২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

খেলার মাঝে শেখা

রঙের ফিচার
-

শিশুরা সাধারণত খেলাপ্রিয় হয়। এটা তাদের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। কিন্তু কিছু শিশু হয় খেলাবিমুখ। তারা খেলতে পছন্দ করে না। এর সুনির্দিষ্ট কিছু কারণ থাকে। অভিভাবকরা যদি এই কারণগুলো নির্ণয় করে শিশুকে খেলতে উৎসাহিত করেন, তাহলে অবশ্যই যেকোনো শিশু খেলাধুলায় আগ্রহী হয়ে ওঠবে। চলুন জেনে নেয়া যাক অভিভাবকেরা শিশুকে খেলার প্রতি উৎসাহিত করবেন কিভাবে।
শিশুদের মোবাইল ব্যবহার কমিয়ে দিন : দিন দিন শিশুদের মধ্যে মোবাইল আসক্তি প্রবল আকার ধারণ করছে। এর ফলে পড়ালেখা তো বটেই, খেলাধুলায়ও মনোযোগ হারিয়ে ফেলছে তারা। অভিভাবকের এ ক্ষেত্রে কর্তব্য হলো, কিছুটা সময় শিশুদের মোবাইল বা কম্পিউটার গেম খেলতে দিয়ে অন্য সময় বাইরে খেলতে পাঠিয়ে দেয়া। মোবাইল নিয়ে যেন সারাক্ষণ পড়ে না থাকে, সেদিকে কড়া দৃষ্টি রাখতে হবে।
সহজ খেলনা উপহার দিন : শিশুরা খেলা মজা পায়, আনন্দিত হয়, এমন খেলনা তাদের উপহার দিন। কেননা খেলার উপকরণ দিয়ে যদি তারা আনন্দিত না হয় যদি তাদের পক্ষে খেলনাটি নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টসাধ্য হয়, খেলা প্রাণবন্ত হয় না।
বাজারে বিভিন্ন ধরনের সহজ খেলনা পাওয়া যায়। আপনি চাইলে তাদের জন্য ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের ব্লক, পুতুল, বল, কাগজ ও আনুষঙ্গিক খেলনা উপহার দিতে পারেন। বাড়ির অতি প্রয়োজনীয় কিছু ব্যবহার সামগ্রীও তাদের খেলার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ দিন। যেমনÑ আপনার বিছানা, বালিশ, সোফা ইত্যাদি। এমনকি আপনার সন্তানের ব্যবহার করা পুরনো কাপড় পরিষ্কার করে খেলার জন্য তাকে একটি বক্সে ভরে দিতে পারেন।
শিশুকে অন্য শিশুদের সঙ্গে মিশতে দিন : শিশুদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করতে তাদের অন্য শিশুদের সঙ্গে মিশতে দিন। অনেক শিশু একসঙ্গে হলে তারা নতুন নতুন খেলা তৈরি করবে, পরস্পরের আলোচনা করে কী খেলতে চায় তা নির্ধারণ করবে। এতে করে খেলার প্রতি তাদের উদ্দীপনা বৃদ্ধি পাবে। কারণ এসব ক্ষেত্রে বড়রা বিরক্ত না করায় তারা খেলাধুলায় স্বাধীনতা পায়।
স্বাধীন সময় দিন : সন্তানকে যথাযথভাবে মানুষ করার জন্য যেমন সুনির্দিষ্ট রুটিন অনুসরণ করা প্রয়োজন তেমনি তার যথাযথ মানসিক বিকাশের জন্য স্বাধীনভাবে কিছুটা সময় একা কাটাতে দেয়া প্রয়োজন। কেননা এ সময় সে নিজের সঙ্গে কথা বলবে, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করবে এবং সৃজনশীল নানা বিষয় নিয়ে চিন্তা করবে। আর এ স্বাধীন সময়ে তাকে কোনো নির্দেশ দিয়ে বিরক্ত করবেন না। খেলাপ্রিয় হোন, আপনার পারিবারিক পরিবেশ গুরুগম্ভীর না রেখে হাসি-আনন্দ দিয়ে আরো বেশি প্রাণবন্ত করে তুলুন। শিশুদের আনন্দ উল্লাসের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করুন। সবসময় নিজেরাও খেলাধুলা ও আনন্দ উল্লাসের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় রাখুন। বাইরে খেলতে নিয়ে যান শিশুরা বাইরে ঘুরতে এবং খেলতে পছন্দ করে। বাইরে খেলার সুযোগ পেলে শিশুরা অনেক বেশি আশাবাদী, সৃজনশীল, বিচক্ষণ এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়। তাই ছুটির দিনে আপনার সন্তানকে বাইরে খেলতে নিয়ে গেলে তারা খেলার প্রতি আরো উৎসাহিত হবে।
পড়ালেখার চাপ ও যাতায়াতের সময় কমান : এখনকার শিশুরা স্কুল ও গৃহশিক্ষকের পড়াশোনার চাপে দিনভর ব্যস্ত থাকে। সৃজনশীল কাজ বা খেলাধুলা করার সময় খুবই কম পায়। তার ওপর যদি কোনো শিশুর বাড়ি স্কুল থেকে অনেক দূরে হয়, তাহলে যাতায়াতে তার যথেষ্ট সময় চলে যায়। এ জন্য বিকেলে পড়ার চাপ কমিয়ে দিতে পারেন এবং যাতায়াতের সময় বাঁচাতে বাড়ির কাছে কোনো স্কুলে শিশুকে ভর্তি করাতে পারেন।


আরো সংবাদ



premium cement
পটুয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ভূমি কর্মকর্তা নিহত সাত কলেজের মঙ্গলবারের পরীক্ষা স্থগিত সংঘর্ষে কোনো শিক্ষার্থী নিহত হয়নি, অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ ডিএমপির সিলেটে কর্মবিরতিতে ১১ হাজার চা-শ্রমিক, ক্ষতি ৬০ কোটি টাকা সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় গ্রেফতার সোহরাওয়ার্দীর পর কবি নজরুল কলেজও বন্ধ ঘোষণা কুলাউড়া রাস্তা জবর দখলের চেষ্টা : প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৭ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অ্যাকশনে গেলে আরো রক্তপাত হতো : আসিফ মাহমুদ দেবীগঞ্জে পরিত্যক্ত কাউন্টার থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড আদালতে আ’লীগ নেতার ওপর ডিম নিক্ষেপ, কারাগারে প্রেরণ

সকল