যে কারণে হজের সময় কাবার গিলাফ উঁচু করে দেয়া হয়
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৩ মে ২০২৪, ১৮:০৮
কাবাঘরের তাওয়াফ করা নফল নামাজের চেয়েও ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। কাবার তাওয়াফ ছাড়া হজ-ওমরাহ শুদ্ধ হয় না। কোনো কোনো হাদিসে পবিত্র কাবাঘরের তাওয়াফকে নামাজের সাথে তুলনা করা হয়েছে।
হজরত ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, বায়তুল্লাহর চারদিকে তাওয়াফ করা নামাজ আদায়ের অনুরূপ। তবে তোমরা এতে (তাওয়াফকালে) কথা বলতে পারো। সুতরাং তাওয়াফকালে যে ব্যক্তি কথা বলে সে যেন ভালো কথা বলে। (সুনান তিরমিজি, হাদিস : ৯৬০)
অন্য এক হাসিদে এসেছে, হজরত আবদুল্লাহ বিন উমার রা: থেকে বর্ণিত, আমি হজরত রাসূলুল্লাহ সা:-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করল এবং দুই রাকাত নামাজ পড়ল, তা একটি ক্রীতদাসকে দাসত্বমুক্ত করার সমতুল্য।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৯৫৬)
উপরোক্ত হাদিস দু’টি দ্বারাই বোঝা যায় যে- কাবা শরিফ মুসলমানদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে আরো একাধিক হাদিস বর্ণিত রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সত্ত্বেও পবিত্র এ ঘরকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত সবচেয়ে বড় ইবাদত হজের সময় এর গিলাফ উঁচু করে রাখা হয়।
হারাম শরিফের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা গেছে, হজ আগমনের পূর্বেই এ বছরও পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফ নিচ থেকে ৩ মিটার উঁচু করে দেয়া হয়েছে। গিলাফটি ১৫ জিলহজ পর্যন্ত জমিন থেকে ৩ মিটার উঁচুতে থাকবে।
কাবা শরিফের গিলাফ উঁচু করার উদ্দেশ্য হলো, হজের দিনগুলোতে যেকোনো ধরনের ক্ষতি থেকে গিলাফটিকে নিরাপদে রাখা।
অতীতে হজযাত্রীরা কাবার গিলাব স্পর্শ করতেন এবং গিলাফের একটি টুকরো বরকত স্বরূপ কেটে নিজের সাথে নিয়ে যেতেন। এতে গিলাফের ক্ষতি হতো। সেটা যাতে না হয়, সেজন্যই গিলাফ উঁচু করে দেয়া হয়।
-জিও নিউজ ও অন্যান্য ওয়েবসাইট অবলম্বনে ইমাম হুসাইন
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা