রংপুরে এবার আসামির তালিকায় বিভাগীয় কমিশনার-ডিসি-এসপি
- রংপুর ব্যুরো
- ২৭ আগস্ট ২০২৪, ১৮:০৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুর সিটি করপোরেশনের সামনে পুলিশ এবং সাবেক সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের গুলিতে স্বর্ণের দোকানের ম্যানেজার মোসলেম উদ্দিন মিলন নিহতের দায়ে স্পিকার, সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, ডিসি, এসপি ও সাবেক এমপিসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
নিহতের স্ত্রীর দিলরুবা আক্তার মামলা করলে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে রংপুরের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক রাজু আহমেদ বাবু সেটি আমলে নিয়ে কোতয়ালী থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
নিহত মিলন রংপুর নগরীর পূর্ব গনেশপুর এলাকার মন্টু মিয়ার ছেলে।
বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন বকুল জানান, ১৯ জুলাই পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে রাজমিস্ত্রীকে খুন করেছে। এ ঘটনায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, রংপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো: শাহজাহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) হুসাইন মোহাম্মদ রায়হান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) আবু আশরাফ সিদ্দিকী, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য নাছিমা জামান ববি, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক প্রামাণিক, আওয়ামী লীগ নেতা রাশেক রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছায়াদাত হোসেন বকুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাফিয়ার রহমান সাফি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডলের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতদের আসামি মামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ন্যায় বিচারের স্বার্থে আমরা এই মামলা করেছি। আশা করি আদালত ন্যায় বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবে।’
মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সিটি বাজার এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষে ৮ থেকে ১৭ নম্বর আসামিদের প্ররোচনা ও উসকানিতে ১ থেকে ৭ নম্বর আসামিদের নির্দেশে ২, ৩, ৪, ৬ ও ৭ নম্বর আসামিসহ হেলমেট পরিহিত পুলিশ সদস্যরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। এতে মিলন গুলিবিদ্ধ হলে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে আসামিদের চাপে লাশ ময়নাতদন্ত না করেই তড়িঘড়ি করে দাফন করা হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা