২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বসন্তে শিশুর যতœ : রঙের ফিচার

-

ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে শিশুর শরীরের ওপর নানা রোগের প্রভাব পড়তে পারে। সকাল-সন্ধ্যা শীত শীত আবহ থাকলেও মাঝে মধ্যে গরমে ঘামতে দেখা যায় শিশুদের। শীতের শেষ এই সময়টায় শিশুদের দরকার বাড়তি যতেœর। এই আবহাওয়ায় শিশুর সুস্থতা নিয়ে কথা বলেছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: আঞ্জুমান আরা।
এই সময় শিশুকে গরম পোশাক পরার প্রয়োজন নেই। তবে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে আপনার ছোট শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। সাধারণ ঠাণ্ডা লাগা, হাঁচি, কাশি হয়ে থাকে। হতে পারে সামান্য জ্বরও। সামান্য অসাবধানতায় এ সময় ফ্লু থেকে শুরু করে হতে পারে নিউমোনিয়া কিংবা ব্রংকিওলাইটিস। ফ্লু থেকে শিশুদের নাক দিয়ে পানি বের হতে থাকে, হাঁচি ও কাশি হয়।
সাধারণ সর্দি-কাশিতে শিশুর যতœ

শিশুকে আবহাওয়া অনুযায়ী পোশাক পরাতে হবে। বেশি কাপড় বা মোটা কাপড় পরিয়ে রাখবেন না। এতে শিশু ঘেমে আরো ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে। রাতে কোনোভাবেই সোয়েটার পরানো উচিত নয়। কাশি থাকলে শিশুকে গরম পানির সাথে লেবু ও চিনি বা গরম পানির সাথে মধু মিশিয়ে দিনে দুইবার খাওয়ান। সর্দি হয়ে শিশুর নাক বন্ধ হয়ে থাকলে সাধারণ স্যালাইন (খাওয়ার স্যালাইন) ড্রপারের সাহায্যে শিশুর দুই নাকের উভয় ছিদ্রে দুই থেকে তিন ফোঁটা দিন এবং কটনবাড দিয়ে নাক ভালোভাবে পরিষ্কার করে দিতে হবে। এভাবে শিশুকে প্রতিবার খাওয়ার আগে ও ঘুমের আগে এটা করুন। নাক পরিষ্কার করার জন্য সরিষার তেল ব্যবহার করা যাবে না। শ্বাসকষ্ট থাকলে শিশুরা ঠিকমতো খেতে পারে না, তাই কিছুক্ষণ পরপর অল্প করে দুধ খাওয়াতে হবে। বেশি কাশি হলে নেবুলাইজেশন করানো যেতে পারে। এর পরেও শিশু বেশি অসুস্থ বোধ করলে, জ্বর বেশি থাকলে, বুকে গড় গড় আওয়াজ হলে বা শ্বাসকষ্ট শুরু হলে শিশুকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
প্রতিরোধ

আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত রোগ সহজেই প্রতিরোধ করা যায়। শিশুর অভিভাবক বা যারা শিশুর লালন-পালনের দায়িত্বে থাকেন, তাদের অবশ্যই আবহাওয়ার পরিবর্তন বুঝতে হবে। দিন ও রাতের যে সময়ে গরম অনুভূত হয়, তখন বেশি গতিতে ফ্যান চালানো যাবে না, শেষ রাতের দিকে ফ্যান বন্ধ করতে হবে। অনেক সময় শুধু ফ্যানের বাতাসের কারণে শিশু বিভিন্ন জটিলতায় আক্রান্ত হয়। তাই সতর্কতা হিসেবে রাতে শোয়ার সময় শিশুর শরীরে পাতলা নরম কাপড়ের পোশাক পরাতে হবে।
মওসুমি রোগ প্রতিরোধের আরেকটি উপায় হচ্ছে সুষম ও ভিটামিনযুক্ত খাবার খেতে শিশুকে আগ্রহী করে তোলা। এই খাদ্যের তালিকায় থাকতে পারে শাকসবজি, মওসুমি বিভিন্ন ফল, মাছ-গোশত, ভাত, ডাল প্রভৃতি দেশী খাবার। পরিবারের কেউ যদি ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত থাকে, তাহলে সে যেন শিশু থেকে দূরে থাকে।
যদি একেবারেই খেতে না পারে তাহলে অবশ্যই শিশুকে কাছের কোনো চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement