শুক্রবার সূরা কাহাফ কেন পড়বেন
- মো: রায়হান আল ইমরান
- ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:৫৩
শুক্রবার মুমিনদের জন্য একটি বরকতময় দিন। এদিন আল্লাহ তায়ালার রহমতের দুয়ার খুলে যায়। সেজন্য জাহান্নামের অধিবাসীরাও এদিন রহমতের ছোঁয়া পায়। সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন তাদের শাস্তি লঘু করে দেয়া হয়।
এ দিনের বিশেষ কিছু আমল রয়েছে, যেটা পালন করলে বিশেষ মর্যাদা লাভ হয়। তন্মধ্যে একটি আমল হচ্ছে, সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করা। শুক্রবার এ সূরা তেলাওয়াত করলে বিভিন্ন ফজিলত পাওয়া যায়।
নূর বর্ষণ : শুক্রবার সূরা কাহাফ পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালা তেলাওয়াতকারীর উপর নূর বর্ষণ করেন। হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শুক্রবার সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে দুই শুক্রবারের মধ্যবর্তী সময় নূর দ্বারা জ্যোতির্ময় করে দেবেন।’ (সুনানে বায়হাকি, হাদিস : ৬২০৯)
ফেতনা থেকে মুক্তি : প্রত্যেক শুক্রবারে সূরা কাহাফের তেলাওয়াত অব্যাহত রাখলে ফেতনা থেকে মুক্ত থাকা যায়। বিশেষ করে কিয়ামতের পূর্ব মুহূর্তে দাজ্জালের ফেতনা থেকেও বাঁচা যায়। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শুক্রবার সূরা কাহাফ পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে আট দিন পর্যন্ত ফেতনা থেকে নিরাপদে রাখবেন, এমনকি দাজ্জালের ফেতনা থেকেও। (আল আহাদিসুল মুখতারা, হাদিস : ৪২৯)
কিয়ামতের দিনে সফলতা : সূরা কাহাফের তেলাওয়াত কিয়ামতের দিনে সফলতা বয়ে আনে। এটি পাঠ করলে মুমিন বান্দা আল্লাহ তায়ালা থেকে অশেষ প্রতিদান পাবে। তার আপাদমস্তক নূরে আলোকিত হবে। এমনকি তার কদম থেকে নিয়ে ঊর্ধ্ব গগন পর্যন্ত আলোকময় হয়ে যাবে। ইবনে ওমর রা. নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, নবীজি সা: বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিনে সূরা কাহাফ পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার কদম থেকে নিয়ে ঊর্ধ্বাকাশ পর্যন্ত একটি নূর প্রদান করবেন। কেয়ামতের দিন তাকে আলোকময় করবেন। দুই জুমআর মধ্যবর্তী সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। (আত-তারগিব ওয়াত-তারহিব : ১/২৯৮)
মক্কায় অবতীর্ণ এ সূরাটির মর্যাদা আল্লাহ তায়ালার কাছে অনেক। শুধু শুক্রবারই নয়; এ সূরা সপ্তাহের যেকোনো দিনেও পাঠ করলে বিশেষ মর্যাদা লাভ করা যায়। এক হাদিসে এসেছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম ১০টি আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে মুক্ত থাকবে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৮০৯; আবু দাউদ, হাদিস : ৪৩২৩)
এখানে একটি প্রশ্ন হয় যে শুক্রবার এ সূরাটি কখন পাঠ করলে হাদিসে বর্ণিত ফজিলত পাওয়া যাবে। এ প্রশ্নের উত্তর হলো, বৃহস্পতিবার সূর্যাস্তের পর থেকে নিয়ে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত যেকোনো সময় এ সূরাটি তেলাওয়াত করলে হাদিসে বর্ণিত ফজিলত পাওয়া যাবে। ইবনে হাজার আসকালানি রহ. স্বীয় গ্রন্থ ‘আমালি’-তে এমনটা-ই উল্লেখ করেছেন।
বৃহস্পতিবার সূর্যাস্ত থেকে শুরু হওয়া এবং শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত বহাল থাকার কারণ হলো–আরবিতে নতুন দিন শুরু হয় সূর্যাস্ত থেকে-ই। এ হিসেবে বৃহস্পতিবার সূর্যাস্ত থেকে পরদিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত শুক্রবার দিনটি বাকি থাকে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা