২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

হত্যা মামলার আসামি সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান ও সুভাষ সিংহ

নাঈমুল ইসলাম খান ও সুভাষ সিংহ - ছবি : সংগৃহীত

এবার হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান ও সুভাষ সিংহকে। রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে সাজ্জাদ হোসেন নিহত নিয়ে মামলাটি হয়েছে। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানা ছাড়াও সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায় ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খানকে আসামি করা হয়েছে।

তারা দুজনই আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠভাজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং বিভিন্ন টক শোতে সরকারের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিতেন।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে ঝরেছে শত শত প্রাণ। এই আন্দোলনের জেরে ক্ষমতা ছেড়ে পালাতে হয়েছে শেখ হাসিনাকে।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে নিহত সাজ্জাদ হোসেনের সহধর্মিণী জিতু বেগম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত কোতোয়ালিতে মামলাটি করেন।

নিহত সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী জিতু বেগম বলেন, আমার সন্তানকে যারা এতিম করল, আমাকে যারা বিধবা করল, আমি তাদের বিচার চাই। আমি সর্বোচ্চ বিচার কামনা করি এই সরকারের কাছে। এসময় তিনি পিতৃহারা সন্তানের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন বকুল জানান, গত ১৯ জুলাই পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে রাজমিস্ত্রী সাজ্জাদকে নির্মমভাবে খুন করে। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, তৎকালীন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ আওয়ামী লীগ ও তার সমমনা দলের নেতাদের আসামি করা হয়েছে। সে তালিকায় আছেন হাসানুল হক ইনু-রাশেদ খান মেননও।

আসামির তালিকায় আরো রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব নাঈমুল ইসলাম খান, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী এ আরাফাত, আওয়ামী লীগ নেত্রী অপু উকিল, সাবেক এমপি আহসানুল হক চৌধুরীর ডিউক, জাকির হোসেন সরকার, আসাদুজ্জামান বাবলু, টুটুল চৌধুরীসহ ৫৭ জন। এ ছাড়া অজ্ঞাত ৩০০ জনকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলাটি গ্রহণ করে আদালত কোতোয়ালি থানাকে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। এ নিয়ে রংপুরে মোট পাঁচটি হত্যা মামলা দায়ের হলো।

 


আরো সংবাদ



premium cement