২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

কিচেন ইন্টেরিয়র : অন্দর সজ্জা

-

বাসাবাড়ি, হোটেল-রেস্টুরেন্ট বা অফিস-আদালতে কিচেন রুমের গুরুত্ব অনেক। কারণ, খাবার ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। আর খাবার তৈরি করার জন্য প্রয়োজন হয় কিচেন রুম বা রান্নাঘরের।
কিচেন রুম কেমন হবে : আগুন-পানির সম্পৃক্ততা থাকায় যেখানে-সেখানে কিচেন রুম হওয়া উচিত নয়। কিচেন রুমে যাতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শহরে জায়গার উচ্চমূল্য হওয়ায় সাধারণত খুব স্বল্প পরিসরে কিচেন রুম তৈরি করা হয়। এখন কিচেন রুমের ইন্টেরিয়র ডিজাইনেও অনেক নতুনত্ব ও নান্দনিকতা এসেছে। আধুনিক জীবনযাত্রায় ব্যাপক ব্যস্ততা থাকায় কিচেন রুমকে দুই ভাগে ডিজাইন করা হয়। যথা ড্রাই কিচেন ও ওয়েটি কিচেন।
শহুরে ব্যস্ত জীবনে সকাল সকাল প্রায় সবাই কাজে বের হয়ে যান। চাকরিজীবীরা অফিসে, শিশুরা স্কুল-কলেজে যায়। তখন আর আয়োজন করে নাশতা ডাইনিং টেবিলে নিয়ে খাওয়ার সময় থাকে না। ওয়েটি কিচেনে নাশতা তৈরি করে ড্রাই কিচেনে সার্ভ করা হয়। সেখান থেকেই নাশতা করে যার যার মতো অফিস বা স্কুল-কলেজে চলে যায়।
কিচেন রুমের ইন্টেরিয়র : স্থান-কাল-পাত্রভেদে ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজ করতে হয়। খেয়াল রাখতে হবে, যেন কিচেন রুমে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস ঢুকতে পারে। কিচেন রুমে আগুন-পানি ও তেলের ব্যবহার থাকায় তেল চিটচিটে ভাব থাকে। কিচেন রুমকে শুষ্ক রাখতে কিচেন হুড, এগজস্ট ফ্যান ব্যবহার করা হয়। যেকোনো ইন্টেরিয়রের কাজের আগে মাথায় রাখতে হবে, কোন জায়গায় কেমন ম্যাটেরিয়ালস ব্যবহার করতে হবে। কিচেন রুমের সাধারণত দু’টি অংশ থাকে। ওপরের অংশ ও নিচের অংশ। নিচের অংশে যেহেতু পানির ব্যবহার বেশি হয়, সেহেতু নিচের অংশে এমন ম্যাটেরিয়ালস ব্যবহার করতে হবে, যেন সহজে ড্যাম্প না হয়। যেমন থাই গ্লাস, প্লাস্টিক বোর্ড, মেরিন প্লাই বোর্ড, সিজন ট্রিটেড কাঠ ইত্যাদি। উপরের অংশে মেলামাইন বোর্ড বা বার্মাটেক বোর্ড ব্যবহার করা যায়।
কিভাবে কাজ করবেন : আপনি নিজেও টেকনিশিয়ান দিয়ে কিচেন রুম ও এর ইন্টেরিয়রের কাজ করতে পারবেন। তবে অভিজ্ঞতা না থাকলে কাজে ভুল হতে পারে। ভালো হয় কোনো অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার বা ইন্টেরিয়র ডিজাইনার দিয়ে কাজ করানো। একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার বা ইন্টেরিয়র ডিজাইনার আপনার প্রয়োজন ও সিকোয়েন্স ঠিক রেখে কাজ করতে পারবে।
মালামাল কোথায় পাবেন : ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজ এখন আর কোনো বিলাসিতা নয় বরং তা জরুরি। ঢাকা শহরসহ প্রায় সব জেলা ও থানা পর্যায়েই ইন্টেরিয়র ডিজাইনের মালামাল পাওয়া যায়। ঢাকা শহরের কাওরান বাজার, বনানী, বাড্ডা, উত্তরা প্রভৃতি জায়গায় সব ধরনের বোর্ড ও হার্ডওয়্যার মালামাল পাওয়া যায়।
খরচ : প্রতিটি কাজ করার আগে অবশ্যই আপনার বাজেট নিশ্চিত করে নিতে হবে। কাজের খরচ নির্ভর করে ম্যাটেরিয়ালসের ওপর। যেমন কাঠ ব্যবহার করলে খরচ হবে একরকম, আবার বোর্ড ব্যবহার করলে আরেকরকম। বার্মাটেক কাঠে প্রায় দুই হাজার বা দুই হাজার ২০০ টাকার মতো প্রতি বর্গফুটে খরচ হবে। তবে কম খরচে বোর্ডের ব্যবহারই ভালো। যেমন মেলামাইন বোর্ড প্রতি বর্গফুট কমপ্লিট করা যাবে ৭৫০ টাকার মধ্যে। আবার বার্মাটেক বোর্ড দিয়ে পলিস করলে কমপ্লিট করা যাবে এক হাজার ৫০ টাকার মধ্যে। এমডিএফ বোর্ড দিয়ে ডকু পেইন্ট করলে খরচ হবে প্রায় এক হাজার ৪০০ টাকা।


আরো সংবাদ



premium cement