২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জুনিয়র শিক্ষকের নামে সরকারি কোয়াটার বরাদ্দ নিয়ে থাকছেন সহকারী প্রধান শিক্ষক

- নয়া দিগন্ত

দেবীগঞ্জে জুনিয়র সহকারী শিক্ষকের নামে সরকারি কোয়াটারে কক্ষ বরাদ্দ নিয়ে তাতে দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে বেআইনিভাবে সহকারী প্রধান শিক্ষকের বসবাস করার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম মো: নূরুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে নৃপেন্দ্র নারায়ণ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

জানা গেছে, দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভিতরে চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য সাতটি সরকারি কোয়াটার রয়েছে। এর মধ্য পাঁচটি ফ্যামেলি কোয়াটার এবং দুইটি ব্যাচেলর কোয়াটার। এর মধ্যে পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন বসুন্ধরা ব্যাচেলর কোয়াটারে আটজন কর্মকর্তার নামে কক্ষ বরাদ্দ রয়েছে। তাদের প্রত্যেককে সরকারি বাড়ি ভাড়ার ১০ শতাংশ হারে মাসিক কক্ষ ভাড়া দিতে হয়।

অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১০ এপ্রিল নৃপেন্দ্র নারায়ণ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: মোত্তালেব হোসাইনের নামে একটি কক্ষ বরাদ্দ দেয়া হয় যা ওই মাস থেকেই কার্যকর হয়। মাসিক কক্ষ ভাড়া হিসেবে তার সরকারি বাড়ি ভাড়ার ১০ শতাংশ তথা ৭২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

অনুসন্ধানে এই তথ্যের সত্যতা মিলেছে। বরাদ্দকৃত কক্ষ গত ১৫ মাস ধরে সহকারী শিক্ষক মো: মোত্তালেব হোসাইনের পরিবর্তে বসবাস করে আসছেন নৃপেন্দ্র নারায়ণ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো: নূরুল ইসলাম। বরাদ্দ নেয়ার সময় তিনি বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন। বর্তমানে সহকারী প্রধান শিক্ষক মো: নূরুল ইসলাম সপ্তম গ্রেডে প্রতি মাসে ৫৪ হাজার ৭৭০ টাকা মূল বেতন এবং মূল বেতনের ৩৫ শতাংশ তথা ১৯ হাজার ১৬৯ টাকা বাড়ি ভাড়া হিসেবে পান। ওই হিসেবে তিনি যদি সরকারি কোয়াটারে থাকতে চান তাহলে প্রতি মাসে বাড়ি ভাড়ার ১০ শতাংশ তথা ১ হাজার ৯১৬ টাকা প্রদান করতে হবে। অথচ তিনি ১৫ মাস ধরে সহকারী শিক্ষক মো: মোত্তালেব হোসাইনের জন্য নির্ধারিত বাড়ি ভাড়া ৭২০ টাকা করেই প্রদান করছেন। এতে করে গত ১৫ মাসে সরকারি কোষাগারে ১৭ হাজার ৯৪০ টাকা কম ভাড়া দিয়েছেন। এছাড়া সরকারি কোয়াটার একজনের নামে বরাদ্দ নিয়ে আরেকজনের বসবাস করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

এ বিষয়ে সিট বরাদ্দ নেয়া সহকারী শিক্ষক মো: মোত্তালেব হোসাইনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আগের প্রধান শিক্ষক আমার কাগজ নিয়ে কোয়াটারে কক্ষ বরাদ্দ নিয়েছেন। উনি আমাকে বলেন, উনার নামে নিলে টাকা-পয়সা বেশি লাগবে আর আমার কাগজ দিয়ে নিলে টাকা কম লাগবে। একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান যদি
আমাকে বলেন তাহলে কী আমার না করার উপায় আছে? তাই আমি আমার কাগজ দিয়েছি।’

এদিকে, জুনিয়র শিক্ষকের নামে সরকারি কোয়াটারে কক্ষ বরাদ্দ নিয়ে বেআইনিভাবে কেন থাকছেন জানতে চাইলে অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘এটা তো একজনের নামে বরাদ্দ থাকলেই থাকা যায়। পঞ্চগড়, সৈয়দপুর অনেক জায়গায় থাকে। আমি যখন উঠি ইউএনও স্যার এবং বিআরডিবি কর্মকর্তার কনসার্ণ নিয়েই উঠেছি।’

এ বিষয়ে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ফজলে রাব্বী মো: সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘একজনের নামে কক্ষ বরাদ্দ নিয়ে আরেকজন থাকছে এমন কোনো তথ্য আমার জানা ছিল না। যদি কেউ এভাবে থেকে থাকে তাহলে তাকে তার নামে কক্ষ বরাদ্দ নিয়ে থাকতে বলবো।’

এতদিন কম ভাড়া দেয়ায় কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি-না জানতে চাইলে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শরীফুল আলম বলেন, ‘এই বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement
শখের বশে কমলা চাষে সফল রানা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শ্রমিকদের অবরোধ পাহাড়ি খাদ্যসংস্কৃতিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : শিশুসহ দগ্ধ ৭ সাবেক প্রধান বিচারপতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ সুপ্রিমকোর্টের বিচারকাজ বন্ধ ফিরছেন শান্ত, অপেক্ষা বাড়ছে মুশফিকের জন্য পিক‌নিকের বা‌সে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু : পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাসহ বরখাস্ত ৭ কুয়াশায় ঢাকা কুড়িগ্রাম, তাপমাত্রা ১৫.৬ ডিগ্রি ‘স্বৈরাচার ও ফ্যাসীবাদমুক্ত দেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ রাশিয়ায় শিক্ষার্থীদের ‘নির্মমভাবে’ গ্রেফতারের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিবাদ সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই

সকল