৭ দফা দাবি আদায়ে ‘লংমার্চ টু তিস্তা’ শনিবার
- মো: গোলাম আযম সরকার, পীরগাছা (রংপুর)
- ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:১৩
রংপুরের পীরগাছা উপজেলার শেষপ্রান্তে এবং গাইবান্ধা উপজেলার সুন্দরগঞ্জে অবস্থিত পাওয়ার প্লানে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় মুক্তিগামী জনতার ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে।
মানববন্ধটি বাস্তবায়ন করার জন্য ব্যাপকভাবে প্রচারনা চালানো হচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্ররা অভিযোগ করেছেন, তিস্তার বুকে নির্মিত তিস্তা বিদ্যুৎ প্রকল্পের আড়ালে ভারতীয় গুপ্তচর ব্যবহার করে এ অঞ্চলকে অশান্ত করার পায়তারা করা হচ্ছে। উত্তর জনপদকে রক্ষা করতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন আজ সময়ের একচ্ছত্র দাবি।
তিস্তার গতিপথ নিয়ন্ত্রণে যেখানে প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রাণোচ্ছ্বল নদীটির গতিপথকে ব্যাহত করে পরিবেশ ও স্থানীয় জনতার স্বার্থ পরিপন্থী কর্মকাণ্ড পরিচলানা করা হয়েছে পতিত স্বৈরাচারের আমলে।
অভিযোগ করা হচ্ছে কুখ্যাত জুলুমবাজ, ধর্ষক, ভূমিদস্য এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের গডফাদার সালমান এফ রহমান গং বিগত বছরগুলোতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তিস্তা পাড়ের অসহায় মানুষদের নিজ ভূমি থেকে উৎখাত করে আসছিল। বেক্সিমকো সোলার পাওয়ার কর্তৃক নির্মিত অস্বচ্ছ তিস্তা পাওয়ার প্লান্টের সকল দুর্নীতি উন্মোচন ও বিদ্যুতের সঠিক হিসাব নিরূপনে তিস্তাপাড়ের সন্তানদের দায় মোচনের সময় এসেছে। জমিহারা হতভাগা মানুষদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আমরা সাধারণ ছাত্রজনতা বদ্ধ পরিকর। তিস্তার বুকে নির্মিত এ প্রকল্পের আড়ালে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভারতীয় কর্মীর উপস্থিতি এবং দেশীয় শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রতি বৈষম্য নিরসনে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করা হচ্ছে।
মুক্তিকামী ছাত্র জনতার ৭ দফা দাবিসমূহ :
১. ক্ষুধা, মঙ্গা ও বন্যা প্রতিরোধে পানির ন্যায্য হিস্যা প্রাপ্তি ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করো, করতে হবে।
২. ‘বেক্সিমকো পাওয়ার কোম্পানি’ কর্তৃক নির্মিত অস্বচ্ছ তিস্তা পাওয়ার প্লান্ট প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিরূপণে অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রীয় তদারকি কায়েম করা হোক।
৩. প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণকালে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দখলকৃত এবং অবমূল্যায়িত নদীবিধৌত জমির মালিকদের ন্যায্য অধিকার দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক।
৪. জমি দখলকল্পে যে খুনের ঘটনা ঘটেছে তাতে লুটেরা সালমান এফ রহমানসহ জড়িত সকলের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করে মজলুমদের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত হোক।
৫. কোম্পানির উৎপাদিত বিদ্যুৎতের সঠিক ব্যবস্থাপনা ও স্থানীয় বিদ্যুতের চাহিদাপূরণ পরবর্তী সুষ্ঠু বন্টনের ব্যবস্থা নিশ্চিতে রাষ্ট্রের সরাসরি হস্তক্ষেপ কায়েম হোক।
৬. অধিকতর বৈদেশিক বিনিয়োগের মাধ্যমে তিস্তা অববাহিকায় নদীবান্ধব শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত কর্মীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করাই অনিবার্য দাবি।
৭. মুক্তিকামী আপামর ছাত্রজনতা লুটেরাদের অবৈধ সম্পদের উৎস নিরূপণে রাষ্ট্রীয় জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনে মহামান্য আদালতের সুদৃঢ় হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা