উদযাপনে ভালোবাসা দিবস : রঙের ফিচার
- নিপা আহমেদ
- ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
ভালোবাসা প্রকাশের ধরনে এসেছে পরিবর্তন। এখনকার ছেলেমেয়েরা ভালোবাসা প্রকাশে পছন্দের উপহার দেবে, পছন্দের কোনো জায়গায় বা রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাবে। অর্থাৎ ভালোবাসা দিবসের বিশেষ উপহার তাদের কাছে বিশেষ অনুভূতি প্রকাশেরই প্রতীক।
ভালোবাসা শুধু মানুষের সাথে নয় পশুপাখি, পাহাড়, নদী, সমুদ্র, প্রকৃতি, সঙ্গীত এমনকি গ্রন্থের সাথেও ভালোবাসার ব্যাপার রয়েছে। এখনো পৃথিবী এগোচ্ছে ভালোবাসার কারণেই। ভালোবাসাকে উপেক্ষা করার সাধ্য নেই কারো। অতীতে ছেলেমেয়েদের মেলামেশা এতটা সহজ ছিল না, তবে বইয়ের মধ্যে চিরকুট বা কোনো কবিতা বা গানের চরণ লিখে ভালোবাসা প্রকাশ করা হতো। বর্তমানে চিঠির বদলে এসেছে এসএমএস আর ই-মেইল, ফেসবুক তো রয়েছেই। তবে ভালোবাসা প্রকাশের ধরনে এসেছে পরিবর্তন। এখনকার ছেলেমেয়েরা ভালোবাসা প্রকাশে পছন্দের উপহার দেবে। পছন্দের কোনো জায়গায় বা রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাবে। অর্থাৎ ভালোবাসা দিবসে বিশেষ উপহার তাদের কাছে বিশেষ অনুভূতি প্রকাশেরই প্রতীক। তাই এ দিনটিকে কিভাবে পালন করা যায়, সেই পরিকল্পনা করে ফেলুন।
ষ মনে করার চেষ্টা করুন কোনো সিনেমা দেখতে কিংবা প্রিয় কোনো শিল্পীর অ্যালবাম শুনতে চাচ্ছিলেন, কিন্তু হয়ে ওঠেনি। আজই সেই সঠিক দিন। চমকে দিতে পারেন অপ্রত্যাশিত সেই উপহার দিয়ে।
ষ তার কোনো পছন্দের জায়গা, যেখানে আপনি যেতে চেয়েছিলেন কিন্তু হয়ে ওঠেনি। চলে যান সেখানে।
ষ আরামদায়ক কোথাও খেতে খেতে সন্ধ্যাটা কাটালে মন্দ হয় না। সে ক্ষেত্রে সঙ্গীর পছন্দের খাবারের দোকানই অগ্রাধিকার দিন। খাবারের মেনুতেও পছন্দের খাবারটিই অর্ডার করুন।
ষ বাইরে খেতে না চাইলে রাতের খাবারের আয়োজন করতে পারেন ঘরের মধ্যেই। মোমবাতি, ফুলদানি কিংবা হালকা কোনো মিউজিক হতে পারে দারুণ অনুষঙ্গ।
ষ ঘরের জানালা ও বারান্দায় একগোছা ফুল কিংবা বেলুন ঝুলিয়ে দিতে পারেন। আর ফুলদানিতে রাখতে পারেন একগুচ্ছ ফুল।
ষ চকোলেট, কেক ও ফুলের সাথে একটি ভ্যালেনটাইন ডের কার্ড, যাতে আপনার অনুভূতি লিখে আপনার প্রিয় মানুষদের দিতে পারেন।
ষ পারিবারিকভাবে উদযাপন করলে সবাই মিলে একসাথে সিনেমা দেখতে পারেন বা বাইরে কোথাও রেস্টুরেন্টে ডিনার করতে পারেন। এভাবেই আনন্দদায়ক করে তুলুন ভালোবাসার দিনটিকে।