১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ঘুমানোর আগে সুরা মুলক তেলাওয়াতে অনেক সওয়াব

- ছবি : সংগৃহীত

সুরা মুলক পবিত্র কুরআনের ৬৭তম সুরা। ৩০ আয়াতবিশিষ্ট মক্কায় অবতীর্ণ এ সুরা তেলাওয়াতে বিশেষ পুরস্কারের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। যেমন এ সুরা পাঠকারীর গুনাহ ক্ষমা করে না দেয়া পর্যন্ত সুপারিশ করতে থাকবে। মহানবী সা: বলেন, পব্ত্রি কুরআনে ৩০টি আয়াতবিশিষ্ট এক সুরা আছে, যা তেলাওয়াতকারীর জন্য ততক্ষণ সুপারিশ করতে থাকবে, যতক্ষণ না তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। আর তা হলো- সুরা তাবারাকাল্লাজি...।’ (আবু দাউদ)

সুরা মুলকের আরেকটি ফজিলত হলো, তা পাঠকারীর জন্য কবরের আজাব থেকে রক্ষাকবচ হবে। ইবনে আব্বাস রা: বলেন, এক সাহাবি একটি কবরের ওপর তাঁবু স্থাপন করেন। তার ধারণা ছিল না যে তিনি কবরের ওপর তাঁবু স্থাপন করেছেন। একটু পর তিনি অনুভব করলেন, কে যেন সুরা মুলক তেলাওয়াত করছেন এবং শেষ পর্যন্ত তেলাওয়াত করলেন। এ ঘটনা তিনি নবী সা:-কে জানালেন। তিনি বললেন, ‘এ সুরা প্রতিরোধকারী, মুক্তিদাতা। এটি কবরের আজাব থেকে মুক্তি দেয়।’ (তিরমিজি)

রাত-দিনের যেকোনো সময়ে সুরা মুলক তেলাওয়াত করা যায়। তবে হাদিসে বিশেষভাবে রাতে তেলাওয়াত করার কথা এসেছে। যেমন জাবির রা: বর্ণনা করেন, রাসূল সা: রাতে সুরা মুলক ও সুর আলিফ লাম মিম তানজিল তেলাওয়াত না করে কখনো ঘুমাতেন না। (তিরমিজি) অন্য হাদিসে মহানবী সা: বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সুরা মুলক তেলাওয়াত করে, সে অত্যন্ত উৎকৃষ্ট আমল করে এবং অসংখ্য নেকি লাভ করে।’ (মুসতাদরাকে হাকিম)

-লেখক : ইসলামী গবেষক


আরো সংবাদ



premium cement