২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বন্যার শঙ্কায় নির্ঘুম রাত তিস্তাপাড়ের মানুষের

বন্যার শঙ্কায় নির্ঘুম রাত তিস্তাপাড়ের মানুষের - নয়া দিগন্ত

ভারতের ত্রিপুরার ডাম্বুর বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশকে পূর্ব সীমান্তের আটটি জেলায় লাখ লাখ মানুষ নজিরবিহীন বন্যা পরিস্থিতির শিকার হওয়ায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বারবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত তিস্তার দু'তীরের লালমনিরহাটের হাজার হাজার মানুষ।

এর মাঝে তিস্তার উজানে ভারতের সিকিমে পাহাড় ধসে গেছে তিস্তা নদীর ওপরে নির্মিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি বাঁধ। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের গজলডোবা বাঁধে পানির চাপ দ্রুত বাড়ছে। এতে করে আরো বেশি শঙ্কিত হয়ে পড়েছে তারা। উজানের ঢল যেকোনো সময় লালমনিরহাটে প্রবেশ করে বন্যার সৃষ্টি হতে পারে- এমন শঙ্কায় নির্ঘুম রাত পার করছে।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, তিস্তার পানি বাড়লেও আপাতত ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা নেই।

সিকিমে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের উত্তর মালদহের গজলডোবা, বামনগোলা ও পুরাতন মালদহে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গজলডোবা বাঁধের পানি তিস্তার ডালিয়া পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় দেশের বৃহত্ত সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ৫১ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। কাউনিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ২৮ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ২৯ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার।

তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা জানায়, গতবছর ভারত হঠাৎ পানি ছেড়ে দেয়ায় আমাদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। এবার পানি এলে আমাদের ধানসহ উঠতি ফসলের ক্ষতি হবে। আগাম বার্তা দিয়ে পানি ছাড়লে আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রক্ষা করতে পারবো।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, তিস্তার পানি বাড়লেও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি নাও হতে পারে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড সতর্ক করে রেখেছে।


আরো সংবাদ



premium cement