০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ৭ শাবান ১৪৪৬
`

মশিউর রহমানের নতুন বই ‘টেকসই সমৃদ্ধিতে আল-কুরআনের দর্শন’

-

বাজারে এসেছে ব্যাংকার এবং দেশি-বিদেশি বইয়ের লেখক ও এডিটর মো: মশিউর রহমানের নতুন বই ‘টেকসই সমৃদ্ধিতে আল-কুরআনের দর্শন’।

বইটিতে আল-কুরাআনের কয়েকটি দর্শন উপস্থাপন করা হয়েছে।

বইটিতে বলা হয়েছে, আল-কুরআন মানব কল্যাণের জন্য একটি সার্বজনীন পথনির্দেশক। যার শুরুতেই আল্লাহ্‌ বলেন,‘ইহা সেই কিতাব, ইহাতে কোনো সন্দেহ নেই। মুত্তাকীদের ইহা পথ নির্দেশক’ (সুরা-০২, বাকারা, আয়াত–০২)। আল্লাহ্‌ আরো বলেন, 'ভালো ও মন্দ সমান হতে পারে না। মন্দ প্রতিহত কর উৎকৃষ্ট দ্বারা; ফলে তোমার সাথে যার শত্রুতা আছে, সে হয়ে যাবে অন্তরঙ্গ বন্ধুর মতো। এই গুনের অধিকারী করা হয় কেবল তাদেরকেই যারা ধৈর্য্যশীল, এই গুণের অধিকারী করা হয় কেবল তাদেরকেই যারা মহাভাগ্যবান’। (সুরা-৪১, হা-মীম আস-সাজদা, আয়াত- ৩৪, ৩৫)

বইটি প্রসঙ্গে লেখক বলেছেন, আল-কুরআন যতই পড়ি ততই মুগ্ধ হই; আর মানব কল্যাণের দর্শন খুঁজে পাই। বইটিতে আমরা ছয়টি বিষয়ের সমাধান খুঁজেছি আল-কুরাআনের দর্শনের আলোকে, আর ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি সামাজিক বিজ্ঞানের ধারায়।

তিনি বলেন, প্রথমেই আমরা খুঁজে বেড়িয়েছি বিশ্বস্ততা দর্শনের মানে ও প্রয়োজনীয়তা। আমরা দেখেছি মানুষের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ স. বাল্যকালেই সব মানুষের কাছে বিশ্বস্ত হয়েছিলেন তাঁর কথা ও কাজের জন্য। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এ গুণ ধরে রেখেছিলেন তিনি। তিনি ছিলেন সফল মানুষ, রাষ্ট্রনায়ক ও ব্যবসায়ী।

বইটিতে রিবা (সুদ) মুক্ত একটি ব্যবসা ও অর্থ মডেল দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে লেখক বলেন, আমরা দেখেছি কিভাবে সম্পদের বৈষম্য মানুষের অশান্তির কারণ হচ্ছে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির প্রয়োগ ব্যাহত হচ্ছে। এখানে একটি বৈষম্যমুক্ত এবং অর্থনৈতিক অবিচারমুক্ত অর্থ কাঠামো প্রতিষ্ঠার পথ দেখানো হয়েছে।

লেখক মশিউর রহমান বলেন, আমরা খুঁজে পেয়েছি শিক্ষাবিহীন সমাজে অর্থনৈতিক মুক্তি অসম্ভব। শিক্ষা হলো সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির সূচনা মাত্র। আল-কুরাআনের প্রথম আয়াতে শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আল্লাহ সুরা আলাকে বলেছেন, ‘পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন’। এভাবে আমরা শিক্ষার পাঁচটি নীতি খুঁজে পেয়েছি।

বইটিতে আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচনের উপায় খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। আল্লাহ্ বলেন, “যারা নিজেদের ধন-সম্পদ আল্লাহ্‌র পথে ব্যয় করে তাঁদের উপমা একটি শস্যবীজ, যা সাতটি শীষ উৎপাদন করে, প্রত্যেক শিষে একশত শস্যদানা। আল্লাহ্‌ যাকে ইচ্ছে বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেন। আল্লাহ্‌ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ”। (সুরা-০২ বাকারা, আয়াত ২৬১)। দানের পূর্বে আয় করতে হবে; তাই অধিক আয় করার উপায় অনুসন্ধান করা হয়েছে বইটিতে।

যে সমাজে দুর্নীতি আছে এবং দুর্বলরা নির্যাতিত হয় সে সমাজ সমৃদ্ধ সমাজ নয়। আল-কুরআনের আলোকে দুর্নীতিমুক্ত ও অত্যাচারমুক্ত সমাজ কাঠামো গঠনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তির দর্শন তুলে ধরা হয়েছে এ বইয়ে। আল্লাহ্‌ বলেন, “আমি কুরআন সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য; অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেহ আছে কি?” (সূরা – ৫৪ কামার, আয়াত-৪০)।

বইটিতে কুরআনের আয়াত অনুবাদের ক্ষেত্রে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত অনুবাদ অনুসরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া কোনো আয়াত উল্লেখ করার ক্ষেত্রে পূর্ণ আয়াত লেখা হয়েছে।

বইয়ের প্রকাশক করেছে সময় প্রকাশন। বর্তমানে বইটি একুশে বইমেলা ছাড়াও অনলাইনে ও অফলাইনে ৩৮/২/ক মান্নান মার্কেট (তৃতীয় তলা), বাংলাবাজার, ঢাকায় পাওয়া যাচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement