২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

যেভাবে নেব রমজানের প্রস্তুতি

যেভাবে নেব রমজানের প্রস্তুতি - ছবি : সংগৃহীত

রমজান একটি মহিমান্বিত ও পবিত্র মাস। এ মাসের গুরুত্ব অনেক। এজন্য রমজান আসার আগেই পূর্বপরিকল্পনা করা উচিৎ যে- আমরা পবিত্র এ মাসটি কিভাবে কাটাব। এ ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখা যেতে পারে, তা হলো-

দোয়া করা
নবী সা: রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ, রজব ও শাবান মাসে আমাদের জন্য বরকত দান করুন আর আমাদের রমজান মাস পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ (মুসনাদে আহমদ)

জামাতে নামাজ আদায়
এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী সা: বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে একাধারে ৪০ দিন প্রথম তাকবিরের সঙ্গে জামাতে নামাজ আদায় করলে তাকে দুটি মুক্তির ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এক. জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং দুই. মুনাফেকি থেকে
মুক্তি।’ (তিরমিজি) তাই রমজানের আগে থেকেই জামাতে নামাজ আদায়ের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত।

কোরআন তিলাওয়াত
রমজান কোরআন তিলাওয়াতের মাস। এ মাসে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। এরশাদ হচ্ছে, ‘রমজান মাস, এতে মানুষের দিশারি এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে।’ (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫) তাই রমজানের আগে থেকেই কোরআন তিলাওয়াতে মনোযোগী হতে হবে।

নফল নামাজ
রমজানের আগে থেকেই নফল নামাজ আদায়ের প্রতি যত্নবান হতে হবে, যাতে রমজানে ইশরাক, চাশত, তারাবিহ এবং তাহাজ্জুদ নামাজ ভালোভাবে আদায় করা যায়। নবী সা: বলেন, ‘রমজান মাসে যে ব্যক্তি একটি নফল আদায় করল, সে যেন অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করল। আর যে এ মাসে একটি ফরজ আদায় করল, সে যেন অন্য মাসে সত্তরটি ফরজ আদায় করল।’ (বায়হাকি)

নফল রোজা
রোজায় অভ্যস্ত হওয়ার জন্য শাবান মাসে কিছু রোজা রাখা উত্তম। নবী সা:-এর কাছে সব মাসের মধ্যে শাবান মাসে রোজা রাখা সর্বাধিক পছন্দনীয় ছিল; বরং তিনি শাবান মাসকে রমজানের সাথে মিলিয়ে নিতেন। (নাসায়ি)

গুনাহ পরিহার
রমজান গুনাহ মুক্তির মাস। তাই এখন থেকেই গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকার অনুশীলন করতে হবে; বিশেষ করে পরনিন্দা, অনর্থক কথাবার্তা এবং চোখের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করতে হবে।

দান-সদকার প্রস্তুতি
রমজানে দরিদ্র অসহায় লোকদের দান-সদকা করার জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু টাকা পৃথক করে রাখা উচিত। নবী সা: রমজানে অধিক পরিমাণে দান করতেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সা: পৃথিবীর সব মানুষ অপেক্ষা অধিক দানশীল ছিলেন। রমজান মাসে তার দানের হাত আরো প্রসারিত হতো। (বুখারি)

প্রয়োজনীয় বাজার-সদাই করে ফেলা
রমজানের আগে সম্ভব হলে ঘরের প্রয়োজনীয় বাজার-সদাই করে নেয়া উত্তম। সামর্থ্য থাকলে ঈদের বাজারও রমজানের আগে সেরে ফেলা উচিত, যাতে রমজানে ভালোভাবে ইবাদত করা যায়।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement