২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

হজ প্যাকেজ ৫ লাখের মধ্যে আনার দাবি এজেন্সি মালিকদের

- ছবি : সংগৃহীত

আগামী বছরের জন্য হজ প্যাকেজ ৫ লাখ টাকা করার দাবি জানিয়েছেন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সাবেক মহাসচিব এম এ রশিদ শাহ সম্রাট।

বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি। বৈষম্যবিরোধী হজ এজেন্সির মালিকদের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এ সময় আহ্বায়ক আকতার উজ্জামান, সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলী, আল নাফি ট্রাভেলসের মালিক নাজিম উদ্দিন, কারী গোলাম মোস্তফা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রশিদ শাহ সম্রাট বলেন, হজ পবিত্র ইবাদত। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল একটি দেশ। অথচ সৌদি সরকার ভিসা ফিসহ নানা খাতে অনেক টাকা নিচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার ও হাবের পক্ষ থেকে সৌদি সরকারের এ খরচ কমানোর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে থেকে সৌদি আরবের বিমান ভাড়া কখনো দুই লাখ টাকা হতে পারে না। এই ইস্যুতে আগের সরকার ও হাব জোরালো ভূমিকা রাখেনি। কারণ তসলিম নিজেই ফ্লাইনাস এয়ারের বাংলাদেশে এজেন্ট ছিলেন। এই বিমানটি মূলত বাজেট ক্যারিয়ার (কম ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন) করে। তারা ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকায় হজের যাত্রীর নেয়ার কথা থাকলেও নিয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা করে। আমরা পবিত্র এই ইবাদত ঘিরে যে সিন্ডিকেট গড়ে ওঠেছে তা ভাঙার দাবি জানাচ্ছি।

বৈষম্য বিরোধী হজ এজেন্সির মালিকদের পক্ষে আহ্বায়ক আকতার উজ্জামান হাবের বর্তমান কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করতে সরকারের কাছে দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আল নাফি ট্রাভেলসের মালিক নাজিম উদ্দিন বলেন, বিমানের টিকিটি সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিলে ওমরার ক্ষেত্রে এখনই ১০/১৫ হাজার টাকা কমে ৬০ হাজার টাকায় নেমে আসবে। আর হজের সময় এ ভাড়া এক লাখ ২০ হাজার টাকার বেশি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

এ প্রসঙ্গে মাহির হজ সার্ভিস অ্যান্ড ট্যুরস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ নাজমুল হুদা বলেন, হজে অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জের নামে অনেক অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয়। এক্ষেত্রে সরকার যদি সৌদি সরকারের সাথে দরকষাকষি করে তাহলে গত বারের চেয়ে দেড় হাজার রিয়াল কমিয়ে তিন হাজার রিয়ালে আনা সম্ভব। তাহলে বিমান ভাড়া ও সার্ভিজ চার্জ থেকে মোট মিলিয়ে এক লাখ টাকা খরচ কমানো সম্ভব।

দুর্নীতি-অনিয়ম প্রসঙ্গে হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিমকে টেলিফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। জানতে চাইলে হাবের অর্থসচিব মুফতি আব্দুল কাদের মোল্লা নয়া দিগন্তকে বলেন, হাব সভাপতি গত ৬ আগস্ট পদত্যাগ করেছেন। আর বর্তমান কমিটি বিধি মোতাবেক পরামর্শের ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করছে। সেজন্য কমিটি বাতিলের কোনো সুযোগ নেই।

তিনি আরো বলেন, আমার সব সময় হজের খরচ কমানোর দাবি জানিয়ে আসছি। এবারও ধর্মউপদেষ্টার সাথে সাক্ষাত করে বিমান ভাড়া কমাতে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে টেকনিক্যাল কমিটি করে ভাড়া নির্ধারণ অথবা উন্মুক্ত টেন্ডারের দাবি জানিয়েছি। যেকোনো এয়ারলাইন্সকে হজযাত্রী পরিবহনের সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়েছি। এছাড়া সর্বনিম্ন কোটা ৫০ জন করার দাবি জানিয়েছি আমরা।


আরো সংবাদ



premium cement