শিশুর জন্য বর্ণমালা রঙের ফিচার
- নিপা আহমেদ
- ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
মাতৃভাষার বর্ণ শেখার আনন্দই অন্যরকম। আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। বাংলা ভাষাকে ভালোবেসে প্রাণদানের এমন নজির পৃথিবীর ইতিহাসে নেই। মাতৃভাষার মর্যাদা ও গুরুত্ব এখন ছড়িয়ে গেছে পৃথিবীজুড়ে। একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যাকরণগত পদবিন্যাসের সবচেয়ে ভালো সময় হলো শিশুর বয়স পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে। এরপর ভাষাজ্ঞান আয়ত্ত করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। ছোট্ট শিশুরা বর্ণ শিখে আনন্দ পায় না; যদি শেখানোর পদ্ধতিকে তাদের বয়সের উপযোগী করে তোলা না যায়। তাই বাবা-মাকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে, যেন শেখানোর পদ্ধতি অবশ্যই তাদের বয়সের উপযোগী হয় এবং তারা মজা করে শিখতে পারে। বাবা-মা যাতে তাদের সন্তানকে সহজেই বর্ণমালা শেখাতে পারেন, এ জন্য বাজারে এসেছে বিভিন্ন রকম উপকরণ।
বইয়ের প্রসঙ্গে বলা যায়Ñ একটি ভালো বই হাতে পেলে শিশুরা সহজেই অনেক বর্ণমালার সাথে পরিচিত হতে পারবে। তবে বর্ণমালা শেখার উপযোগী বই খুঁজতে গিয়ে অনেকেই পড়ে যান বিপাকে। বইগুলো পছন্দ হয় না বিভিন্ন কারণে। হয়তো বইটা মানসম্পন্ন নয় অথবা বইগুলো শিশুদের জন্য সহজপাঠ্য নয়Ñ এমন বিভিন্ন সমস্যা কখনো কখনো দেখা যায়। তবে খুঁজে পেতে কষ্ট হলেও এমন কিছু বই কেনা প্রয়োজন, যেগুলো আসলেই শিশুদের উপযোগী। যেগুলো থেকে শিশুরা সঠিক পাঠ নিতে পারবে। এমন বই হাতে পেলে শিশুরা সহজ পদ্ধতিতে বর্ণমালা শিখতে পারবে। এসব বই সব জায়গায়, সব লাইব্রেরিতে পাওয়া যাবে না। পাওয়া যাবে বাংলাবাজার, চকবাজার, নিউমার্কেটসহ বড় বইয়ের দোকানগুলোতে। বই ছাড়াও বর্ণমালা শেখার আরো বেশ কিছু উপকরণ পাওয়া যায় এখন। যেমনÑ বর্ণমালার পোস্টার। বর্ণমালার পোস্টারগুলো ঘরে এনে ঝুলিয়ে রাখা যেতে পারে। নিয়মিত দেখলে এমনিতেই শেখা হয়ে যাবে। শিশুদের জন্য খেলার মাধ্যমে শেখার নানা ব্যবস্থা রয়েছে। এর জন্য বাজারে পাওয়া যায় প্লাস্টিকের ব্লক। এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে বর্ণমালা শেখানোর জন্য সিডি ও ডিভিডি পাওয়া যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বাবা-মায়ের প্রচেষ্টা। তাদের সার্বক্ষণিক চেষ্টা। এটি শিশুকে সঠিকভাবে বর্ণমালা শিখে নিতে সাহায্য করবে। হ