২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হতে নেই

আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হতে নেই - প্রফেসর তোহুর আহমদ হিলালী - ফাইল ছবি

কুরআন-হাদিস পড়লে বান্দার প্রতি আল্লাহর দয়া-অনুগ্রহ উপলব্ধি করা যায়। তাঁর দয়া-অনুগ্রহের কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। তবে বুঝতে হবে, তাঁর এই দয়া দুনিয়ার জীবনে সব মানুষের প্রতি কিন্তু আখিরাতে কাফিরদের (অমান্যকারী) প্রতি তিনি হবেন অত্যন্ত কঠোর। তাই দুনিয়াতেই তাঁর দয়া-অনুগ্রহ ও ক্ষমা লাভের চেষ্টা করতে হবে।

শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। সে মানুষকে প্ররোচনা দেয়, এত গুনাহ করেছিস তোর কোনো ক্ষমা নেই, তাই বেশি বেশি করে দুনিয়াটা ভোগ করে নে বা বলে, সময় আছে পরে তাওবা করে ভালো হয়ে যাস। দু’টিই ভুল। গুনাহ যত বড়ই হোক তাওবা করলে ক্ষমার সুযোগ রয়েছে। আর মৃত্যু অনিশ্চিত। প্রতিনিয়তই মৃত্যু লক্ষ করছি। তাই শয়তানের ধোঁকা দূরে ফেলে দিয়ে এখনই তাওবা করে আল্লাহর প্রিয়ভাজন হতে হবে।

জীবনে নামাজ পড়েননি, রোজা রাখেননি বা নানাভাবে নিজের প্রতি জুলুম করেছেন আল্লাহর হক নষ্ট করেছেন, তাতে কী? তাওবা করে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে নেন, অতীতের সব গুনাহ (আল্লাহর হক) আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন। কারণ তিনি ক্ষমাশীল ও দয়াময়।

আর বান্দার হক নষ্ট করলে তা ফেরত দিয়ে ক্ষমা চান। খুবই আশাপ্রদ আল্লাহর উক্তি, ‘যারা ঈমানদার নর ও নারীকে কষ্ট দেয় অতঃপর তাওবা করে না তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আজাব, আছে ভস্ম হওয়ার শাস্তি।’ ‘অতঃপর তাওবা করে না’-এই কথার মধ্যে ক্ষমাপ্রাপ্তির একটি সুযোগ রয়ে গেছে অর্থাৎ তাওবা করলে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দিবেন। আল্লাহ নিজেও তাঁর বান্দাদের তাঁর রহমত থেকে নিরাশ হতে নিষেধ করেছেন।

তাই অনুতপ্ত হয়ে তাওবা করার পর যদি দেখা যায় সে তার জীবন ও সম্পদ সবই আল্লাহর পথে উৎসর্গ করে দিয়েছে এবং অন্যের হক ফিরিয়ে দিয়েছে তখন আর সে ঈমানদারদের শত্রু থাকে না বরং হয়ে পড়ে বন্ধু। তাই গুনাহ যে ধরন ও প্রকারের হোক না কেন আল্লাহর ভয় ও উপলব্ধি আসার সাথে সাথে বান্দার উচিত তাওবা করে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে নেয়া।
হে পরোয়ারদেগার! তুমি আমাদেরকে তোমার রহমত থেকে নিরাশ করো না। তোমার অনুগত বান্দাহ হয়ে চলার তাওফিক দান করো।

হে রব! তুমি আমাদেরকে তোমার নেক বান্দাদের দলভুক্ত করো ও নাফরমানদের থেকে দূরে রেখ। আমিন।

লেখক : উপাধ্যক্ষ (অব:), কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ।


আরো সংবাদ



premium cement