কফি মেকার রঙের ফিচার
- শওকত আলী রতন
- ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০
প্রযুক্তির এই যুগে সাধ আর সাধ্যের মধ্যে যেন ব্যবধান কিছু নেই, সব কিছুই মিলছে হাতের নাগালে। আগে এক কাপ কফি পান করার জন্য কেবল রাজধানীতে নির্দিষ্ট কয়েকটি পয়েন্টে গেলে মিলত কফির দেখা। বর্তমানে গ্রামগঞ্জের হাটবাজারগুলোতেও গড়ে উঠেছে কফির স্টল। যেখানে কয়েকজন একসাথে বসে আড্ডার ফাঁকে কফির কাপে চুমুক দেয়ার সুযোগ মিলছে সহজেই। কফি পানে যারা অভ্যস্ত, তাদের আর কষ্ট করতে হবে না। হাতের নাগালেই রয়েছে কফির সব উপকরণ। সময়ের ব্যবধানে কফি তৈরিতেও এসেছে আধুনিকতা। কফি হাতে বানানের ঝামেলা এড়াতে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের কফি মেকার। চাইলে আপনিও একটি কফি মেকার কিনে বাড়িতে বসে কফি তৈরি করতে পারেন। আপনার বন্ধুবান্ধবকে মাঝে মধ্যে নিমন্ত্রণ জানিয়ে কফি পান করাতে পারেন।
আজকাল বিমানবন্দর, ট্রেনস্টেশন, বাসটার্মিনাল, লঞ্চটার্মিনালসহ যেখানে মানুষের কোলাহল, সবখানেই মিলছে কফি। যে কারণে দিন দিন বেড়েছে কফি পানকারীর সংখ্যা। এক কাপ কফি নিমিষেই আপনার দেহ ও মনকে চাঙা করতে পারে। যে কারণে অলিগলির বেশির ভাগ জেনারেল স্টলগুলোতে বিক্রি হচ্ছে সুপেয় কফি। কফি মিক্সার মেশিনে দিয়ে নির্দিষ্ট বাটনে চাপ দিলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ওয়ানটাইম কাপে রেডি কফি পৌঁছে যাবে আপনার কাছে।
বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও নন-ব্র্যান্ডের কফি মেকার পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে কফি মেকার কেনার সময় এটি ব্যবহারের নিয়ম শিখিয়ে দেবে। তবে আকৃতির ওপর নির্ভর করছে দামের বিষয়টি। বাজারে ফোমযুক্ত ও ফোমবিহীন কফি মেকার পাওয়া যাচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী পছন্দের কফি মেকার সংগ্রহ করতে পারেন। উপহার হিসেবে কফি মেকার চমৎকার। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কফি মেকারে ছয় মাস থেকে এক বছরের ওয়ারেন্টি দেয়া হচ্ছে।
দরদাম : বাজারে যেসব কফি মেকার রয়েছে, সেগুলো গুণগত দিক থেকে ১৮০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে।
যেখানে পাবেন : কফি মেকার পাওয়া যাবে রাজধানীর নিউ মার্কেট, বায়তুল মোকাররম, রাজধানী সুপার মার্কেট, মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম মার্কেট, যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক শোরুমগুলোতে।