আরাফার রোজার ফজিলত
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৪ জুন ২০২৪, ১৫:৫১
বছরের যেকোনো সময়ই যেকোনো নেক আমল আল্লাহর কাছে অধিক পছন্দনীয়। তবে কিছু কিছু সময়ে কিছু আমলের মারতাবা অন্যান্য সময়ের চেয়ে তুলনামূলক বৃদ্ধি হয়। তেমনি এক আমল আরাফার দিবসের রোজা।
যে রোজার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা বান্দার পূর্বের এক বছর এবং পরের এক বছরের গোনাহ মাফ করেন, সেটা হলো আরাফার দিবসের রোজা।
আমরা চন্দ্র বছরের জিলহজ্ব মাস পার করছি। জিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখকে ইয়াওমে আরাফা বা আরাফা দিবস বলে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘ইয়াওমে আরাফার রোজার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী, তিনি এর দ্বারা আগের এক বছরের ও পরের এক বছরের গোনাহ মাফ করবেন’। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ১১৬২)।
আরাফার এ রোজা ফরয ওয়াজিব বা মুস্তাহাব এরকম কিছু না। এ রোজা না রাখলে গোনাহ হবে না। তবে এ রোজার ফজিলত অন্যান্য নফল রোজার চেয়ে অধিক।
হাজিদের জন্য আরাফার ময়দানে রোজা রাখা মুস্তাহাব নয়। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরাফার ময়দানে রোজাবিহীন অবস্থায় ছিলেন। উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘আরাফার দিনের রোজার ছওয়াব এক হাজার দিন রোজা রাখার সমান’। (তারগিব)।
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে আরাফা দিবসের রোজা পালনের মাধ্যমে হাদীসে বর্ণিত ফজিলত হাসিলের তাওফিক দান করুন। আমিন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা