২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

প্রথম তারাবিতে মুসল্লিদের ঢল

- ফাইল ছবি

মুসলিম উম্মাহর কাছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের অমিয় বার্তা নিয়ে আসা মাহে রমজানের আনুষ্ঠানিকতা তারাবি নামাজের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। প্রথম তারাবিকে কেন্দ্র করে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ পাড়া-মহল্লার মসজিদেও মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। কোনো কোনো মসজিদের আঙিনা ছাড়িয়ে রাস্তায় জায়নামাজ, চাদর ও পাটি বিছিয়ে পাঞ্জাবি-পাজামা পরা মুসল্লিদের তারাবির নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে।

সোমবার (১১ মার্চ) বাদ এশা দেশের মসজিদে মসজিদে তারাবির নামাজের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এ আনুষ্ঠানিকতা। ভোররাতে সেহরি খেয়ে রোজা রাখা শুরু করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

সন্ধ্যার পর থেকেই ঢাকার বাইরে বিভিন্ন মসজিদে তারাবির নামাজ আদায়ে মুসল্লিদের ভিড় বাড়তে থাকে। কোথাও কোথাও দলবেঁধে, কোথাও পরিবারের সদস্যরা একসাথে তারাবিহ নামাজ আদায়ে মসজিদে আসেন। সব মসজিদই অল্প সময়ে পূর্ণ হয়ে যায়। নামাজ শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ ও বাংলাদেশের জন্য দোয়া করেন ইমামরা।

প্রতি বছরের মতো এবারো রমজান মাসে মসজিদে খতমে তারাবি পড়ানোর বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। নির্দেশনা অনুযায়ী, তারাবির নামাজে প্রথম ৬ রমজানে কুরআন শরীফের দেড় পারা এবং পরবর্তী ২১ দিন এক পারা করে পাঠ করতে হবে।

সারা দেশের মুসল্লি, ইমাম-খতিব ও মসজিদ কমিটিকে একই পদ্ধতিতে তারাবি নামাজ আদায় করতে আহ্বান জানিয়েছেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগ।

মঙ্গলবার রমজান শুরু হওয়ায় আগামী ৬ এপ্রিল (২৬ রমজান) শনিবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।

তারাবি নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত
এই মাসের প্রধান দুটি আমল হলো সিয়াম ও কিয়াম। সিয়াম বা রোজা হলো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সুবহে সাদিক হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, দাম্পত্য মিলন ও রোজা ভঙ্গ হওয়ার সকল বিষয় থেকে দূরে থাকা। আর কিয়াম হলো রাতে তারাবির নামাজ।

তারাবির ফজিলত সম্পর্কে হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে নেকীর আশায় কিয়ামুল লাইল তথা তারাবি আদায় করবে, তার পূর্ববর্তী সকল গুনাহ ক্ষমা করা হবে। (বুখারি ও মুসলিম)

রাসূল সা. তারাবিকে কতটুকু গুরুত্ব দিয়েছেন এবং তারাবি যেন ফরজ না হয়ে যায়, যেটা আদায়ে উম্মতের কষ্ট হতে পারে, সেটা রাসূল সা. এর একটি হাদিসে থেকেই বোঝা যায়।

হজরত আয়েশা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. একবার রমজান মাসে রাত্রিবেলায় মসজিদে নববীতে নামাজ (তারাবি) আদায় করলেন। উপস্থিত লোকজনও তার সাথে নামাজ আদায় করলেন। একইভাবে তারা দ্বিতীয় দিনেও নামাজ আদায় করলেন এবং লোকসংখ্যা অনেক বেশি হলো। অতঃপর তৃতীয় এবং চতুর্থ দিনেও মানুষ একত্রিত হলো। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সা. হুজরা থেকে বেরিয়ে তাদের কাছে এলেন না। অতঃপর সকাল হলে তিনি এলেন এবং বললেন, তোমাদের অপেক্ষা করার বিষয়টি আমি লক্ষ্য করেছি। কিন্তু শুধু এ ভয়ে আমি তোমাদের কাছে আসা থেকে বিরত থেকেছি যে, আমার আশঙ্কা হচ্ছিল, না জানি তোমাদের ওপর উহা (তারাবি) ফরজ করে দেয়া হয়। (বুখারি)


আরো সংবাদ



premium cement
বছরে ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়নের দাবি বাংলাদেশ অরবিসের সাথে কাজ করতে আগ্রহী : অধ্যাপক ইউনূস ঢাবি সিন্ডিকেটে এখনো বহাল আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা হাসিনা বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ করতে দিগন্ত টেলিভিশনসহ অসংখ্য গণমাধ্যম বন্ধ করেছে : ফখরুল শীত শুরু হচ্ছে তবু কমেনি ডেঙ্গুর প্রকোপ ব্যয়বহুল তদন্তেও শনাক্ত হয়নি লাশটি কার ‘রহস্যজনক’ কারণে নেয়া হয়নি ডিএনএ নমুনা নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন যুদ্ধবিরতির মার্কিন চেষ্টার মধ্যে লেবাননে ইসরাইলি হামলায় চিকিৎসাকর্মী নিহত অস্বস্তিতে ক্রেতারা : কমিয়ে দিতে হচ্ছে কেনাকাটা গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৪৪ হাজার ছাড়াল আমরা মানুষের সম্মিলিত প্রজ্ঞাকে সম্মান করি

সকল