‘শবে বরাত’র প্রামাণ্যতা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২২
শবেবরাত এবং এই রাতে ইবাদত-বন্দেগি করা সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। একটি আমল সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হওয়ার পরও বিদআত বলাটা হাদিস সম্পর্কে অজ্ঞতার পরিচায়ক। আর জেনেশুনে এমনটি বলে থাকলে রাসূলুল্লাহ সা:-এর হাদিস অস্বীকারের মতো মারাত্মক অপরাধে অপরাধী বলে গণ্য হবে। নিম্নে এ বিষয়ে হাদিস উল্লেখ করা হলো—
মুয়াজ বিন জাবাল রা: থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেছেন, অর্ধ শাবানের রাতে [শবেবরাতে] আল্লাহ তাআলা তাঁর সৃষ্টিজগতের প্রতি মনোযোগ দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষভাবাপন্ন ব্যক্তি ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৫৬৬৫; মুসনাদুল বাজ্জার, হাদিস : ২৭৫৪, আল মুজামুল আওসাত, হাদিস : ৬৭৭৬; আল মুজামুল কাবির, হাদিস : ২১৫; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৩৯০; মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদিস : ৩০৪৭৯, শুয়াবুল ঈমান, হাদিস : ৬২০)
শায়খ নাসিরুদ্দিন আলবানি রহ:-এর বক্তব্য
শায়খ আলবানি রহ:, বলেন, এই হাদিসটি সহিহ। এটি সাহাবাদের এক জামাত বর্ণনা করেছে বিভিন্ন সূত্রে, যার একটি অন্যটিকে শক্তিশালী করেছে। বর্ণনাকারী সাহাবিদের মধ্যে আছেন মুয়াজ বিন জাবাল রা:, আবু সালাবা রা:, আবদুল্লাহ বিন আমর রা:, আবু মুসা আশয়ারি রা:, আবু হুরায়রা রা:, আবু বকর সিদ্দিক রা:, আউফ বিন মালিক রা:, আয়েশা রা: প্রমুখ সাহাবা। ওপরে বর্ণিত সব বর্ণনাকারীর হাদিস তিনি তার কিতাবে এনে সুদীর্ঘ আলোচনা শেষে বলেন, সারকথা এই যে- নিশ্চয়ই এই হাদিস এসব সূত্র পরম্পরার দ্বারা সহিহ, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
আর সহিহ হওয়া এর থেকে কমসংখ্যক বর্ণনার দ্বারাও প্রমাণিত হয়ে যায়। যতক্ষণ না মারাত্মক কোনো দুর্বলতামুক্ত থাকে, যেমন এই হাদিস হয়েছে। (সিলসিলাতুল আহাদিসিস সহিহা : ৩/১৩৫-১৩৮, হাদিস : ১১৪৪)
শায়খ ইবনে তাইমিয়া রহ:-এর বক্তব্য
শায়খ ইবনে তাইমিয়া রহ: বলেন, অর্ধশাবানের রাতের ফজিলত সম্পর্কে বেশ কিছু মারফু হাদিস ও আসার বর্ণিত হয়েছে। যার দাবি হচ্ছে, এটি একটি ফজিলতপূর্ণ রাত। যারা ‘উক্ত হাদিস গ্রহণযোগ্য নয়’ বলেছেন—তাদের দাবি খণ্ডন করে তিনি বলেন, অনেক আলেম, বরং বেশির ভাগ এই রাত ফজিলতপূর্ণ হওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। কেননা এ রাত সম্পর্কীয় হাদিস একাধিক সূত্রে বিভিন্ন হাদিসগ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। (ইকতিজাউস সিরাতিল মুস্তাকিম, পৃষ্ঠা : ২৫৮)
তিনি অন্যত্র বলেন, অর্ধশাবানের রাতের ফজিলত সম্পর্কে বেশ কিছু মারফু হাদিস ও আসার বর্ণিত হয়েছে। এবং পূর্ববর্তীদের এক জামাত এ রাতে সালাত আদায় করত। তাই শবেবরাতে কেউ যদি একাকী নামাজ আদায় করে তাতে দোষের কিছু নেই। কেননা এ ক্ষেত্রে দলিল আছে। কাজেই এমন বিষয়কে অস্বীকার করা যাবে না। (মাজমুউল ফাতাওয়া : ২৩/৮১)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা