০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ন ১৪৩১,
`

নক্ষত্রের বিস্ফোরণে ছড়িয়ে পড়ে পরমাণু

নক্ষত্রের বিস্ফোরণে ছড়িয়ে পড়ে পরমাণু - ছবি : সংগৃহীত

পরমাণুর উপকরণ ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন। বিগ ব্যাংয়ের পরে তৈরি হলেও এই যে প্রায় শ’খানেক মৌলের পরমাণু তৈরি হলো কিভাবে? কিভাবে তৈরি হলো ক্যালসিয়াম, যা আমাদের হাড়ের মধ্যে থাকে, বা লোহা, যা আমাদের রক্তের মধ্যে থাকে? প্রায় ৭৫ বছর আগে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ফ্রেড হয়েল, জিওফ্রে বারবিজ, মার্গারেট বারবিজ ও উইলি ফাওলার এটা প্রমাণ করেন যে- পরমাণুর রান্নাঘর হলো নক্ষত্র।

এখন প্রমাণ হলো নানা পরমাণু, যা গোটা ব্রহ্মাণ্ড জুড়ে আছে এবং যা এক নক্ষত্র থেকে আর এক নক্ষত্রে ছড়ায়, বা এক গ্রহ থেকে আর এক গ্রহে, তা ছড়িয়ে পড়ে নক্ষত্রের বিস্ফোরণে বা সুপারনোভায়। ওই সব কসমিক ডাস্ট বা মহাজাগতিক ধূলিকণা সম্প্রতি শনাক্ত করেছেন এক দল বিজ্ঞানী, যাদের মধ্যে আছেন দুই বাঙালি বিজ্ঞানী কিশলয় দে এবং অর্কপ্রভ ষড়ঙ্গী।

কিশলয় গবেষণা করেন আমেরিকায় কেমব্রিজের ইনস্টিটিউট ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্স অ্যান্ড স্পেস সায়েন্সেস-এ আর অর্কপ্রভ ডেনমার্কের কোপেনহাগেনে বিখ্যাত নিলস বোর ইনস্টিটিউটে। ওদের পেপার প্রকাশিত হয়েছে ‘মান্থলি নোটিসেস অব রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি’ জার্নালে।

পেপারের নাম ‘জে ডব্লিউ এস টি অবজারভেশন অব ডাস্ট রিজার্ভায়ার্স ইন টাইপ টু পি সুপারনোভি ২০০৪ ই টি অ্যান্ড ২০১৭ ই এ ডব্লিউ’। ওই দু’টি সুপারনোভা আবিষ্কৃত হয় যথাক্রমে ২০০৪ এবং ২০১৭ সালে। যেমন ১৯৮৭ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল এক নক্ষত্রের বিস্ফোরণ (১৯৮৭এ)। ২০০৪ ই টি আর ২০১৭ ই এ ডব্লিউ এন জি সি-৬৯৪৬ গ্যালাক্সিতে। এন জি সি-৬৯৪৬-র চালু নাম ফায়ারওয়ার্কস গ্যালাক্সি। সত্যিই ওই গ্যালাক্সিতে প্রায়ই কোনো না কোনো নক্ষত্রের বিস্ফোরণ ঘটছে। ওই দু’টি সুপারনোভা পৃথিবী থেকে ২.২ কোটি আলোকবর্ষ দূরে আছে।

২০০৪ ই টি এবং ২০১৭ ই এ ডব্লিউ সুপারনোভা দু’টি বিশ্লেষণ করতে কিশলয় আর অর্কপ্রভরা কাজে লাগিয়েছিলেন মহাশূন্যে ভাসমান জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে বসানো মিড-ইনফ্রারেড যন্ত্র। ওই যন্ত্রে দু’টো সুপারনোভারই মহাশূন্যে ফেলে দেয়া প্রচুর পরিমাণে মহাজাগতিক ধূলিকণা দেখা গেছে। ওই সব ধূলিকণা বুঝিয়েছে প্রাচীন ব্রহ্মাণ্ডে সুপারনোভার গুরুত্ব। মেলিসা শাহবান্দে, যিনি মেরিল্যান্ডে স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউটে গবেষণা করেন এবং এই পেপারের প্রধান লেখিকা, তিনি বলেছেন, আগে কখনো এ ধরনের গবেষণা করা হতো না। এখন জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে বসানো মিড ইনফ্রারেড যন্ত্রে করা যাচ্ছে। ১৯৮৭এ সুপারনোভার ক্ষেত্রে মাত্র ১ লাখ ৭০ হাজার আলোকবর্ষ দূরেথাকায় ওই নক্ষত্র বিস্ফোরণ গবেষণা করা গিয়েছিল।
সূত্র : আনন্দবাজার


আরো সংবাদ



premium cement
ইফার দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত ঢাকা ওয়াসার কেউ দুর্নীতিতে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা : উপদেষ্টা আসিফ ২২ ফেব্রুয়ারি হাবের নির্বাচন রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে ২ জনকে হত্যা ৪২ লাখ টাকাসহ প্রতারক চক্রের সদস্য গ্রেফতার ডিএমপি কমিশনারের সাথে য্ক্তুরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ তারুণ্যের উৎসবে স্থান পাচ্ছে জুলাই আগস্টের তথ্যচিত্র মৃত্যুবার্ষিকী : রফিকুল ইসলাম আধুনিক অটোমোবাইলস জোন প্রতিষ্ঠার দাবি ওয়েলফেয়ার অব ড্রাইভারস্ এন্ড মেকানিক্সের পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা অবমাননার অভিযোগ, আটক ৩ ১০ লাখ টাকার অনুদানের চেক শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর

সকল