১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩০, ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

সময় থাকতে দাবানল শনাক্ত করার অভিনব প্রযুক্তি

সময় থাকতে দাবানল শনাক্ত করার অভিনব প্রযুক্তি - সংগৃহীত

চলতি বছরও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চরম তাপপ্রবাহ জীবন দুর্বিসহ করে তুলেছে। দাবানলের প্রকোপে অনেক জঙ্গলের বিশাল ক্ষতি হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কিছু মানুষ এমন বিপর্যয় এড়ানোর ব্রত নিয়েছেন।

প্রতি বছর দাবানলের কারণে লাখ লাখ হেক্টর জঙ্গল ধ্বংস হয়ে যায়। সেইসাথে প্রায় ৮০০ কোটি টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমনও ঘটে, যা বিশ্বব্যাপী সিওটু নির্গমনের প্রায় ২০ শতাংশের সমান। বিশাল মাত্রার পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতিও হয়।
ড্রিয়াড নেটওয়ার্ক্সের কর্ণধার কার্স্টেন ব্রিংকশুল্টে, বলেন, ‘২০১৮ সালে আমি প্রথম বার টেলিভিশনের পর্দা, সংবাদমাধ্যমে অ্যামাজন অঞ্চল, অস্ট্রেলিয়ার বিশাল দাবানল দেখেছিলাম। ফ্রাইডেস ফর ফিউচার আন্দোলন পথে নেমেছিল, আমার নিজের মেয়েও তাতে শামিল হয়েছিল। সেই প্রাথমিক ধাক্কা খেয়ে মনে হয়েছিল, আমাকে কিছু একটা করতেই হবে।’

যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। বিজ্ঞানী, সফ্টওয়্যার ও কম্পিউটার বিশেষজ্ঞদের এক টিম গড়ে তুলে তিনি যতটা আগে সম্ভব দাবানল শনাক্ত করার লক্ষ্যে নতুন এক সিস্টেম সৃষ্টি করেন। গন্ধ টের পায় এমন বিশেষ সেন্সর আলট্রা আর্লি ডিটেকশন সম্ভব করে। এক অর্থে সেগুলি অত্যন্ত উন্নত যান্ত্রিক নাক।

ছোট ও বুদ্ধিমান যান্ত্রিক নাক লোকবল ছাড়াই অনেক কাজ করতে পারে। কাজও বেশ দ্রুত করে। ড. ইয়ুর্গেন ম্যুলার বলেন, ‘কনট্রোল রুমে সহকর্মীরা এই গন্ধ চিনতে পারেননি। আমি পরীক্ষা চালালে কনট্রোল রুমে জানিয়ে দেই। তারপর কিছুটা ধূর্ত হয়ে প্রশ্ন করি, তোমরা কি আগুন দেখেছো? দেখোনি? অর্থাৎ অপটিকাল সিস্টেম তখনই ধোঁয়া চিন্তে পারে, যখন সেই ধোঁয়া গাছের মগডালের উপর উঠে যায়।'


আরো সংবাদ



premium cement