সোনার বাংলাদেশ গড়তে পারলেই শহীদদের ঋণ শোধ হবে : জামায়াত সেক্রেটারি
- রেজাউল করিম রেজা, কুড়িগ্রাম
- ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:১৫
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে শহীদ হওয়া আবু সাঈদদের রক্তের ঋণ সেদিনই শোধ হবে যেদিন আমরা তাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে পারবো।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কুড়িগ্রামের শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুড়িগ্রাম নিউ টাউন হলে এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুড়িগ্রাম জেলা শাখা।
মিয়া পরওয়ার বলেন, ‘একদিকে ফ্যাসিবাদী হাসিনা আরেক দিকে বুক পেতে দেয়া উত্তরবঙ্গের আবু সাঈদের নেতৃত্বে গোটা বাংলাদেশ। শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হলো আর আবু সাঈদদের বাংলাদেশ বিজয়ী হলো। আবু সাঈদ বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি লাভ করেছে। আবু সাঈদরা ৫ আগস্ট বাংলাদেশের মানুষ ঈদের আনন্দ করেছে। আবু সাঈদরা রক্ত দিয়ে ঋণী করে রেখে গেল আমাদের। সেই ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে। এই শহীদের আত্মত্যাগ সেদিন স্বার্থক হবে যেদিন তাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ আমরা গড়তে পারবো।’
তিনি আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশের বাইরে থেকে বিচারপতিদের দিয়ে, আনসারদের দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। এখনো প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা ঘাপটি মেরে আছে। এসব পরিষ্কার করে দেশপ্রেমীদের নিয়োগ দিতে হবে।’
দেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করে রাষ্ট্র সংস্কারের যৌক্তিক সময় চেয়েছেন। জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলগুলোও তাতে সমর্থন জানিয়েছে।’
‘সারা দেশে ছত্র-জনতার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন সে শহীদ পরিবারগুলো জামায়াতে ইসলামীর পরিবার,’ বলেন জামায়াত সেক্রেটারি।
মতবিনিময় সভায় জেলা আমির মাওলানা আব্দুল মতিন ফারুকীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হালিম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুড়িগ্রামের সমন্বয়ক মো: মিনারুল হক, ছাত্রশিবিরের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি মো: আব্দুল্লাহ আল আবিদ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ গোলাম রব্বানীর বাবা সাইদুল ইসলাম, শহীদ রাশেদুল ইসলামের বাবা মো: বাচ্চু মিয়া, শহীদ আবু রায়হানের বাবা মো: আব্দুর রশিদ, শহীদ নুর আলমের চাচা মমিনুল ইসলামসহ অন্যরা।
সভা শেষে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ চারজনের পরিবারের হাতে দুই লাখ টাকা করে অনুদান তুলে দেন জামায়াত সেক্রেটারিসহ অন্য নেতারা।
পরে আন্দোলনে শহীদদের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতার জন্য দোয়া করা হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা