ঢাকায় লালমনিরহাটের সাবেক ৩ এমপিসহ ১২৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
- সাব্বির আহমেদ লাভলু, লালমনিরহাট।
- ২১ আগস্ট ২০২৪, ২১:১৫
লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীসহ তিনজন সাবেক সংসদ সদস্য ও দু’জন উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১২৮জনের বিরুদ্ধে ঢাকার আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) মামলাটি করেন হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবি গ্রামের মরহুম খোকা শেখের ছেলে সহিদুল ইসলাম।
মামলায় আলোচিত বিবাদিরা হলেন, লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লালমনিরহাট ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন, সম্পাদক ও লালমনিরহাট ৩(সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাভোকেট মতিয়ার রহমান, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাভোকেট সফুরা খাতুন, হাতীবান্ধা উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু, পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল, হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক এমপি মোতাহারের ছেলে মাহমুদুল হাসান সোহাগ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাশেদ জামান বিলাশসহ ১২৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০০ থেকে ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মামলার বিবরনে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের দেশ ব্যাপী চলমান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমন করতে হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিম সারড়ুবি গ্রামের সহিদুল ইসলামের ছেলে সুজন ইসলামকে চাপ প্রয়োগ করেন বিবাদিদের ১৬জন আওয়ামীলীগের রেতাকর্মী। দমনে না করলে সুজন ও তার পরিবারের ক্ষতি করার হুমকি দেয়া হয়।
তাদের অব্যহত চাপে গত ৩০ জুলাই বাড়ি থেকে ঢাকার আশুলিয়া বাইপাইলের ভাড়া বাসায় চলে যান সুজন ইসলাম। সেখান থেকে গত ৫ আগস্ট বিষম্যবিরোধী আন্দোলনে অন্যান্যদের সাথে বাইপাইল বাসস্টান্ডে যোগদান করেন সুজন ইসলাম। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে সুজন ইসলাম গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গনস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ওই দিনই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী সুজন ইসলামের বাবা সহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে লালমনিরহাট ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনকে প্রধান করে ১২৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০০-২০০ জনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে ঢাকার আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা দায়ের করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা