০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ন ১৪৩১,
`

কণ্ঠস্বর বিশ্লেষণ করে রোগ নির্ণয়ও সম্ভব

কণ্ঠস্বর বিশ্লেষণ করে রোগ নির্ণয়ও সম্ভব -

আমরা নিজের ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে কতটা সচেতন? বাইরে যা দেখাই, অন্তরেও কি আমরা তাই? কণ্ঠ বিশ্লেষণ প্রযুক্তির মাধ্যমে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি এমনকি রোগব্যধির লক্ষণও শনাক্ত করা সম্ভবভ।

কণ্ঠ পার্কিনসনের মতো রোগেরও সন্ধান দিতে পারে। অর্থাৎ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কণ্ঠস্বর থেকে রোগ শনাক্ত করা সম্ভব। জার্মানির আউগসবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর বিয়র্ন শুলার বলেন, ‘পার্কিনসন রোগ আসলে নিউরোজেনারেটিভ ডিসঅর্ডার। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে মোটোর স্কিলস বা শরীর নাড়াচাড়া করার ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একেবারে প্রাথমিক স্তরেই সূক্ষ্ম পেশীর উপর প্রভাব পড়ে, যা আমাদের কণ্ঠে ধ্বনি সৃষ্টি করার সময় প্রয়োজন হয়।'

তখন সুস্থ মানুষের কণ্ঠের সাথে একটা পার্থক্য সৃষ্টি হয়। অত্যন্ত অসুস্থ মানুষের কণ্ঠ ভাঙা শোনায়। গবেষকরা একেবারে প্রথম পর্যায়ে পার্কিনসন রোগ শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন।

অটিজম, এডিএইচএস বা ডিপ্রেশনের মতো রোগ শনাক্ত করার ক্ষেত্রেও কণ্ঠ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়া কাজে লাগছে। এই প্রক্রিয়ার সাফল্যের হার ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ। সিস্টেমে এরই মধ্যে কয়েক শ’ রোগীর তথ্য জমা হওয়ায় সেটা সম্ভব হচ্ছে।

মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য শনাক্ত করার ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি আগেই সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে। তিনজন স্বেচ্ছাসেবীর সাহায্যে তা যাচাই করা হয়েছে। যেমন ডিয়র্ক নামের ব্যক্তির কৌতূহল ছাড়া তার আর কোনো চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য শনাক্ত করা গেছে কিনা, তা জানার চেষ্টা করতে গিয়ে প্রফেসর শুলার বলেন, ‘ডিয়র্কের মধ্যে হালকা অন্তর্মুখী প্রবণতা রয়েছে। অর্থাৎ সে অন্যদের সাথে মেলামেশার বদলে নিজের মতো থাকতে পছন্দ করে।'

ডিয়র্ক নিজেও সেই মূল্যায়ন সম্পর্কে একমত। অর্থাৎ পূর্বাভাস আবার মিলে গেছে। তিনি বলেন, ‘যারা আমাকে ভালো করে চেনে না, তারা এমনটা ভাবতেই পারে না। তবে আমি সত্যি একা থাকতে ভালোবাসি।'
সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement