২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

কার ওপর হজ ফরজ

কারো ওপর জাকাত ফরজ না হয়েও হজ ফরজ হতে পারে - প্রতীকী ছবি

পবিত্র হজ ফরজ এমন প্রাপ্তবয়স্ক ও সুস্থ ব্যক্তির ওপর, যিনি মক্কায় গিয়ে হজকার্য সম্পন্ন করে ফিরে আসার সামর্থ্য রাখেন। এমন প্রত্যেক মুসলমান নারী-পুরুষের ওপর জীবনে একবার হজ করা ফরজ।

নারীদের জন্য মাহরাম থাকা শর্ত
নারীদের ওপর হজ ফরজের একটি শর্ত তার সাথে স্বামী বা মাহরাম পুরুষ থাকতে হবে। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ২/৪৫৫) মাহরাম হচ্ছে—যাদের সাথে কখনো বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া যায় না, তারাই মাহরাম। যেমন—পিতা, পুত্র, আপন ও সত্ভাই, দাদা-নানা, আপন চাচা ও মামা, ছেলে বা নাতি, জামাতা, শ্বশুর, দুধভাই, দুধছেলে প্রমুখ। তবে একা একা দুধভাইয়ের সাথে এবং যুবতি শাশুড়ি জামাতার সাথে যাওয়া নিষেধ। (রদ্দুল মুহতার : ২/৪৬৪)

হজ ফরজ হওয়ার জন্য পাঁচটি শর্ত রয়েছে—
এক. মুসলিম হওয়া। দুই. বিবেকবান হওয়া, পাগল না হওয়া। তিন. বালেগ হওয়া, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া। চার. আজাদ বা স্বাধীন হওয়া, অর্থাৎ কারো গোলাম বা দাস না হওয়া। পাঁচ. দৈহিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হওয়া।

আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হওয়ার অর্থ
কারো ওপর জাকাত ফরজ না হয়েও তার ওপর হজ ফরজ হতে পারে। কেননা হজ ও জাকাতের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য রয়েছে। হজ ও জাকাতের মধ্যে পার্থক্য হলো, জাকাতের সম্পর্ক নির্ধারিত নিসাবের সাথে। হজের সম্পর্ক মক্কায় আসা-যাওয়ার খরচের সাথে। সুতরাং স্থাবর সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রয় করে কেউ যদি হজ আদায় করতে সক্ষম হয় এবং হজ থেকে ফিরে এসে বাকি সম্পত্তি দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে, তাহলে তার ওপর হজ ফরজ। (ইমদাদুল আহকাম : ২/১৫২; আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/৫১৬)

একইভাবে ব্যবসায়ীর দোকানে যে পরিমাণ পণ্য আছে, তার কিছু অংশ বিক্রয় করলে যদি হজ করা সম্ভব হয় এবং ফিরে এসে যদি বাকি পণ্য দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা যায়, তাহলে তার ওপরও হজ ফরজ। (ইমদাদুল আহকাম : ২/১৫৩)

আগে নিজের হজ আদায় করতে হবে
মনে রাখতে হবে যে আগে নিজের হজ আদায় করবে। পরে মাতা-পিতার চিন্তা করবে। সামর্থ্য থাকলে তাদের নিয়ে একসাথে হজ করবে। অন্যথায় আগে নিজের ফরজ আদায় করবে। (রহিমিয়া : ৮/২৮২)

 


আরো সংবাদ



premium cement