ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার প্রতিবাদে সন্তানের সংবাদ সম্মেলন
- কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) সংবাদদাতা
- ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২:৪৯
জাতীয় পার্টি মনোনীত কিশোরগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গ্রেনেট বাবুকে মেরে ফেলার উদ্দেশে হামলা ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে চেয়ারম্যানের ছেলে তানভিরুল হাসান প্রিন্স।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
চেয়ারম্যানের ছেলে সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘তার বড় চাচা ৯০ দশকের ছাত্রনেতা, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার বাবা যুবদলের পর পর দুইবার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৫ সালে ইউপি নির্বাচনে আমার বাবা গ্রেনেট বাবু বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেলেও তা কুচক্রি মহলরা কেড়ে নেয়। পরবর্তীতে বাবা বিএনপির কতিপয় নেতার আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে অভিমান করে নিজস্ব জনপ্রিয়তা যাচাইয়ে জাপায় যোগ দেন এবং জাপার প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এখানেই মূলত কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ ও তাদের মদতপুষ্ঠ কিছু বিএনপি নেতার মনে আগুন লেগে যায়।
কারণ, আমার বাবা চেয়ারম্যান হওয়া মানে বিএনপি শক্তিশালী হওয়া। তারা বিএনপিকে দুর্বল করতেই বিভিন্ন রকম চেষ্টা করে। তিনি জাপা মনোনিত চেয়ারম্যান হওয়ার কারণে বিএনপির দুর্দশা দেখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আমাকে কিশোরগঞ্জে ছাত্রদের একত্রিত করে আন্দোলনে নামিয়ে দেয়। যার ফলশ্রুতিতে আজকে আমারা স্বাধীন বাংলাদেশ পাই। ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর বিভিন্ন দলের ন্যায় আমার বড় চাচা মাসুদ রানা পাটোয়ারী বিএনপিকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করার জন্য বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা যারা আওয়ামী ঘেষা বিএনপি দ্বারা উপেক্ষিত ও বৈষম্যের শিকার তাদেরকে একত্রিত করার লক্ষে ইউনিয়ন ইউনিয়নে গণসংযোগ ও আলোচনা শুরু করে।
সম্প্রীতি বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নিয়ে দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব বাঁধে। যার সাথে আমার বাবার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে ৩১ আগস্ট বিএনপির আব্দুল্লাহ আল মামুন ও তাজুল ইসলাম ডালিমের নেতৃত্বে কতিপয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লোকজন লাঠি সোটা নিয়ে আমার বড় চাচার দোকান ভাঙচুর করতে যায়। দোকান বন্ধ দেখে তারা ফিরে এসে বাচ্চা কুণ্ড নামক মোড়ে অবস্থান নিয়ে হুমকি দিতে থাকে। এ সময় আমার বাবা ইউপি চেয়ারম্যান এসে তাদের বাঁধা দেয় এবং পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরবর্তীতে নৌকার সাবেক চেয়ারম্যান আনিসের প্ররোচনায় ও গুণ্ডা বাহিনীর সহযোগীতায় মামুন ডালিম গং আমার বাবা গ্রেনেট বাবুকে মেরে ফেলার উদ্দেশে অতর্কিত হামলা করে আহত করে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতি করে। আহত বাবা রংপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন আছে। আমি সন্তান হিসেবে তার ওপর হামলা ও দোকান ভাঙচুরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করছি। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা