শীতে সুস্থ থাকুন : রঙের ঝলক
- জারীন তাসনিম
- ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০
গ্রীষ্মপ্রধান আমাদের দেশে শীতকালের রয়েছে আলাদা আমেজ। একই সাথে শীতকালে সুস্থ থাকাটাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সময়ে আমাদের পোশাক-আশাক খাওয়া-দাওয়া অর্থাৎ জীবনযাত্রায় আসে পরিবর্তন। তাই শীতের এ সময়ে মেনে চলতে হবে কয়েকটি নিয়ম কানুন।
সঠিক পোশাক বাছুন
শীতকালে সুতি, লিলেনের বদলে সিল্ক, তসর, উল, মোটা সুতির পোশাক বাছাই করুন। বাইরে বের হলে জ্যাকেট, পুলওভার ও কার্ডিগান নিন। প্রয়োজন হলে মোজা, টুপি ও গ্লাভস পরতে পারেন। বয়স্ক ও ছোটদের জামাকাপড়ের বিষয়ে বিশেষভাবে লক্ষ রাখবেন। শিশুদের অতিরিক্ত গরমের পোশাক পরাবেন না। এতে ঘেমে বরং ঠাণ্ডা বসে যেতে পারে। শিশুদের পোশাক বাছাই করুন দেখেশুনে।
ত্বক ও চুলের যতœ নিন
শীতকালে ত্বক আর্দ্রতা হারায়। ঘরের ভেতর ও বাইরের তাপমাত্রায় যেহেতু পার্থক্য দেখা যায়, তাই ত্বকের আর্দ্রতার ভারসাম্যও নষ্ট হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই শুকনো হাওয়ায় ত্বক ফাটতে শুরু করে। তাই দিনে তিন-চারবার ময়েশ্চারাইজার লাগানো দরকার। মুখ ধোয়ার পর মুখে ভেজা ভাব থাকা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার লাগান। শীতকালে শরীরের অয়েল গ্রান্ড থেকে তেল কম নিঃসৃত হয় বলে হাত-পায়ের ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যায়। তাই গোসলের পরপরই ত্বকে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে নিতে হবে। এতে আর্দ্রভাব দীর্ঘক্ষণ বজায় থাকে। মাঝে মধ্যে মেনিকিউর ও পেডিকিউর করাতে পারেন। এ সময় চুলের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। আগা ফাটা, নির্জীব হয়ে যাওয়া, গ্রোথ কমে যাওয়া, খুশকি ও চুলপড়া শীতকালে বেড়ে যায়। তাই চুলে নিয়মিত তেল ম্যাসাজ করতে হবে। সপ্তাহে দুইবারের বেশি শ্যাম্পু না করাই ভালো। চুলে ময়েশ্চারাইজার বজায় রাখার জন্য ভালো কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
ব্যায়াম করুন
ব্যায়াম ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। সর্দিকাশির মতো সমস্যা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। তবে এক্সারসাইজ করা ছাড়াও ব্যাডমিন্টন, টেনিস ও সাইক্লিং করা যেতে পারে। পরিবারের সবাই মিলে খেলার আয়োজন করতে পারেন। এক্সারসাইজের সাথে সাথে আনন্দও পেতে পারেন।
শীতের খাবার-দাবার
ষ শীতকালে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা বেশি দেখা যায়। তাই শীতকালেও পানি খেতে হবে বেশি করে। এ ছাড়া স্যুপ, গরম দুধ, ফলের রসও খেতে পারেন। মাঝে মধ্যে ডাবের পানি খান। লেবুর রস দিয়ে লিকারও খেতে পারেন। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের কাজও করবে।
ষ প্রোটিন-জাতীয় খাবার শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রেখে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে।
মওসুমি শাকসবজি ও ফল যথেষ্ট পরিমাণে খেতে হবে। এসব খাবারের ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের সজীবতা বজায় রাখে, হজমে সাহায্য করে এবং ত্বক ও চুল ভালো রাখে।
ষ ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান প্রতিদিন।
ষ ব্যালান্সড ডায়েট মেনে চলুন। মুলা, বিট, শালগম ইত্যাদি রুট ভেজিটেবল ডায়েটে রাখুন।
ষ কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যেমনÑ চিনি, ময়দা, গমজাতীয় খাবার কম খান।