২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

জুমার দিনের আমল

জুমার দিনের আমল - ছবি : সংগৃহীত

ইসলামে জুমার দিনের গুরুত্ব অনেক। এ দিনের অল্প আমলও অনেক বেশি সওয়াব লাভের কারণ হয়। জুমার দিনে যেকোনো নফল আমল অধিক পরিমাণে করা যায়। তবে, হাদিসে বেশ কিছু আমলের প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তার অন্যতম হলো দরুদ শরিফ।

এক হাদিসে আছে, হজরত আবু উমামা রা: থেকে বর্ণিত নবীজি সা: বলেছেন, ‘আমার ওপর জুমার দিন বেশি বেশি দরুদ পড়ো। কারণ, আমার উম্মতের দরুদ জুমার দিন আমার কাছে পৌঁছানো হয়।'

হজরত আনাস রা: বলেন, নবীজি সা: বলেছেন যে তোমরা জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পড়ো৷ কারণ, জিবরাঈল আ: এইমাত্র আল্লাহ তায়ালার বাণী নিয়ে হাজির হলেন। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, পৃথিবীতে যখন কোনো মুসলমান আপনার ওপর একবার দরুদ পড়ে, আমি তার ওপর দশবার রহমত নাজিল করি এবং আমার সব ফেরেশতা তার জন্য দশবার ইস্তেগফার করে। - তারগিব : ৩/২৯৯

জুমার দিন ছাড়া অন্য দিনেও দরুদের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। নবীজি সা:-এর প্রতি ভালোবাসার দাবিই হলো তার ওপর বেশি বেশি দরুদ শরিফ পড়া।

নবীজি সা: বলেন, যে আমার ওপর যত বেশি দরুদ পড়বে, সে কেয়ামতের দিন আমার তত নিকটবর্তী হবে। - তারগিব : ১৫৭

হজরত আলি রা: বলেছেন, যে ব্যক্তি নবীজি সা:-এর ওপর জুমার দিন ১০০ বার দরুদ পড়বে, কেয়ামতের দিন সে এমন অবস্থায় উঠবে যে, তার চেহারায় নূরের জ্যোতি দেখে লোকেরা বলাবলি করতে থাকবে এই ব্যক্তি কী আমল করেছিল! - কানজুল উম্মাল : ১৭৪

ওপরের হাদিসগুলো থেকে জুমার দিনে দুরুদ শরিফের গুরুত্ব ও ফজিলত স্পষ্ট হয়ে গেছে। তাই আসুন, আমরা জুমার দিনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বেশি বেশি নফল ইবাদত করি এবং নবীজি সা:-এর ভালোবাসায় অধিক পরিমাণে দরুদ পড়ি।

লেখক : তরুণ আলেম ও সংবাদকর্মী
[email protected]


আরো সংবাদ



premium cement