তি পেতে বিলম্ব হয়েছিল, এর মধ্যেই আমি মনতাজুর রহমান আকবরের ‘কুলি’ ছবিতে অভিনয় করি এবং এটা আমার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবি। এই ছবির অভিনয় দেখে অনেকেই প্রশংসা করেছিলেন। কিন্তু মা যখন আমাকে বললেন, ‘তোর অভিনয় অনেক ভালো হয়েছে’ তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যিই আমি একটা কিছু করতে পেরেছি। ওই আত্মবিশ্বাস থেকেই আমার বাকি পথচলা। যেখানে আমার অর্জন তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
এসব পুরস্কার পাওয়ার পর পপির মনে হতো, যে মায়ের জন্য এত কিছু; সেই মা কেন পুরস্কার পায় না। এবার সেই আশাও পূরণ হচ্ছে। আগামী ১২ মে বিশ্ব মা দিবসে পপির মায়ের হাতে উঠবে সন্তানের কীর্তির স্বীকৃতিস্বরূপ ‘গরবিনী মা’ সম্মাননা। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর হাত থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করবেন পপির মা।
আমার মায়ের সংগ্রামী জীবনকে মূল্যায়িত করে, আমার সফলতাকে বিবেচনা করে আমার মাকে গরবিনী মা সম্মাননা দেয়ার উদ্যোগকে আমি শ্রদ্ধা জানাই, স্বাগত জানাই। এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।